Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুক পড়ুন এবং লিখুন


Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুকের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বাংলা শিক্ষা ডট কম। জনপ্রিয় খ্যাতিমান কবিদের নানাবিধ বাংলা কবিতার একটি সংগ্রহশালা। এখানে জনপ্রিয় কবিদের হাজার হাজার বেঙ্গলি কবিতার [Bengali Poems] সংকলন রয়েছে , যা দিনকে দিন বাড়ছে। এছাড়াও এখানে মজার বাংলা জোকস [Bangla Jokes] , ছোট গল্প [Short Story], রচনা ইত্যাদির একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ।

আমাদের বাংলা কবিতা [Bangla Kobita] বৃহত্তর ফোরাম রয়েছে যেখানে আপনি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর পাশাপাশি বাংলা কবিতা, আবৃত্তি [Recitation] প্রকাশের [Publish] সুযোগ রয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য নতুন লেখক এবং লেখিকাদের লেখা প্রকাশের একটা মাধ্যম তৈরী করা। আপনার লেখা প্রকাশ করুন।

আমাদের দেশে এবং সারা পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার কবিরা রয়েছেন , যারা শুধু বাংলা নয় , নানা ভাষায় কবিতা লিখেছেন , তাদের কবিতার ডালি আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। আজ ইন্টারনেটের সুবিধার্তে কবিতা এখন হাতের মুঠোয়। কত বিখ্যাত , অবিখ্যাত কবির কবিতা আমরা শুনতে পাই।

Best Poem of the Week - সপ্তাহের সেরা কবিতা

Bangla Kobita Collection - আমাদের সংগ্রহ


জীবনমুখী কবিতাদুঃখের কবিতাপ্রেমের কবিতাজনপ্রিয় কবিতাছড়া কবিতা
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor

সাম্প্রতিক সংযোজন

তবু নাম রয়ে যায়

তবু নাম রয়ে যায়

ফেটে পড়া দানবের অভিঘাত,

মূহুর্মূহু ব্রজপাত:

পৃথ্বীর অস্তিত্ব সংকট;

জীবনবাসনায় প্রকট;

আমাদের প্রতিদিন,

দাবী – এক স্বাধীন।

পঙ্খের মত উড়ব পঙ্গপালের স্রোতে,

ঘুড়ির মত ঝাঁপ দেওয়া রাতে,

চাঁদের কাছাকাছি পূর্ণিমা জ্যোৎস্নায়

বাঁচতে চাই নিয়ত বাঁচবার বাসনায়,

আশায়,ভাষায়,ভালবাসায়;

ভেসে যাওয়া পৃথিবীর বুকে।

কোথায় মুসলিম তুমি?- কবি- জুয়েল ইসলাম

শক্তি দাখাও না মুসলমান হবে তুমি পরাজিত

কাল কিয়ামতে প্রুভু করবে তোমায় লজ্জিত,

শক্তি আছে মদের সবার তোমার কান বেশি?

তাই তো প্রুভু বলেন তারা রাগ করে বেশি।

জানিনা কি ভাবো তুমি, তুমি নিজেকে?

জেনে রেখো প্রুভু মদের সবার কাছে,

আছো তুমি ডুবে পাপের সাগরে

জেনে রেখো তোমায় যেতে হবে কবরস্থানে।

ভাবো মুসলমান কথায় আছো তুমি ডুবে?

ভুলে যেওনা তোমায় পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে,

ভালো হয়ে যাও আমল কর বেশি

কবরে এই জিনিস কাজে আসবে বেশি।

হয়ে উঠো উমরের মতো রাগি

মদের ইসলাম প্রচার হবে তাড়াতাড়ি,

ঘরে বসে থেকে না মুসলিম তুমি

মুনাফিকদের বিরুদ্দে লড়াই করো তুমি।

গ্রীষ্মকাল- কবি- জুয়েল ইসলাম

একটুও মায়া লাগেনা সূর্যকে

যে আমাদের শরীরকে দিচ্ছে পুড়ে,

আহা! কি লাগে কষ্ট মোদের

তবু লাগেনা কোন দয়া সূর্যের।

 

না ভালো লাগে পড়তে, খেলতে গরমের দিনে

মন শুধু কষ্ট পাই পিপাসার টানে,

কোথায় যাই, ভেবে না পাই!

