Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুক পড়ুন এবং লিখুন


Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুকের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বাংলা শিক্ষা ডট কম। জনপ্রিয় খ্যাতিমান কবিদের নানাবিধ বাংলা কবিতার একটি সংগ্রহশালা। এখানে জনপ্রিয় কবিদের হাজার হাজার বেঙ্গলি কবিতার [Bengali Poems] সংকলন রয়েছে , যা দিনকে দিন বাড়ছে। এছাড়াও এখানে মজার বাংলা জোকস [Bangla Jokes] , ছোট গল্প [Short Story], রচনা ইত্যাদির একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ।

আমাদের বাংলা কবিতা [Bangla Kobita] বৃহত্তর ফোরাম রয়েছে যেখানে আপনি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর পাশাপাশি বাংলা কবিতা, আবৃত্তি [Recitation] প্রকাশের [Publish] সুযোগ রয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য নতুন লেখক এবং লেখিকাদের লেখা প্রকাশের একটা মাধ্যম তৈরী করা। আপনার লেখা প্রকাশ করুন।

আমাদের দেশে এবং সারা পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার কবিরা রয়েছেন , যারা শুধু বাংলা নয় , নানা ভাষায় কবিতা লিখেছেন , তাদের কবিতার ডালি আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। আজ ইন্টারনেটের সুবিধার্তে কবিতা এখন হাতের মুঠোয়। কত বিখ্যাত , অবিখ্যাত কবির কবিতা আমরা শুনতে পাই।

Best Poem of the Week - সপ্তাহের সেরা কবিতা

Bangla Kobita Collection - আমাদের সংগ্রহ


জীবনমুখী কবিতাদুঃখের কবিতাপ্রেমের কবিতাজনপ্রিয় কবিতাছড়া কবিতা
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor

সাম্প্রতিক সংযোজন

কে সে ?- কবি- জুয়েল ইসলাম

কেপে উঠে ছোট মনটা আমার তোমায় দেখে

মন অনেক খুশি হবে তোমাকে পেয়ে,

ভাবি শুধু কে আসবে আমার জীবনে

যার সঙ্গে খেলা করবো মিষ্টি বাগানে

কিন্তু জানিনা কে সে?

যে আমাকে ভীষণ ভালোবাসে,

যে দাখে আমাকে চোখের আড়ালে

আমার সাথে দেখা হলে লুকিয়ে পরে

 

আমি শুধু দেখি তার চোখগুলো

আরো মন করে শুনতে তার কথাগুলো,

সেই মিষ্টি হাসি, সেই হরিণের মতো চোখ

যা দেখে আমায় হয়ে যায় ভালোবাসার রোগ

সবসময় ভাবি তোমায় নিয়ে

স্বপ্নে হারিয়ে যায় তোমায় পেয়ে,

কিন্তু আমি জানিনা কে সে?

যে আমাকে ভীষণ ভালোবাসে

 

জবাব দাও বিধাতা – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

যেসব নারীদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে

যদি তারা ধর্ষণের শিকার না হতো

তাহলে হয়তো তারা আজও বেঁচে থাকত।

তারা হয়তো ছিল 

কেউ শিক্ষিকা, কেউ গৃহবধূ, কেউ বছর কুড়ির মেয়ে,

কেউ চাকুরিজীবী, কেউ সমাজসেবী….

এমন আরও কত!

অত হিসেব কি রাখা যায়?

যদি তাদের ধর্ষণের শিকার না হতে হতো 

আজও তারা হয়তো বেঁচে থাকত

পৃথিবীর বুকে হেসে খেলেই জীবন কাটিয়ে দিত।

কিন্তু ভাগ্য তাদের তেমন ছিল না নিশ্চয়

ভাগ্যে বিপদ লেখা থাকলে তাকে আটকানো খুব মুশকিল।

ভাগ্য তো লেখেন শুধু বিধাতা।

কেন জীবনে তাদের এমন নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হলো?

কেন তুমি তাদের এমন ভাগ্য লিখলে?

কেন তুমি তাদের শান্তিতে থাকতে দিলে না?

