Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুক পড়ুন এবং লিখুন


Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুকের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বাংলা শিক্ষা ডট কম। জনপ্রিয় খ্যাতিমান কবিদের নানাবিধ বাংলা কবিতার একটি সংগ্রহশালা। এখানে জনপ্রিয় কবিদের হাজার হাজার বেঙ্গলি কবিতার [Bengali Poems] সংকলন রয়েছে , যা দিনকে দিন বাড়ছে। এছাড়াও এখানে মজার বাংলা জোকস [Bangla Jokes] , ছোট গল্প [Short Story], রচনা ইত্যাদির একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ।

আমাদের বাংলা কবিতা [Bangla Kobita] বৃহত্তর ফোরাম রয়েছে যেখানে আপনি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর পাশাপাশি বাংলা কবিতা, আবৃত্তি [Recitation] প্রকাশের [Publish] সুযোগ রয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য নতুন লেখক এবং লেখিকাদের লেখা প্রকাশের একটা মাধ্যম তৈরী করা। আপনার লেখা প্রকাশ করুন।

আমাদের দেশে এবং সারা পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার কবিরা রয়েছেন , যারা শুধু বাংলা নয় , নানা ভাষায় কবিতা লিখেছেন , তাদের কবিতার ডালি আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। আজ ইন্টারনেটের সুবিধার্তে কবিতা এখন হাতের মুঠোয়। কত বিখ্যাত , অবিখ্যাত কবির কবিতা আমরা শুনতে পাই।

Best Poem of the Week - সপ্তাহের সেরা কবিতা

Bangla Kobita Collection - আমাদের সংগ্রহ


জীবনমুখী কবিতাদুঃখের কবিতাপ্রেমের কবিতাজনপ্রিয় কবিতাছড়া কবিতা
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor

সাম্প্রতিক সংযোজন

একুশ – আবু জাফর মহিউদ্দীন

আমার হৃদয়ে ভুবনে বহিছে

উজ্জল বর্ণমালা,

যেই বর্ণের স্মৃতিবাণী ঘিরে

একুশ এনেছে মেলা৷

 

একুশ দিয়েছে তরুণ হৃদয়ে

সাহস দীপ্ত ও প্রাণ,

বাংলার মাটি রক্ষতে ভূমি

বিলে দিতে তার জান৷

 

একুশে ঝরেছে রক্ত শহীদের

কেঁদেছে মাতৃকোল,

থেমেছে দামামা উড়ছে আমামা

খুশিতে বাজিছে ঢোল৷

 

একুশ দিয়েছে মুক্ত চেতনা

মায়ের স্বপ্ন আশা,

দেশের জন্য জাতির জন্য

স্বাধীন বাংলা ভাষা৷

পেটুক

টাক মাথার পেটুক গগন

বেঢপ তাঁর ভুঁড়ি, 

থালার খাবার সাবাড় করতে

লাগে এক তুড়ি।

রোদের আলোয় ঝলমলায়

তেল চকে টাক,

ভুঁড়ি দেখে মনে হবে

মধু ভরা চাক।

রুচি মুখে খেতে পারে

থালা ভরা ভাত,

আহার সেরে ঢেঁকুর তোলে

পেটে বুলায় হাত।

ভরা পেটেও খেতে পারে

যদি লাগে বাজি,

ডাল, শাক, কাঁচা-লংকা

নুন কিংবা ভাজি।

বেশি খেলে এপাশ ওপাশ

রাতভর জাগা,

নেমতন্ন খেয়ে কাটে

কোমরের তাগা।

চিৎ শোয়ে দিবানিদ্রা

সটান করে ঠ্যাং,

দেখে তখন মনে হবে

মরা কুনোব্যাঙ।

আড়ত আছে দু’খানা তার

সুখ আনন্দ কিযে!

একটায় ভাই বিপিন বসে

অন্যটাতে নিজে।

কোলবালিশে হেলান দিয়ে

গড়গড়িতে টান,

গদির কোণে পিকদানি

বাটা ভরা পান।

চুন লাগিয়ে তর্জনীতে

খায় সেটা চুষি,

গরু যেমন জাবর কাটে

খেয়ে ঘাস-ভুষি!

