Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুক পড়ুন এবং লিখুন


Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুকের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বাংলা শিক্ষা ডট কম। জনপ্রিয় খ্যাতিমান কবিদের নানাবিধ বাংলা কবিতার একটি সংগ্রহশালা। এখানে জনপ্রিয় কবিদের হাজার হাজার বেঙ্গলি কবিতার [Bengali Poems] সংকলন রয়েছে , যা দিনকে দিন বাড়ছে। এছাড়াও এখানে মজার বাংলা জোকস [Bangla Jokes] , ছোট গল্প [Short Story], রচনা ইত্যাদির একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ।

আমাদের বাংলা কবিতা [Bangla Kobita] বৃহত্তর ফোরাম রয়েছে যেখানে আপনি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর পাশাপাশি বাংলা কবিতা, আবৃত্তি [Recitation] প্রকাশের [Publish] সুযোগ রয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য নতুন লেখক এবং লেখিকাদের লেখা প্রকাশের একটা মাধ্যম তৈরী করা। আপনার লেখা প্রকাশ করুন।

আমাদের দেশে এবং সারা পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার কবিরা রয়েছেন , যারা শুধু বাংলা নয় , নানা ভাষায় কবিতা লিখেছেন , তাদের কবিতার ডালি আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। আজ ইন্টারনেটের সুবিধার্তে কবিতা এখন হাতের মুঠোয়। কত বিখ্যাত , অবিখ্যাত কবির কবিতা আমরা শুনতে পাই।

Best Poem of the Week - সপ্তাহের সেরা কবিতা

Bangla Kobita Collection - আমাদের সংগ্রহ


জীবনমুখী কবিতাদুঃখের কবিতাপ্রেমের কবিতাজনপ্রিয় কবিতাছড়া কবিতা
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor

সাম্প্রতিক সংযোজন

আমি ফিলিস্তিনি – কৃষ্ণ কামাল

আমি ফিলিস্তিনি

কৃষ্ণ কামাল

 

 

আমি ফিলিস্তিন বাসি..

কিভাবে আজ দুঃখ কষ্টের দাসী

যদিও কথাটা অনেকদিনের

কিছু মানুষের বাস ভূমি হীনের

ঘুরিতেছিলো আমাদের গৃহের ধারে

থাকতে দিলাম আমাদের ঘরে

ধীরে ধীরে জোট বাধিয়া

বসিলো অধিকার চাহিয়া

এখন তারা জোর করে

আমাদের বাস ভূমিতে উঠলো বেড়ে

আমাদের তাড়ানোর ফন্দি

আমাদের ঘরে আমরা বন্দি

প্রতিবেশীর অস্ত্র ধরে

আমাদের সাথে যুদ্ধ করে

আমাদের ঘরে রক্তের নদি

সেটা বুঝেও না বোঝো যদি

আমাদের ছোট্ট শিশু সকল

মা হারা হয়ে কাদঁছে ব্যাকুল

অন্য প্রতিবেশীরা নিচ্ছে মজা

ভালো মানুষ হয়ে পাচ্ছি সাজা ।

 

এটা আমি…..

আমিও অনেক ছোট্ট এখানে

আমি পৌঁছাতে পারবো না সেখানে

আমি যে কলম চালাতে পারি

অস্ত্র চালাতে পারি না

আমার হৃদয়ে উঠছে ঝড়

আমার লেখা থামাতে পারি না ।।

মৃত্যু (পর্ব -২) – কৃষ্ণ কামাল

মৃত্যু (পর্ব -২)

কৃষ্ণ কামাল

 

 

অনেক খুঁজেছি তোমাকে আমি

তুমিই চিলি প্রচুর দামি

তোমারে আমি অনেক ডেকেছি

তোমার তোরে অনেক কেঁদেছি

তখন তুমি দাওনি দেখা

তারই জন্য আজ লেখা

তবে কেন এলে  ফিরে

আমার সুখের জীবন নীড়ে

যখন আমি ছিলাম কষ্টে দুঃখে

তাকালেন না ফিরে আমার মুখে

সেই দুঃখ কষ্ট সহে জীবনে

এই কষ্ট জীবন নিয়েছি মেনে

আজ কেবল ডাকছো আমায়

সুখ ছেড়ে কেউ কি ফিরতে চায়

হটাৎ একদিন কি যে হলো

ভোর হওয়ার আগে মৃত্যু ধরে নিলো

জীবন আর পেলাম না দেখা

তাই তো জীবন ছেড়ে মৃত্যু নিয়ে লেখা।।

।।

 