মনের ইচ্ছা শুধু ঠাণ্ডা চাই।

জানিনা এত গরমের কারন

শুনি শুধু সবার মুখে কি গরম, কি গরম,

কষ্ট পাই জীব, প্রাণী ও মনসও

আরো কষ্ট পাই মানুষের থেকে যারা বয়েস্ক।

 

যখন বৃষ্টি হয় ঠাণ্ডা পাই

আরো মজা লাগে ঘুমার সময়,

ওই মুসলমান পাপ করা ছেড়ে দাও

তোমার রব বৃষ্টি দান করবে এই দুনিয়াই।

ভালো থেকো প্রিয়

গাছটাকে অনেক সুন্দর লাগে
যদি ফুল ফোটে প্রতিটি ডালে ডালে,
সবুজের সমারোহ পাতায় পাতায়
থাকে যদি শিশিরের মণি মুক্তা।

আরো অনেক সুন্দর, স্নেহ মায়া মমতা থাকবে,
প্রকৃতির বন বিহগ ডাকবে,
প্রজাপতির দলে নাচবে, ভ্রমর গুলো গাইবে
গাছের সাথে খেলবে, খেলতে খেলতে
গান গাইতে গাইতে মনের আনন্দে মহান্দে
ছবিগুলো আঁকবে ভাবনার প্রতিটি পাতায়।

গাছের শুকনো পাতা ঝরে পড়বে
সুগন্ধ বাতাসের স্পর্শ পেয়ে, ডালগুলো বড় হয়ে
পাখির বাসা খামচে ধরে রাখবে
আদর সমাদর দিয়ে।

তুমিও একটি গাছ, একটি গাছের ফুল ফল
সবুজের আবরণে ডাকা মসৃণ পাতা,
তাই তোমাকে নিয়ে, তোমাকে কিছু বলার জন্য
এই কবির প্রতিটি কবিতার কুঞ্জে কুঞ্জে,
হৃদয়ের গভীরে আলতো চাপ
আর স্বপ্ন জাগা বিদূর বনের সেই আশা
আজ সবই দৃশ্যমান এই লেখায়।

ভালো থেকো প্রিয়,
ইতি তোমার সেই অতীতের,
বর্তমানের ও অনাগত ভবিষ্যতের
মেঘলা দিনের আলো, আধারের
উজ্জ্বল জোৎস্না, সাগর সৈকতে তুফানের আগমন।।

মা কালীর কবিতা – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

কালীর কথা ভাব গো মন ||

তুমি কালীর কথা ভেবে ভেবে

বাতুল হয়ে যাও না গো মন ||

 

কালী তোমার মাতা জেনো

কালী তোমার পিতা জেনো ||

সেই কালীর পদে বাস করো মন

সেথা হয় কত শান্তি বর্ষণ ||

 

জেনো কালী ব্রহ্মময়ী

জেনো কালী শিবের ঈশ্বরী ||

মন ঐ কালীর পদেতে থাকো না গো

ইহাই জীবনের সার জেনো ||

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৯/৯/২০২৪

মহাদেবের কবিতা – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

কবে তুমি আমায় দেখা দেবে

কবে তুমি আমার কাছে আসবে ||

জানি তুমি ব্রহ্মা তুমি বিষ্ণু

জগতে তুমি সবকিছু ||

 

তুমি বাবা অম্বরনাথ তুমি বাবা কেদারনাথ

তুমি বাবা অমরনাথ তুমিই তো বিশ্বনাথ ||

 

তুমি বাবা রামেশ্বর তুমি বাবা ভীমাশঙ্কর

তুমি বাবা ত্রম্বকেশ্বর তুমিই তো মহেশ্বর ||

 