ব্যামো হলো হঠাৎ করে

বৈদ্য দিল কারণ,

মুখরোচক অতিভোজন

এবার হতে বারণ।

শরীরখানা দুর্বল তার

চলে না আর চরণ,

অবশেষে বুঝল গগন

অতিভোজেই মরণ।

 

পতি-পত্নীর মীমাংসা

পতি পত্নীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়ে গেছে। প্রায় অর্ধেকটা দিন কেহই কারো সাথে কোনো কথা বলল না। বিকেলের দিকে পত্নী স্বামীর কাছে এসে বলল,“দেখ এভাবে ঝগড়া করে, মুখ গোমড়া করে বসে থেকে লাভ নেই। আমাদের সমস্যা আমাদেরই মিটিয়ে নিতে হবে। তাই তুমি কিছুটা “Compromise” কর আমি কিছুটা করি। এটি শুনে স্বামী বলল- “ঠিক আছে, আমাকে কি করতে হবে?” 

স্ত্রী বলল- “তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, যে এরকম আর করবেনা। আর আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিই। ব্যস “Compromise” হয়ে গেল!

 

শেষ পরিণতি – অভিজিৎ হালদার

মাঝে মাঝে গভীর সমুদ্রে
   বৃষ্টি ভরা দিন দেয় এঁকে,
   উতপ্ত সূর্য এর আলোয়
   এই সোনালী ভরা দিন।
   আর ঘাসের উপর ফেলে
   সোনার মতো উজ্জ্বল রং।
    বাতাসেরা ঘরে ফিরে আসে
    গ্রীষ্মের পাতাঝরার মতো।
    কত না সুন্দর গোলাপের
    বিলাসিতা কে নষ্ট করে,
    শুকনো পাতাঝরার পাপড়ির
    কত না দীর্ঘ রহস্য,
     আর দূর আকাশের দীর্ঘশ্বাস।
    কখনও কখনও ভেসে আসে
    দূর বনাঞ্চল থেকে,
    পশুদের আর্তনাদ।
    রাতের নির্জন অন্ধকারে
    শিকার হয় তারা !
     আর ভোরের এই
     নির্জন সকালে পারি দেয়
    বর্বর এই মানুষেরা,
    গভীর সমুদ্র‌ হতে।
     কত না তাদের মূল্যবোধ
     এটাই কী তাদের মানবিকতা!
        যারা নষ্ট করে সমাজ কে
    তাদের নেই কোনো পাপবোধ
    বিবেকের মানবিকতা নষ্ট হয়
     তাদেরই করাল গ্রাসে।।

          ২০/০৪/২১

 

গাঁয়ের বঁধূ

কাকডাকা ভোরে,

বিছানাটা ছেড়ে,

বঁধু গেছে চানে,

সবাই তা জানে।

আলো ফুটার আগে,

একাই সে জাগে।

ঘরের কাজ যত

করছে অবিরত।

গুছিয়ে সব কাজ,

অল্প একটু সাজ,

গাঁয়ের পাশে নদী

বইছে নিরবধি।

ঘর থেকে বেরিয়ে,

মেঠো পথ পেরিয়ে,

কলসি নিয়ে ঘাটে,

মৃদু পায়ে হাঁটে।

ঘোমটা-টা জড়িয়ে,

বেলা যায় গড়িয়ে, 

ঢোল-কলমীর ফুল,

জলে খায় যে দোল।

বাদাম তুলে নায়,

মাঝি গান গায়।

সাদা বক ঠায়,

দাঁড়িয়ে এক পায়।

মাছ শিকারে মগ্ন,

দ্বি-প্রহর লগ্ন।

জেলেদের নাও রে

ধরে মাছ হাওরে।

বর গেছে বিহানে।

ভাতের হাঁড়ি উনুনে।

জলের কলসি ভরে,

ফিরবে বঁধু ঘরে।

 

আমি এখনও অব্দি তোমায় বলতে পারলাম না ‘ভালোবাসি’