সুখানুভূতি

কিছু সুখ ফুলের ঘ্রাণে,

কিছু সুখ পাখির গানে। 

কিছু সুখ গগন তলে,

কিছু সুখ সাগর জলে। 

কিছু সুখ নদীর তটে,

কিছু সুখ স্মৃতির পটে। 

কিছু সুখ শীতল ছায়ায়,

কিছু সুখ প্রেমের মায়ায়।

কিছু সুখ কোমল রোদে,

কিছু সুখ মনের বোধে। 

কিছু সুখ তারার মেলায়,

কিছু সুখ গোধূলিবেলায়।

কিছু সুখ নরম ঘাসে,

কিছু সুখ জলে ভাসে।

কিছু সুখ জীবন রাগে,

কিছু সুখ হৃদয়ে জাগে। 

কিছু সুখ বিজয় মালায়,

কিছু সুখ বিরহ জ্বালায়।

কিছু সুখ স্রোতের টানে,

সুখ থাকুক সকল প্রাণে।

 

গৌরীকুঞ্জ ভ্রমণ – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

 

‘গৌরীকুঞ্জ’ ঘাটশীলা ভ্রমণের একটি অন্যতম জনপ্রিয় স্থান। গৌরীকুঞ্জ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসতবাটী। তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রীর নামে এই বাড়ির নাম রেখেছিলেন এমন।

আমরা ঘাটশীলায় এসে উঠেছিলাম রামকৃষ্ণ মঠে।আমরা মানে আমি আর আমার বাবা মা। সময়টা দু’হাজার তেইশ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে। এই রামকৃষ্ণ মঠ যেখানে অবস্থিত সেই জায়গার নাম হলো ‘দাহিগোরা’। ঘাটশীলা স্টেশন থেকে রামকৃষ্ণ মঠ প্রায় এক কিমি দূরে। রামকৃষ্ণ মঠ থেকে হেঁটে দুই মিনিট গেলেই গৌরীকুঞ্জে পৌঁছে যাওয়া যায়। রামকৃষ্ণ মঠের সামনেই রেললাইন।সারা দিনেরাতে মিলিয়ে ষাট থেকে সত্তরটি ট্রেন প্রতিদিন যাতায়ত করে। সংখ্যাটি তার থেকেও বেশি হতে পারে।একদিকে খড়গপুরের লাইন আর অপরদিকে টাটানগরের লাইন।তাই খুবই ব্যস্ত থাকে এই লাইন। বেশিরভাগই মালগাড়ি, দূরপাল্লার ট্রেন, কয়েকটা লোকাল ট্রেনও চলে।

বড়ো রাস্তার পাশ থেকে গৌরীকুঞ্জে যাওয়ার রাস্তা আছে। এই রাস্তার নাম ‘অপুর পথ’। সেই রাস্তা দিয়ে যেতে হলে পাশে এক বড়ো মাঠ পড়বে।এই মাঠের একদিকে বাজার বসে আর একদিকে সার্কাস, যাত্রা, খেলাধুলা প্রভৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বলা যায় এটিই হলো ঘাটশীলার সবথেকে জাঁকজমকপূর্ণ জায়গা। পথে হাঁটতে হাঁটতে দূরেই দেখা যাবে পাহাড়ের রেখা। খুব ভালো লাগে হাঁটতে। এমন পরিবেশ কা’র না ভালো লাগে? আর একটু এগিয়ে গেলে দেখা যাবে পাশে অনেক হোটেল লজ আছে থাকার জন্য। তারমধ্যে একটির নাম মনে পড়ছে ‘আনন্দিতা প্যালেস’।আর একটু এগিয়ে গেলে পাশে ঘাটশীলার পাবলিক স্কুল পড়বে। ছোটোখাটো স্কুল।এছাড়াও স্থানীয় মানুষদের থাকার বাড়ী এদিকে ওদিকে।
যাইহোক এইসব পেড়িয়ে গৌরীকুঞ্জে পৌঁছে যাওয়া যাবে।