তুমি বাবা চন্দ্র সূর্য তুমি বাবা সকল দেব

তুমি বাবা স্বর্গ মর্ত তুমিই তো দেবাদিদেব ||

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৭/৯/২০২৪

সময়ের ফলেই – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

সময়ের ফলেই আপন হয় পর

সময়ের ফলেই পর হয় আপন।

 

সময়ের ফলেই এ ওকে মনে রাখে

সময়ের ফলেই ও একে ভুলে যায়।

 

সময়ের ফলেই নতুন জিনিস পুরানো হয়

সময়ের ফলেই পুরানো জিনিস ঘষেমেজে নতুন হয়।

 

সময়ের ফলেই শত্রু বন্ধু হয়

সময়ের ফলেই বন্ধু শত্রু হয়।

 

সময়ের ফলেই বন্ধু তৈরি হয়

সময়ের ফলেই বন্ধু হারিয়ে যায়।

 

সময়ের ফলেই করো কপাল ভালো হয়

সময়ের ফলেই কারো কপাল মন্দ হয়।

 

সময়ের ফলেই অচেনা কেউ চেনা হয়

সময়ের ফলেই চেনা কেউ অচেনা হয়।

 

সময়ের ফলেই দিন রাত্রি হয়

সময়ের ফলেই রাত্রি দিন হয়।

 

সময়ের ফলেই ভালোবাসা তৈরি হয়

সময়ের ফলেই ভালোবাসা হারিয়ে যায়।

 

সময়ের ফলেই একজনের জন্ম হয় 

সময়ের ফলেই তার দেহপাত হয়।

 

সময়ের ফলেই খারাপ ভালো হয়

সময়ের ফলেই ভালো খারাপ হয়।

 

সময়ের ফলেই সত্য মিথ্যা হয়

সময়ের ফলেই মিথ্যা সত্য হয়।

 

সময়ের ফলেই কেউ ভালো থেকে খারাপ হয়

সময়ের ফলেই কেউ খারাপ থেকে ভালো হয়।

 

সময়ের ফলেই কারো জগন্ময়ের প্রতি বিশ্বাস জন্মায়

সময়ের ফলেই কারো তাঁর প্রতি বিশ্বাস লোপ পায়।

 

সময়ের ফলেই পৃথিবী একদিন ঘোরা শুরু করে ছিল

সময়ের ফলেই পৃথিবী একদিন থেমে যাবে।

 

সময়ের ফলেই মহাজগৎ সৃষ্টি হয়ে ছিল

সময়ের ফলেই মহাজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৯/৩/২০২৪

 

 

 

চাওয়া পাওয়া – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

আমাদের জীবনে শেষ হয় না চাওয়া 

একটা চাওয়া মিটলে আরেকটা চাওয়ার প্রতি বাড়ে ইচ্ছা।

 

আমাদের জীবনে শুধু চাওয়া আর চাওয়া

একটা চাওয়া মিটলেও শেষ হয় না চাওয়া।

 

শুধু চেয়ে চেয়েই আমাদের জীবন যায় শেষ হয়ে

একটা চাওয়া মিটলে তা নিয়ে আনন্দ করার সময় থাকে না—- পরবর্তী চাওয়ার প্রতি লোভ বাড়ে।

 

যত চাইব তত চাওয়ার বাসনা বাড়বে

যত পাব তত পাওয়ার বাসনা বাড়বে।

 

 

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

 

 

 

 