আমি এখনও অব্দি তোমায় বলতে পারলাম না ‘ভালোবাসি’,
তোমাকে যতবারই দেখি যতবারই কাছে আসো,
শুধু বলার চেষ্টা করে যাই- তবু বলতে পারি না।
আমার খাওয়া, ঘুম ত্যাগ হয়েছে তোমায় বলতে পারছি না বলে,
দিনের পর দিন কথাটা জমে জমে আমার শরীরটাকে একটা আস্ত জগদ্দল পাথর বানিয়ে দিয়েছে,
বলতে পারলে বেঁচে যেতাম-
হালকা হতাম!
দরজা জানলা বন্ধ গুমোট ঘরে যেমন স্বস্তির বাতাস ঢোকে হঠাৎ সেগুলো খুলে দিলে,
আমার অবস্থাও তেমন হতো।
কিন্তু না, বলতে আর পারছি না
মনে হয় বলতে পারবও না।
এখন পুরোটাই তোমার উপর।
তুমি বলে ফেলো তাড়াতাড়ি যে, আমায় ভালোবাসো।
আর দেরি কোরো না।
আমার মনের কথাটা বোঝার চেষ্টা করো লক্ষ্মীটি,
না হলে দেখবে হয়তো তোমার ঐ কথাটা যার শোনার দরকার ছিল সেই আর শেষ পর্যন্ত থাকবে না!

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৩/০৯/২০২৩

তোমাকে ভালোবাসি বলেই – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
ভালোবাসাকে আর ভালোবাসা হলো না।
তোমার জন্য কবিতা লিখি বলেই
আমার কবিতা লেখাও আর থামলো না।
তোমাকে আমার মধ্যে রাখি বলেই
তোমায় নিয়ে আর ভাবনা চিন্তা করি না।
তোমাকে আমার শরীরের সাথে মিশিয়ে দিয়েছি বলেই
একসাথে আমাদের আর ঘর বাঁধা হলো না।
একসাথে বাঁচার আশা ছিলো বলেই
আমরা আর অমর হলাম না।
একসাথে আকাশে থাকার ইচ্ছা ছিলো বলেই
ঈশ্বর আমাদের আর ‘তারা’ করে রাখলেন না।

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৩/০৯/২০২৩, বারুইপুর

তোমার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

তোমার মুখের দিকে একবার, শুধু একবার তাকিয়েই আমার আর ফেরা হলো না!
কেমন বলবো?- ঐ স্বর্গের দেবী বা অপ্সরী বা জলপরীদের মুখের মতন তোমার মুখের গড়ন।
তোমার দুই চোখের কাজল, নরম দুই পাতলা গোলাপী ঠোঁট, টানা টানা দুই ভুরু, সেই ভ্রুদ্বয়ের মাঝে লাল টিপ, দুধে আলতা গালের রঙ, নাকে ছোট্ট সোনালী নাকছবি, গভীর রাতের মত ঘন কালো চুল আর দুই কান থেকে ঝোলা দুই রূপালী ঝুমকো দুল আমায় গ্ৰাস করলো একেবারে-
আমার গোটা দেহটাই তোমার দেহে প্রবেশ করলো!

তবে, এতে আমার এতটুকুও দুঃখ নেই।
আমি যে কত খুশি হয়েছি তার ব্যাখ্যা কি এই সামান্য কবিতা লিখে বোঝানো যাবে?
এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের যেমন কোনো শেষ নেই
আমার খুশির পরিমাণও ঠিক তেমনই।
আমার যে কত লাভ হয়েছে
তার হিসাব কি অঙ্কের কোনো জটিল সূত্র দিয়ে সমাধান করা যাবে?
কেবলমাত্র ঈশ্বরের দ্বারাই তা উদ্ধার করা সম্ভব।

আমি জীবনে কী পেয়েছি কী হারিয়েছি
তা সবই তুচ্ছ হয়ে গেল শুধু ঐ একবার তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে।
এক নিমেষের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে সবকিছু যেমন ধ্বংস হয়ে যায় আমার অবস্থাও তেমন হলো!
আমি পেলাম জীবনের সেরা উপহার।
এবার থেকে একেবারে তোমার সঙ্গেই থেকে গেলাম,
তোমার রক্তে চামড়ায় শিরা উপশিরায় মিশে একাকার হয়ে গেলাম;
তোমাকে আর হারাবার ভয় থাকবে না,
তুমি যেখানে যাবে আমি সেখানে যাব,
তুমি যা খাবে আমি তাই খাব,
তুমি দুঃখ কষ্ট পেলে আমি একই দুঃখ কষ্ট পাব,
তুমি কোথাও আঘাত পেলে আমি সমানভাবে আঘাত পাবো,
যেদিন সৃষ্টিকর্তা ডাক দেবেন সেদিন একসাথে চলে যাব!