এবার গৌরীকুঞ্জের বর্ণনায় আসি। বিভূতিভূষণের সেই পুরোনো গৌরীকুঞ্জের বাড়ি কিন্তু এখন আর নেই। এখন ঝাড়খন্ড সরকার নতুন আদলে বাড়িটি তৈরি করেছে। বাড়িটির চারধার সবুজ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। এবং ঢোকার সামনেই লোহার বড়ো গেট।তার উপরে লেখা ‘গৌরীকুঞ্জ’ বলে।

গৌরীকুঞ্জের ভিতরে বেশ বড়ো জায়গা রয়েছে। বাঁদিকে রয়েছে বিভূতিভূষণের একটি আবক্ষ মূর্তি।আর তার নিচে বিভূতিভূষণের জন্ম মৃত্যুর তারিখ আর তাঁর সম্বন্ধে দু চারটি কথা লেখা আছে। এটির পিছনেই ছোটো ছোটো কিছু ঘর আছে। প্রথমে ঢুকে একটি ছোটো বারান্দ দেখা যাবে।বাইরে জুতো খুলে ঘরে ঢুকতে হয়।এই বারান্দার ঠিক মেঝের কাছে আছে বিভূতিভূষণের সেই আদিবাড়ীর ছবি। ওটা দেখে ভাবছিলাম কী বাড়ি ছিল আর এখন কী বাড়ি হয়েছে। তবে সংস্কার তো করতেই হবে নাহলে কোনোকিছুই ভালো থাকবে না। এবার মূল ঘরের ভিতর ঢুকলাম। সেখানে বিভূতিভূষণের একটি বড়ো ছবি আছে।আর চারধারের দেয়ালগুলিতে তাঁর লেখা বিভিন্ন বইয়ের নাম ছবি, আছে।তাঁর ব্যবহার করা জামা কাপড় দেখলাম টাঙানো আছে তবে সবই কাঁচ দিয়ে ঘেরা। তাঁর বিভিন্ন বয়সের ছবি রয়েছে। ছবিগুলো খুবই দুর্লভ। ভিতরের ঘরের ছবি তোলা যাবে। খুব ভালো লাগবে।একদম শান্ত পরিবেশ।
এরপরে গেলাম পাশের ঘরে। সেখানে দেখলাম একজন মানুষ রয়েছেন একটি রেজিস্ট্রি খাতা নিয়ে। যারা যারা আসে ঘুরতে তাদের নাম ঠিকানা লিখতে হয় ইত্যাদি। তাঁর মুখ থেকে এই বাড়ীর অনেক কথা শুনলাম।
তিনি বললেন এই বাড়ীতেই বিভূতিভূষণের মৃত্যু ঘটে। সেই ছবিও দেখলাম রয়েছে। বিভূতিভূষণের হাতের লেখা দেখতে পেলাম। এত ভালো লাগছিল যে কী বলব।উনি কিছু দক্ষিণা চাইছিলেন।কারণ ওনারা একটি ছোট স্কুল চালায়।তাই যাদের যেমন ক্ষমতা সেই অনুযায়ী সাহায্য করে। আমরাও দিলাম কিছু আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী।

এরপর সেই ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। এবার চারপাশটা ঘুরে দেখতে লাগলাম। আগেই বলেছি সামনে বেশ বড়ো জায়গা রয়েছে।তার সামনে রয়েছে ‘তারাদাস মঞ্চ’। এটি বিভূতিভূষণের ছেলের নাম অনুযায়ী করা হয়েছে। এখানেই বাংলা শিক্ষা দেওয়া হয় ছোটো ছোটো শিশুদের। আর চারদিকের দেওয়ালে অসংখ্য ছবি আঁকা। বিভূতিভূষণের জন্ম থেকে শুরু করে জীবনের বিভিন্ন কাজকর্মের অজানা সব ছবি ভর্তি। আঁকা ছবিগুলো খুবই সুন্দর। আর সেই সাথে লেখাও রয়েছে। আমরা একে একে সব পড়ছিলাম। অনেক কিছু জানলাম। বিভূতিভূষণ এখান থেকে কোথায় কোথায় যেতেন, কোন পাহাড়ে কোন ঝর্ণার পাশে বসে গল্প উপন্যাস লিখতেন ইত্যাদি বিষয়ে লেখা আছে। তিনি তাঁর ছেলেকে ট্রেন দেখাচ্ছেন এমন ছবিও আঁকা আছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় স্ত্রীর ছবিও আঁকা আছে। তিনি বিবাহ  করছেন এমন ছবি আঁকা আছে। পাহাড়ে ঘন গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটছেন ইত্যাদি নানান ছবিতে ভরা দেয়াল।