একশ কোটি বছর হয়ে গেল তোমায় দেখতে পেলাম না

তোমায় দেখেছিলাম কোন এক শ্রাবণের সকালে

যখন আমি বসেছিলাম জানলার পাশে

আমার চোখ ছিল পুকুরে ফুটে ওঠা এক পদ্ম ফুলের দিকে যার উপর দুটো ফড়িং উড়ছিল

আমার জানলার সামনেই রাস্তা তার পাশেই পুকুর।

বৃষ্টির ঝরঝর শব্দের মধ্যেই তোমার নূপুরের শব্দ শুনে তোমার দিকে তাকালাম

বৃষ্টিতে খালি মাথায় হেঁটে যাচ্ছিলে।

শুধু একবারই যা দেখেছিলাম তোমার মুখ

তোমার পরনের কালো শাড়ি ভিজে জবজবে হয়ে গেছিল 

যেন কালো মেঘ পূর্ণিমার চাঁদকে অর্ধেকটা ঢেকে দিয়েছে

তোমার মুখ থেকে বৃষ্টির জলের ফোঁটা মহানন্দে পড়ছিল

যেন ওরা খুব সুখী 

ওরা মেঘ থেকে মুক্তি পেয়ে যতটা শান্তি পেয়েছিল তোমার মুখের স্পর্শ পেয়ে তার চেয়ে অধিক শান্তি পেয়েছে

ব্যস্ শুধু এতটুকুই দেখলাম।

তবু তোমায় এক ঝলকে দেখে কী করে যে এত কিছুর প্রতি নজর গেল বুঝতেই পারলাম না।

তুমি চলে যেতেই আমি রাস্তায় বেরোলাম

তোমার সেই হেঁটে যাওয়ার জায়গাটাতে গিয়ে আমি দাঁড়ালাম

দেখলাম পড়ে আছে একটি ছোট্ট হীরে

সেটা হাতে তুলে আমি সেই মুহূর্তে

তোমার পিছু নেওয়ার চেষ্টা করলাম

উদ্দেশ্য ছিল হীরেটা তোমায় ফেরত দেব

আমার ধারণা হীরেটা তোমার নূপুরেই ছিল

কারণ আমি পাই নি দেখতে তোমার কানে কোনো দুল বা গলায় কোনো হার বা হাতে কোনো আংটি।

কিন্তু তোমাকে আর দেখতে পেলাম না।

এরপর কেটে গেল কত বছর

কত শ্রাবণ এলো গেল

কত গ্রীষ্ম এলো গেল 

কত শীত এলো গেল

তবু আর কোনোদিনও আমার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে তোমায় যেতে দেখলাম না।

একশ কোটি বছর হয়ে গেল

তোমার ওই হীরের টুকরোটা আমার কাছে আজও আছে।

এখন ওটা নিয়েই আমি আকাশে থাকি

রাতের আকাশে ওর জন্যই মিটিমিটি করি

তবু আজও তোমায় দেখতে পেলাম না

একশ কোটি বছর হয়ে গেল তোমায় দেখতে পেলাম না।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 

প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু না কিছু শিখি

প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু না কিছু শিখি।

সেটা কথা দিয়ে কথা না রাখার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা একাকিত্বে সময় কাটানোর শিক্ষা হতে পারে।

সেটা ভুল বোঝাবুঝির শিক্ষা হতে পারে।

সেটা অন্যায়কে মেনে নেওয়ার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা সহ্য ক্ষমতা অর্জনের শিক্ষা হতে পারে।

সেটা সঠিক থেকে দূরে চলে যাওয়ার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা স্বার্থপর মনের পরিচয় পাওয়ার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা নির্দোষ হয়েও দোষী হওয়ার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা চোখের জলে সাগর সৃষ্টির শিক্ষা হতে পারে।

সেটা ভালোবাসা শেষ হয়ে যাওয়ার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা স্বার্থহীনভাবে কাজ করার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা বিশ্বাস হারাবার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা সত্যকে মিথ্যা প্রমাণের শিক্ষা হতে পারে।

সেটা পুরাতন স্মৃতিকে চর্চা করার শিক্ষা হতে পারে।

সেটা যা হারিয়ে গেছে তা না পাওয়ার শিক্ষা হতে পারে।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 