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২২/০৯/২০২৩
বারুইপুর

মানুষ চিরদিন অন্য মানুষকে মনে রাখে না

মানুষ চিরদিন অন্য মানুষকে মনে রাখে না,
একদিন না একদিন ঠিকই একে অপরকে ভুলে যায়।
সবাই নিজের স্বার্থ খুব ভালো বোঝে;
নিজের প্রয়োজনেই বন্ধু পাতায়, কথা বলে, খোঁজ-খবর রাখে,
কাজ মিটে গেলে তখন কা’র দায় পড়বে অন্যের খবর নিতে?
আসলে মানুষ নিজেরটা ভালোমতো গোছাতে জানে,
‘নিজেরটা’ মানে যা একান্ত নিজের – সেটা অর্থ বা সম্মান বা যোগ্যতা।
নদীতে বানের জলে যা যা ভেসে যায়
সেইসব পরে কোথায় চলে যায় এর সঠিক উত্তর দেওয়া কি কারও পক্ষে সম্ভব হয়?
মানুষও ঠিক তেমনই
নিজের ভালো থাকা, ভালো খাওয়া,
এর জন্য যা যা দরকার তাই করে,
সেই একই দরকারে যখন অন্য কেউ একই পথের সঙ্গী হয়;
তখন তার সাথে দুটো কথা বলে, মনের কথা জানায়,
কিন্তু, ওটা ঐ উপর উপর,
ভিতরে ভিতরে দ্রুত কাজ হাসিলের তাগিদ-
কাজের শেষে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
তাহলে বলুন তো, মানুষ কি চিরদিন অন্য মানুষকে মনে রাখে?

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২২/০৯/২০২৩
বারুইপুর

সবাই আকাশের তারা হবে – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

 

তুমি একদিন আমার ছিলে
আজ আকাশে থাকো তারা হয়ে,
একদিন আমিও তোমার মতো আকাশে থাকবো,
সবাই থাকবে- যারা নতুন আসছে তারাও।
ঈশ্বর যেদিন প্রাণ সৃষ্টি করলেন পৃথিবীতে
সেদিন থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে,
এভাবেই চলবে-
তাই তো তারার সংখ্যা কত বলা যায় না!

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৮/০৭/২০২৩

তোমার নূপুর আলতা পায়ে চুম্বন করা

তোমার নূপুর আলতা পায়ে চুম্বন করা,
যা সেই চুম্বনের থেকেও ভালো- লোভের বশে সোনার ঘড়াকে করা।

তোমার নূপুর আলতা পায়ের গন্ধে ডুবে যাওয়া,
যা স্বর্গের অপ্সরীদের খোঁপায় গোঁজা ফুলের সুবাসের থেকেও মায়াধরা।

তোমার নূপুর আলতা পায়ে মাথা রাখা,
যে উদ্দেশ্যে মন্দিরে মন্দিরে ঘোরা-
তোমার এখানেই শেষে সার্থক হওয়া।

তোমার নূপুর আলতা পা বুকে জড়িয়ে ধরা,
আর কোনো তীর্থস্থান ভ্রমণের প্রয়োজন না থাকা- তুমিই দেবী তুমিই রাধা।

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২১/০৯/২০২৩, বারুইপুর

তোমাকে ভালোবাসলে সব ভালোবাসা হয়ে যায়

তোমাকে ভালোবাসলে সব ভালোবাসা হয়ে যায়।
এই প্রকৃতি, এই পৃথিবী, মাথার উপরের আকাশ, দূরের সূর্য, চাঁদ……
ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো….
অগণিত তারা……
আকাশগঙ্গা, আরও যত ছায়াপথ আছে…..
নাম বলা হলো না, নাম জানা নেই এমন যা কিছু আছে…..
স্বয়ং ঈশ্বরকেও-
তোমার মধ্যে দেখতে পাই!
তুমি সবাইকে নিয়ে আছো।
তাই তোমাকে ভালোবাসলে সব ভালোবাসা হয়ে যায়।