আর একটি দেখলাম আমগাছ রয়েছে। চারপাশে লাল সিমেন্টের বেদী করানো। তার নিচে লেখা “দাদা বিভূতিভূষণের আম খাওয়ার ইচ্ছাতে ভাই নুট বিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় এই গাছটি বসিয়েছিলেন”। দেখলাম অল্প বয়সে পিতার মৃত্যুর পরে তিনি টিউশনি শুরু করেছিলেন এমনই ছবিও আঁকা আছে। সবকিছু দেখে নিয়ে এবার বেরিয়ে পরলাম।

গৌরীকুঞ্জ থেকে বেরিয়ে আমরা হাঁটা পথ ধরলাম সুবর্ণরেখা নদীর দিকে। আগেই বলেছি এখানে আসার পথে দূর থেকে দেখা যায় পাহাড়। তো সেই পাহাড় দেখার লোভ সামলাতে পারছিলাম না। আমরা গিয়েছিলাম বিকেলের দিকে। সামান্য একটু হেঁটেই চলে গেলাম সুবর্ণরেখা নদীর পারে। হাঁটার সময় বারবার মনে পড়ছিল এই পথ দিয়েই বিভূতিভূষণ হেঁটে গেছিলেন।কত গল্প উপন্যাস লিখেছিলেন ঐসব পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে।

সুবর্ণরেখা নদীর পারে যখন এসে দাঁড়ালাম তখন বিকেল শেষের পথে। পড়ন্ত লাল সূর্য ডুবছে দূরের পাহাড়ের মাথায়। উফ সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য! যারা না সামনাসামনি দেখেছে তারা ছাড়া এই অনুভূতি কেউ বুঝতে পারবে না।আকাশ লাল কমলা ইত্যাদি রঙে ভরে গেছে আর সুবর্ণরেখার জলে সেই আলো পড়ছে। একসময় দেখলাম সূর্য পাহাড়ের মাথায় ডুবে গেল। সামনাসামনি এমন সূর্য ডোবার দৃশ্য আমরা আগে খুবই কম দেখেছি। মনে মনে ভাবছিলাম হয়ত আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি ঠিক এই জায়গায় বসেই বিভূতিবাবু এমন বিকেলে সন্ধ্যার মুখে দূরের পাহাড় জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে কত গল্প উপন্যাসের প্লট ভেবেছেন।ভাবলেও গায়ে কাঁটা দেয়।

এরপর ফিরে চললাম রামকৃষ্ণ মঠের দিকে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। দেখলাম পিছনে কিছু স্থানীয় ছেলে কয়েকটি মোষ নিয়ে ফিরছে। এটাই তো গোধূলি। আবার গৌরীকুঞ্জের পাশ দিয়েই ফিরে চললাম। অপুর পথ পেরিয়ে বড়ো রাস্তায় উঠলাম।এই রাস্তার ঠিক পাশেই রেললাইন। সবসময় ট্রেনের আওয়াজে জায়গা গমগম করে। ভাবছিলাম এইসব ট্রেনের আওয়াজ বিভূতিবাবুও শুনেছিলেন আজ আমরাও শুনছি। ঘন্টায় তাও পনেরোটা মতন ট্রেন যায় কী তারও হয়ত বেশি হবে। চারিদিকে আলো জ্বলে গেছে। বড়ো ছোট গাড়ি যাচ্ছে। দেখলাম একটা এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটে গেল। যারা ট্রেন ভালোবাসে, পাহাড় ভালোবাসে, নদী ভালোবাসে তাদের জন্য এমন একটা পরিবেশ আদর্শ।
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম রামকৃষ্ণ মঠে।

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
৪/১২/২০২৩

এমন কিছু আমার চাওয়া – কৃষ্ণ কামাল

এমন কিছু আমার চাওয়া

কৃষ্ণ কামাল

 

 