শুধু কবিতা লেখাই আমার কাজ – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

শুধু কবিতা লেখার জন্যই আমার পৃথিবীতে আসা

কবিতা লেখা শেষ হলে চলে যাব।

কবিতা লেখাই আমার কাজ

এ কাজই আমার কাছে বিশাল বড় কাজ—-

আকাশ সমান দুঃখ বুকে জমিয়ে রেখে নিজের হতাশা কবিতায় প্রকাশ করি

যুদ্ধ তো করতে পারি না

আমি তো কবি

আমার যুদ্ধ বন্দুক নিয়ে খুনখারাপি করা নয় 

রক্ত ঝরাতে ভালোবাসি না

দেহ ক্ষতবিক্ষত হোক এ আমি চাই না

দেহ থেকে রক্ত ঝরার দৃশ্য পারি না দেখতে

আমার যুদ্ধ কলমের সাথে খাতার 

আমি চাই মন থেকে রক্ত ঝরুক

আমি মন তোলপাড় করে দিতে চাই 

আমি চাই না কেউ আমার জন্য হাউহাউ করে কাঁদুক

আমি চাই আমার কবিতা পড়ে 

কারও মনের চোখ অঝোর বৃষ্টি ঝরাক

কী করব এটাই আমার কাজ।

সৃষ্টিকর্তার কাজ বড় অদ্ভুত

কেন আমাকে এমন কাজের জন্য বিশ্বে পাঠালেন?

কাউকে বাইরে থেকে আঘাত না করতে পারলেও

ভেতরে ভেতরে আঘাত করি

কেউ কষ্টে না থাকতে চাইলেও 

আমার কবিতা পড়ে কষ্টের সমুদ্রে ডুবে যায়—-

নাঃ, এ বড় খারাপ কাজ

বড় খারাপ কাজ!

কাউকে দুঃখ দেওয়া মানে তো পাপের বোঝা বাড়িয়ে তোলা

কেন গো ঈশ্বর, আমার পাপের বোঝা বাড়াচ্ছ?

উত্তর দাও তুমি।

আর চাই না আমার জন্য কারও ভালো মন খারাপ হোক

বরং কেউ আমার মন খারাপ করে দিক

এতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই—-

কোনো আক্ষেপ নেই।

যদি না উত্তর দিতে পারো তবে তুলে নাও আমায়

আমার পৃথিবীর কাজ থেকে মুক্ত করো।

 

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

৩/৩/২০২৪

 

 

মায়ের নাম নিয়ে কৈলাসে যাব – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

মায়ের নাম নিয়ে কৈলাসে যাব

আমি এবার মায়ের নাম নিয়ে কৈলাসে যাব ||

 

দেখব সেথায় মা আছে নাকি আছে শুধুই পাহাড়মালা ||

দেখব সেথায় মা’র চরণচিহ্ন কোথায় 

কোথায় বাবার ত্রিশূল পোঁতা ||

 

দেখব সেথায় কেমন করে থাকে মা বাবার সাথে ||

আমি সেথায় গিয়ে আসব না আর থেকে যাব তাঁদের কাছে ||

 

মাকে আমি রেখেছি মনে বাবাকে রেখেছি শিরে ||

আমি তাঁদের নিয়ে ছিলাম আছি থাকব এ জগৎ সংসারে ||

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 

তারা তারা নামে ডুবে যা না ( তারা মায়ের কবিতা)

তারা তারা নামে ডুবে যা না ||

(ও মন) তারা তারা বলে তুই 

তারা নামে ডুবে যা না ||

 

তারা নাম মহানাম

তারা নাম শ্রেষ্ঠনাম ||

(ও মন) তারা তারা বলে তুই

দুঃখ-জ্বালা সব মেটা না ||

 

মধুমাখা তারা নামে

মেতে থাক অনুক্ষণ ||

(ও মন) যে মেতেছে এ নামেতে

সে পেয়েছে তারা মাকে ||

 

অর্ঘ্য বলে তারা নামের সায়রে

ভেলা ভাসা না ||

(ও মন) তাতে চড়ে পৌঁছে যাবি

তারা মা’র শ্রীচরণে ||

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 

শিবের কবিতা – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

শিব শিব বলো গো মন

শিব শিব বলো গো মন ||

শিব বলো বলো বলো গো মন 

শিব নামে মেতে থাকো সর্বক্ষণ ||

 

শিব শুধু দেবতা নয় 

সে যে মোদের পিতাও হয় ||

শিবের চরণের কথাই শুধু ভাবো

সেথায় আছে ব্রহ্মাণ্ড জেনো ||

 