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৮/০৭/২০২৩

ভালো হতো যদি – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

ভালো হতো যদি,
আমার কোলের উপর দুধের মতো সাদা তোমার দুই পা রেখে-
সেই দুই পায়ে মন ভরে আলতা পরাতে পারতাম।
তুমি শুধু আমাকে দেখতে
নিজের মনে কত কথা ভাবতে।
তারপরে, একজোড়া সোনার নূপুর জামার পকেট থেকে বার করে জায়গা করে দিতাম তাদের সেখানে, যেখানে থাকার কথা-
তখন সেই দুই পায়ের সৌন্দর্য বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যকেও হার মানাতো।

ভালো হতো যদি,
মুষলধারায় বৃষ্টিতে তুমি আমি পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে ভিজতাম খোলা আকাশের নিচে।
ঈশ্বরের বাসভূমিতে চলতো মেঘের সাথে বিদ্যুতের লীলাখেলা,
মর্তে তোমার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট মাততো অবর্ণনীয় উল্লাসে।

ভালো হতো যদি,
একসাথে পাশাপাশি বসে
বাসে বা ট্রেনে চেপে অনেক দূরে কোথাও যেতে পারতাম,
কত দিন লাগবে পৌঁছাতে এসবের হিসাব করতাম না।
রাত হলে তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়তে-
আর আমি সারা রাত জেগে তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতাম।

এমন আরও কত কী আছে!
সব কি লেখা যায়?
ওসব এখনও পূরণ হয়নি বলেই তো
আজও ঘর বাঁধার স্বপ্ন না দেখে আশার জাল বুনি।
এই জালে আমার মন তোমার সাথে ঠিক বাতাসের মতো মিশে থাকে।
হয়তো তোমার সঙ্গ কোনোদিন পাবো না,
কিন্তু এভাবে থাকার সুখ
বাস্তবে একসাথে জীবন কাটানোর থেকেও ভালো,
বাস্তবে মুখোমুখী বসে চোখ চাওয়া চাওয়ির থেকেও ভালো,
বাস্তবে ‘আমার তুমি’ ‘তোমার আমি’ বলার থেকেও ভালো।

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২২/০৯/২০২৩, বারুইপুর, দুপুর ৩টে

পাখিদের গান – অভিজিৎ হালদার


  
রাতের শেষে দিনের আলো
ভোর আকাশের চাঁদের আলো
পাখিদের সব গানের সুরে
জেগে উঠি রাতের শেষে।
ঘুমহীন স্বপ্নের মাঝে
পারি দিই গানের সুরে
বন থেকে পাখির গান
ভেসে আসে দিনভর।
দিনের আলো মনের কাছে
বয়ে চলি আপন মনে
পথের ধারে ফসলের খেতে
চাষিদের মাঠভরা সোনারতরী।
ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরে
গড়ে তোলা স্বপ্নের বাড়ি
পাখিদের সব গানের সুরে
হারিয়ে যায় গভীর জলে।
বৃষ্টি ভরা দিনের মাঝে
ভেসে আসে নতুন সুরে
কোকিলের মিষ্টি সুরে
জেগে উঠি নতুন করে।

            ২

মেঘের কোণে চাঁদের হাসি
গাছের ডালে পাখির বাসা
ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গী সাথী
এই আমাদের গাছের মালি।
হঠাৎ একদিন নেই আমি
এসে দেখি গাড়ির সারি
নেই আমার গাছের মালি
কেটে ফেলেছে গাছের সারি।
কমে গেছে গানের সুর
ভেঙে গেছে মনের ঢেউ
হারিয়ে গেছে পাখিরা সব
আর শুনিনা পাখির সুর।
চলে গেছি আমি তোমাদের ছেড়ে
বাঁচতে চাই না ভয়ের সুরে
খুঁজতে চেয়েছি ভোরের গানে
পাখিদের গাওয়া গানের সুর।।

            
             ২৬/০৯/২০১৯

 

ব্যস্ত মানুষ

“ওগো ডেলিভারি ম্যান,

একটু দাঁড়াও না কেন?

খোশগল্প করি তোমার সাথে!”