এমন কোনো দিন আছে কি

যাহার শেষে রাত পাবোনা

এমন কোন পথ আছে কি

কিছুটা গিয়ে আর যাবোনা

এমন কোনো আলো আছে

যাহার পর অন্ধকার নাই

এমন কোনো কথা আছে

যাহার পর কোনো কথা নাই

এমন কোনো নাম আছে কি

যে নামেতে কেউ ডাকে না

এমন কারো দিন কাটে কি

যে দিনে তার নেই ভাবনা

এমন কোনো সুখের বাজার

যেখানে কম মূল্যে অনেক সুখ পাই

এমন সকল অনেক আজব

যে গুলি কেবল আমারি চাই

এমন কোনো লেখা আছে

যাহার কোনো মানে বুঝি নাই

এমন ভেবে এই লেখাটা

আজ আমি লিখেছি তাই ।।

।।

রাত জাগা (পর্ব -২) – কৃষ্ণ কামাল

রাত জাগা (পর্ব -২)

কৃষ্ণ কামাল

 

 

রাতে জাগে বাড়ির সামনে

পোষা সকল কুকুর গুলি

ঘেউ ঘেউ করে ডেকে ওঠে

যখন আমি হেঁটে চলি

আবার ওরা ডেকে ওঠে

সকলে সব দলে দলে

তখন আমি বিছানা ছেড়ে

দেখি পথের ধারের জানালা খুলে

দেখতে পেলাম খানিক বাদে

ওখানে ওটা নড়ছে কেন

দেখলাম আমি ভালো করে

জোৎস্নার ওই আলোতে

কুকুরের ডাক শুনে

কয়েকজন কে যেন পালাতে

ভাবলাম আমি ওরা কারা

দেখতে কেমন মানুষ মতো

তাহলে এরাও হয়তো সবাই

প্রতি রাতে  জাগে কতো

যদিও আমার কবিতা

কেবল রাত জাগা নিয়ে

কি হবে ওই মানুষ গুলির

আসল পরিচয় দিয়ে ।।

।।

রাত জাগা (পর্ব -১) – কৃষ্ণ কামাল

রাত জাগা (পর্ব -১)

কৃষ্ণ কামাল

 

 

দিনে জাগে পশু পাখি

রাতে জাগে জোনাকি

রাতে তে ও  আমি জাগি

তুমি জানো তা কি

রাতে আমায় জাগিয়ে রাখে

অচেনা সকল ভাবনা গুলি

রাতে আরও কারা জাগে

তুমি দেখছি গেছো ভুলি

সারা রাত চাঁদ জাগে

আরও জাগে তারারা

আমি জানি পেঁচা জাগে

আরও জানো ডাকে কারা

আমি ও রাতে শুনি

ঝিঁ ঝিঁ ডাকে দোলে দোলে

আরো পাই পায়ের শব্দ

যেসব মানুষ রাতে চলে

এই রাত দুপুরে একা জেগে

আমার এই কবিতা লেখা

এই রাতে ছাদে গিয়ে

তারায় ভরা আকাশ দেখা ।।

।।

ভাই বোন – কৃষ্ণ কামাল

ভাই  বোন

      কৃষ্ণ কামাল

 

 
ভাই ও বোন, দুই প্রাণ
এক রক্তের এক মানুষ
এক সুখের এক দুঃখ
এক প্রেমের এক সুর
 
ভাই হলো বোনের রক্ষা
বোন হলো ভাইয়ের অনুরাগ
ভাই হলো বোনের সাথী
বোন হলো ভাইয়ের সাহায্য
 
ভাই ও বোন, দুই ফুল
এক গাছের এক ছায়া
এক রঙের এক গন্ধ
এক সৌন্দর্যের এক ছবি
 
ভাই হলো বোনের আনন্দ
বোন হলো ভাইয়ের আশা
ভাই হলো বোনের বন্ধু

বোন হলো ভাইয়ের ভালোবাসা ।।

।।

আমার প্রিয় বাবা – কৃষ্ণ কামাল

আমার প্রিয় বাবা

কৃষ্ণ কামাল

 
 
বাবা, তুমি আমার প্রথম শিক্ষক
বাবা, তুমি আমার প্রথম বন্ধু
বাবা, তুমি আমার প্রথম প্রেরণা
বাবা, তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা
 