শিব শিব বলো গো মন

শিব শিব বলো গো মন ||

এ নামেই আছে শুধু মধু

এ নাম ছাড়া আর ভেবো না কিছু ||

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৫/৯/২০২৪

মহাদেব ও মা কালীর কবিতা

শিব শিবা পিতা মাতা মোদের পিতা মাতা

শিব শিবা পিতা মাতা জগতের পিতা মাতা।

মোদের কাছে কত আপন তাঁরা 

মোদের মনে সদাই থাকেন তাঁরা।

 

আমাদের মন তাঁরা আমাদের প্রাণ তাঁরা

আমাদের এই দেহ তাঁরা আমাদের সবকিছু তাঁরা।

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৫/৯/২০২৪

Bangla Deshattobodhok Kobita - দেশাত্মবোধক কবিতা


অতি প্রাচীন কাল থেকে নানা মুনি, ঋষি ও মহাপুরুষ -রা নানা কবিতা লিখে গেছেন। কেউ লিখেছেন প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, কেউ লিখেছেন যুদ্ধের আবার কেউ ভালোবাসার। অনেক কবি আছেন যাদের কবিতার মাধ্যমে আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের নানা ঘটনা জানতে পারি। বিস্তারিত ...

Adhunik Bangla Kobita - আধুনিক কবিতা


জনপ্রিয় কবির লেখা নির্বাচন করে হুবহু বলার সাথে সাথে শুদ্ধ উচ্চারণ,স্পষ্ট বাচনভঙ্গি এবং সুললিত কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কবিতা বা ছড়ার ভাববিষয় শ্রোতার নিকট উপস্থাপিত করাই হল আবৃত্তি। শিল্প-সাহিত্যের আঙিনাতে আবৃত্তির প্রবেশাধিকার বহুদিন আগে থেকেই। সাহিত্যের একটি প্রাচীনতম শাখা হচ্ছে কবিতা। বর্তমান সময়ে সাহিত্য জগতে শিল্প-সংস্কৃতিতে আধুনিক কবিতার মান/খ্যাতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিস্তারিত ...

Bangla Chora Kobita - ছড়া কবিতা


কবিতা শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে আনন্দ জেগে উঠে। ছন্দের সাহায্যে অথবা গদ্যের ভাষায় মনের ভাব ফুটিয়ে তোলাই হল কবিতা। ছোট থেকে বড়ো সবাই কবিতা পাঠ করতে ও শুনতে ভালোবাসেন। ছোট বাচ্চা কিন্তু কথা শেখার পর ছোট ছোট ছড়া প্রথম শেখে, এই ছড়াই কিন্তু কবিতার আর এক রূপ। বিস্তারিত ...

Bangla Sad Poem - দুঃখের কবিতা


আমরা শুধু মনের আনন্দে কবিতা পড়ি বা লিখি তা নয়, মনের দুঃখও কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করি। দুঃখের কবিতা (Sad Kobita) মানুষের দুঃখ কষ্টকে কেন্দ্র করে লেখা হয়। যেমন পৃথিবীতে এমন কোনও মানুষ নেই যে জীবনে কোনো দিনও দুঃখ পাইনি, তেমন দুঃখ ছাড়া কেউ কবি হতে পারে না। বিস্তারিত ...

Bangla Popular Kobita - জনপ্রিয় কবিতা


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান , ছবি, গল্প, উপন্যাস ও কবিতা সবই লিখেছেন । কিন্তু তিনি জগৎ বিখ্যাত বিশ্বকবি নামে পরিচিত অথার্ৎ এখানেও কবিতার জয় জয় কার। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতার মাধ্যমে বিদ্রোহকে আহ্বান জানিয়েছিলেন , আজ তাই তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। বিস্তারিত ...

Bangla Premer Kobita - ভালোবাসার কবিতা


প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) অর্থাৎ যে কবিতার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে প্রেম ভালোবাসাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। প্রেমের মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা এই জন্য প্রেমের কবিতাকে ভালোবাসার কবিতা (Love Poem) বলা হয়। বিস্তারিত ...