“পিঠে বাঁধা ব্যাগে পণ্য যত,

পৌঁছাই হোমে সিডিউল মত।

গল্প করার সময় নেই হাতে।”

 

“এসো ভাই মাটিকাটা কামলা,

গামছায় বাঁধা খাবারের গামলা।

বসে কেন গলিটার মোড়েতে?”

“সাথে নিয়ে কোদাল আর টুকরি,

একসাথে বুড়ো, জোয়ান, ছুকরি।

যাই কাজে কাছে কিংবা দূরেতে!”

 

“ওহে ভাই ফেরিওয়ালা,

দগ্ধ হাতে চায়ের পেয়ালা,

বাস থামার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।

রোদের তাপে পোড়ে চামড়া,

মাথার ঝাকায় মিষ্টি আমড়া।

এলে বাস দেই হাত বাড়িয়ে!

 

Bangla Deshattobodhok Kobita - দেশাত্মবোধক কবিতা


অতি প্রাচীন কাল থেকে নানা মুনি, ঋষি ও মহাপুরুষ -রা নানা কবিতা লিখে গেছেন। কেউ লিখেছেন প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, কেউ লিখেছেন যুদ্ধের আবার কেউ ভালোবাসার। অনেক কবি আছেন যাদের কবিতার মাধ্যমে আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের নানা ঘটনা জানতে পারি। বিস্তারিত ...

Adhunik Bangla Kobita - আধুনিক কবিতা


জনপ্রিয় কবির লেখা নির্বাচন করে হুবহু বলার সাথে সাথে শুদ্ধ উচ্চারণ,স্পষ্ট বাচনভঙ্গি এবং সুললিত কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কবিতা বা ছড়ার ভাববিষয় শ্রোতার নিকট উপস্থাপিত করাই হল আবৃত্তি। শিল্প-সাহিত্যের আঙিনাতে আবৃত্তির প্রবেশাধিকার বহুদিন আগে থেকেই। সাহিত্যের একটি প্রাচীনতম শাখা হচ্ছে কবিতা। বর্তমান সময়ে সাহিত্য জগতে শিল্প-সংস্কৃতিতে আধুনিক কবিতার মান/খ্যাতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিস্তারিত ...

Bangla Chora Kobita - ছড়া কবিতা


কবিতা শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে আনন্দ জেগে উঠে। ছন্দের সাহায্যে অথবা গদ্যের ভাষায় মনের ভাব ফুটিয়ে তোলাই হল কবিতা। ছোট থেকে বড়ো সবাই কবিতা পাঠ করতে ও শুনতে ভালোবাসেন। ছোট বাচ্চা কিন্তু কথা শেখার পর ছোট ছোট ছড়া প্রথম শেখে, এই ছড়াই কিন্তু কবিতার আর এক রূপ। বিস্তারিত ...

Bangla Sad Poem - দুঃখের কবিতা


আমরা শুধু মনের আনন্দে কবিতা পড়ি বা লিখি তা নয়, মনের দুঃখও কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করি। দুঃখের কবিতা (Sad Kobita) মানুষের দুঃখ কষ্টকে কেন্দ্র করে লেখা হয়। যেমন পৃথিবীতে এমন কোনও মানুষ নেই যে জীবনে কোনো দিনও দুঃখ পাইনি, তেমন দুঃখ ছাড়া কেউ কবি হতে পারে না। বিস্তারিত ...

Bangla Popular Kobita - জনপ্রিয় কবিতা


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান , ছবি, গল্প, উপন্যাস ও কবিতা সবই লিখেছেন । কিন্তু তিনি জগৎ বিখ্যাত বিশ্বকবি নামে পরিচিত অথার্ৎ এখানেও কবিতার জয় জয় কার। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতার মাধ্যমে বিদ্রোহকে আহ্বান জানিয়েছিলেন , আজ তাই তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। বিস্তারিত ...

Bangla Premer Kobita - ভালোবাসার কবিতা


প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) অর্থাৎ যে কবিতার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে প্রেম ভালোবাসাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। প্রেমের মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা এই জন্য প্রেমের কবিতাকে ভালোবাসার কবিতা (Love Poem) বলা হয়। বিস্তারিত ...