তুমি শিখিয়েছো হাসতে, কাঁদতে, গান গাইতে
তুমি শিখিয়েছো ভালো থাকতে, ভালো করতে, ভালো লাগতে
তুমি শিখিয়েছো সত্য বলতে, সত্য করতে, সত্য মেনে নেতে
তুমি শিখিয়েছো ভালোবাসতে, ভালোবাসা দেখাতে, ভালোবাসা পেতে
 
তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার
তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান
তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ
তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুখ
 
তুমি আমার প্রতি করে যাও যত কিছু
আমি তোমার প্রতি করতে পারি তার চেয়ে কম
তুমি আমার কাছে দেয় যত কিছু
আমি তোমার কাছে দিতে পারি তার চেয়ে কম
 
আমি তোমাকে বলতে চাই একটা কথা
আমি তোমাকে দেখাতে চাই একটা কথা
আমি তোমাকে বুঝাতে চাই একটা কথা

আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমার প্রিয় বাবা ।।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ – কৃষ্ণ কামাল

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ

কৃষ্ণ কামাল

 

 

 তোমার কবিতা আলোকিত হৃদয়।

 তুমি লিখতে গিয়েছিলেন গীতাঞ্জলি,

 প্রেমের সম্পূর্ণ বিবর্ণ ছায়া।

একলা চলো, অন্ধকারে পথ হলেও,

 তুমি জ্যোতির বান্ধব।

 জন গণ মনে তোমার অমিত স্মৃতি,

 দেশের স্বাধীনতা তোমার কবিতা হৃদয়।

শান্তিনিকেতনে তোমার বাস,

 বিশ্ববিদ্যা তোমার মুক্তিযোগ্য প্রহর।

 তুমি নির্বাচিত হলে আমাদের রবীন্দ্র,

 অমর হবে তোমার

 কবিতা ও সঙ্গীত স্বর।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ,

 তোমার কবিতা

আমাদের জাতির সমর্থনে।

 তোমার কণ্ঠশিল্প

 সৃষ্টিশীল বাণী,

 জীবনের গভীরতা ছুঁয়ে

 দেয় জাগরূকতা নীল।

গীতাঞ্জলির মেলা,

 সমগ্র বিশ্বের ভালোবাসা,

 তোমার ছায়ায় জীবনে

 মিলে শান্তির আলোকাশা।

 জনগনের মাঝে

তোমার গান বজ্রধারা,

 প্রেমের উৎসবে ছায়ায়

বেড়ে যায় হৃদয়ের সাগর।

তোমার বাণীতে সবুজের

 রূপ রয়েছে চিরকাল,

 সত্যিকারের অবদান

 শিক্ষার জ্যোতির জাল।

 তোমার কবিতা হয় আমাদের বীণা,

 বাংলার সম্মান তোমার

চিরকালের সুর জীবনে বীণা।

 

ডাক পিওন – কৃষ্ণ কামাল

ডাক পিওন

কৃষ্ণ কামাল

 

 

তোমার ওই সুখের খবর

কে তোমায় দেয়

আমি সবার খবর রাখি

কেউ কি আমার খবর নেয়

কারো ভালোবাসার আবার

কেউ বাড়ি ফিরে আসার

সকল খবর সবাইকে

দেওয়া কাজ আমার

কারো কোনো সুখের খবর

বলি হাসি মুখে

কারো খবর বলতে পারি না

চুপ করে থাকি দুঃখে

আবার কারো এমন চিঠি

দিতে হয় খুব গোপনে

আমি ভাবি আমার কথা

থাকে কি কারো মনে

কয়েক দিন এমন কাটে

কিছু দিন পরে

একখানা চিঠি এলো

আমার বাড়ির নম্বরে

সকল চিঠি দেওয়ার পরে

আমার চিঠি নিয়ে ফিরি ঘরে

ধীরে ধীরে খুললাম চিঠি

পড়লাম আমি চিঠিটা

তখনাৎ ঘামে ভেজা শরীর

ভেঙে গেলো ঘুমটা

দেখি চিঠিয়ে লেখা

আমার হয়েছে প্রমোশন

আমাকে ডেকেছে মৃত্যু

হেরেছে জীবন।।

।। 

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ – কৃষ্ণ কামাল

কবিগুরু  রবীন্দ্রনাথ

কৃষ্ণ কামাল

 

 

 

কবিগুরু

কবিগুরু, তুমি আমার প্রাণের আলো

তুমি আমার মনের গান

তুমি আমার ভাষার মুক্তি

তুমি আমার সংস্কৃতির প্রাণ

কবিগুরু, তুমি আমার শিক্ষার গুরু

 তুমি আমার চিন্তার পথ

তুমি আমার কলার উৎস

 তুমি আমার সাহিত্যর মত

কবিগুরু, তুমি আমার দেশের গর্ব

 তুমি আমার রাষ্ট্রের গান

 তুমি আমার বিশ্বের বন্ধু

 তুমি আমার মানবতার প্রমাণ

কবিগুরু, তুমি আমার অনন্ত অনুপ্রাণ

 তুমি আমার অমর অভিমান

 তুমি আমার অমূল্য অর্ঘ্য

 তুমি আমার অবিশ্বাস্য অভিযান ।।

।।

 

চাঁদনী রাতে কামিনী – কৃষ্ণ কামাল

চাঁদনী রাতে কামিনী

কৃষ্ণ কামাল

 

 

ভালো লাগে রাতের মধ্যে

যে রাত চাঁদনী

সেই রাতে ভালো লাগে

তোমায় কামিনী

দেখি আমি জানালা খুলে

একা তুমি দাড়াঁয়ে

দেখছি আমি তোমায় কেবল

স্তির নয়নে তাকায়ে

জানোনা কামিনী তুমি

আমি তোমায় কত ভালোবাসি

সারাদিন যেখানে কাটাই

রাতে তোমার কাছে আসি

তোমায় ভালোবেসে এনেছিলাম

আমার ঘরের বাগানে

স্থান পেয়েছো তুমি আজ

আমার হৃদয়ের কোণে

সত্যি বলছি কামিনী

তোমায় ভুলতে পারবোনা

হারিয়ে যাবো আমি

তোমায় হারাবো না

মনে ভাবি বেঁচে আছি আমি

কেবল তোমারি জন্য

তোমার ওই সুভাসে

                             আমার হৃদয় হয়েছে ধন্য।। 

বাংলার বিদ্রোহী কবি – কৃষ্ণ কামাল

 বাংলার বিদ্রোহী কবি

  কৃষ্ণ কামাল

 

 

কাজী নজরুল ইসলাম,

তুমি বাংলার বিদ্রোহী কবি

তোমার কবিতা আমাদের দেয় শক্তি

ভালোবাসা তুমি লিখেছো ধর্মের ছবি

স্বাধীনতা, মানবতা ও বিপ্লব তুমি

গেয়েছো বাংলা, হিন্দুস্তানী, ফার্সী ও আরবী

কাজী নজরুল ইসলাম

তুমি বাংলাদেশের জাতীয় কবি

তোমার সঙ্গীত আমাদের দেয় আনন্দ

উৎসাহ তুমি সৃষ্টি করেছ নজরুলগীতি

অগ্নিবীণা, বাঁধন হারা

তুমি বাজিয়েছ হারমোনিয়াম, প্রীতি

কাজী নজরুল ইসলাম

তুমি ভারতের পদ্মভূষণ পুরস্কারী

তোমার জীবন আমাদের দেয় শিক্ষা

প্রেরণা তুমি ছিলে সৈনিক, বাংলারি

সাংবাদিক, নাট্যকার ও রাজনৈতিক

তুমি ভোগেছ কষ্ট, কারাগার, অসুস্থতা,  নির্বাসন

কাজী নজরুল ইসলাম,

তুমি আমাদের গর্ব ও সম্মান

তোমার কবিতা আমাদের করে

বাংলার সন্তান তুমি আমাদের দেয় আশা

সাহস, বিশ্বাস ও বিশ্বসতা তুমি

আমাদের দেয় নতুনের গান,

বিদ্রোহীর প্রাণ

 

বাংলার বীর – কৃষ্ণ কামাল

বাংলার বীর

  কৃষ্ণ কামাল

 

 

বাংলার বীর, তুমি কোন আকাশের তারা?

 যে আলো দিয়ে রক্তের রঙ করে দারা।

 তুমি কোন পথের ফুল, যে ফুটে আসো বারবার?

 যে বাতাসের গান শুনে ছুটে চলো যুদ্ধার।

বাংলার বীর, তুমি কোন নদীর ঢেউ?

 যে বেগে চলো মুখোমুখি শত্রুর শেউ।

 তুমি কোন পাহাড়ের শিখর, যে উঁচু থেকো নির্ভয়?

 যে মেঘের চোখে দেখো স্বাধীনতার অভয়।

বাংলার বীর, তুমি কোন সময়ের সাক্ষী?

 যে লিখে চলেছো ইতিহাসের পাতায় নিজের ছাপ।

 তুমি কোন মানুষের সন্তান, যে জন্মেছো মাটির মায়ায়?

 যে মরেও জীবন্ত থাকো প্রতি বাঙালির হিয়ায়।

বাংলার বীর, তুমি কোন গানের সুর?

 যে ভরে দাও শক্তি আমাদের মনের দুর।

 তুমি কোন কবিতার ছন্দ, যে বাজে আমাদের কানে?

 যে বলে দাও, বাংলার বীর, তুমি আমাদের প্রাণে।

 

 

 

 

Bangla Deshattobodhok Kobita - দেশাত্মবোধক কবিতা


অতি প্রাচীন কাল থেকে নানা মুনি, ঋষি ও মহাপুরুষ -রা নানা কবিতা লিখে গেছেন। কেউ লিখেছেন প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, কেউ লিখেছেন যুদ্ধের আবার কেউ ভালোবাসার। অনেক কবি আছেন যাদের কবিতার মাধ্যমে আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের নানা ঘটনা জানতে পারি। বিস্তারিত ...

Adhunik Bangla Kobita - আধুনিক কবিতা


জনপ্রিয় কবির লেখা নির্বাচন করে হুবহু বলার সাথে সাথে শুদ্ধ উচ্চারণ,স্পষ্ট বাচনভঙ্গি এবং সুললিত কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কবিতা বা ছড়ার ভাববিষয় শ্রোতার নিকট উপস্থাপিত করাই হল আবৃত্তি। শিল্প-সাহিত্যের আঙিনাতে আবৃত্তির প্রবেশাধিকার বহুদিন আগে থেকেই। সাহিত্যের একটি প্রাচীনতম শাখা হচ্ছে কবিতা। বর্তমান সময়ে সাহিত্য জগতে শিল্প-সংস্কৃতিতে আধুনিক কবিতার মান/খ্যাতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিস্তারিত ...

Bangla Chora Kobita - ছড়া কবিতা


কবিতা শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে আনন্দ জেগে উঠে। ছন্দের সাহায্যে অথবা গদ্যের ভাষায় মনের ভাব ফুটিয়ে তোলাই হল কবিতা। ছোট থেকে বড়ো সবাই কবিতা পাঠ করতে ও শুনতে ভালোবাসেন। ছোট বাচ্চা কিন্তু কথা শেখার পর ছোট ছোট ছড়া প্রথম শেখে, এই ছড়াই কিন্তু কবিতার আর এক রূপ। বিস্তারিত ...

Bangla Sad Poem - দুঃখের কবিতা


আমরা শুধু মনের আনন্দে কবিতা পড়ি বা লিখি তা নয়, মনের দুঃখও কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করি। দুঃখের কবিতা (Sad Kobita) মানুষের দুঃখ কষ্টকে কেন্দ্র করে লেখা হয়। যেমন পৃথিবীতে এমন কোনও মানুষ নেই যে জীবনে কোনো দিনও দুঃখ পাইনি, তেমন দুঃখ ছাড়া কেউ কবি হতে পারে না। বিস্তারিত ...

Bangla Popular Kobita - জনপ্রিয় কবিতা


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান , ছবি, গল্প, উপন্যাস ও কবিতা সবই লিখেছেন । কিন্তু তিনি জগৎ বিখ্যাত বিশ্বকবি নামে পরিচিত অথার্ৎ এখানেও কবিতার জয় জয় কার। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতার মাধ্যমে বিদ্রোহকে আহ্বান জানিয়েছিলেন , আজ তাই তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। বিস্তারিত ...

Bangla Premer Kobita - ভালোবাসার কবিতা


প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) অর্থাৎ যে কবিতার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে প্রেম ভালোবাসাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। প্রেমের মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা এই জন্য প্রেমের কবিতাকে ভালোবাসার কবিতা (Love Poem) বলা হয়। বিস্তারিত ...