জবাব দাও বিধাতা।

এর জবাব তুমি ছাড়া আর কে দেবে?

তোমার কাছ থেকেই পাব ঋত জবাব।

দাও জবাব। হে বিধাতা, জবাব দাও।

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

২৬/৮/২০২৪

 

কে সেই আল্লাহ?- কবি- জুয়েল ইসলাম

সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান ও জামিন

তিনি আল্লাহ হচ্ছেন রহমানুর রহিম,

সেই আল্লাহ চিরজীবী চিরস্থির

দুনিয়ার সমস্ত জীব তার সৃষ্টির

যিনি দয়ালু, রহমান, দয়াময়

তিনার প্রশংসার কোনো শেষ নাই,

যিনি ভীষণ ভালোবাসেন তার বান্দাদের

কারণ তিনি সৃষ্টি করেছেন তাদের নিজ হাতে

আহা কানো বুজতে পারছো না আল্লাহর ভালোবাসাকে

যা তিনি বুজিয়ে দিয়েছেন মায়েদের মাধ্যমে,

এক মা যত ভালোবাসে তার সন্তানকে

তার চেয়ে অধিক ভালোবাসে আল্লাহর তার বান্দাদের

ভীষণ শান্তি লাগে আমায় যখন রবের সেজদায় যাই

কারণ, সে রকম মজা কোথায় না পাই

বান্দা যখন কোন গুনা করতে যাই

মহান আল্লাহ সেখানে পর্দা করে দেই,

অসম্মান যেন না হয় বান্দা লোকদের মাঝে

তবু আমরা একটুও ভয় করিনা মহান আল্লাহকে 

 

 

ঠাই -নাশিদ ববি

একটু ঠাই 

একটু আশ্রয় একটু ভালোবাসা 

মিছে সেই বাহানা 

বার বার কেন তবে আঘাত আসে এখানে 

দেখেছি সেই চোখ  অনেক কিছু দাবি রাখে 

কি দিলে সুখ হবে তার 

বারে বারে  এতো কি  সে চায় ? 

খালি দাও আর দাও যা আছে সব তোমার 

বনেদী পরিবার সবই আছে তার 

ঠাই নেই বুঝি 

হতভাগী এক অশুভ আত্মার 

চোখ পরলে নষ্ট হয়ে যায় সবই 

কত যে গালমন্দ অভিশাপ 

দেয়ালেরও কান আছে চুপ কর আস্তে বল তবে 

সাজিয়ে গুঁজিয়ে দিতে হবে ভুরি ভুরি 

দুর হয়ে যা তুই যে অশুভ রমণী 

পানির উপর পানি খেয়ে যায় হতভাগী 

ধরে না তার অন্ন কমে যাবে বুঝি 

শুকনো মুড়ি আর এক কাপ গরম পানি

করে যায় অনশন ভালোবেসে বুঝি 

থাক তবে তারা যেমন আছে সেভাবে 

ঠাই নাই ঠাই নাই 

হতভাগী বুঝি 

সোনার চামচ মুখে পড়ে নাই বুঝি 

গবীর দাসী তারা 

সমানে সমানে অংক করে নাই বুঝি 

বেনেদি তারা বুঝি 

কথার এতো ঝাল কেন তবে 

মধু বুঝি কিনতে পারে নাই তোর বাবা কোন কালে 

কত কিছু চায় তারা 

ভাঙ্গা ঘর থেকে নিয়ে আসা এক চাঁদ 

তুলনা করলে পাল্লায় কম দাম হবে 

দেখো তো সাথে কিছু আনে নাই কেন তারা 

থামো একশ হাত দুরে থাকো তোমরা 

ঠক বানোয়াট 

প্রাসাদের দেওয়াগুলো স্বর্ণ দিয়ে বাঁধানো 

দামী মার্বেল পাথর কি দেখেছো ? 

দাও তো দেখি একটিও কি দেবার ক্ষমতা আছে 

সবই শূন্য কলস ঝনঝন করে বাজে 

পান্তা ভাত খাই শুকনো মরিচ পোড়া দিয়ে 

একটু ঠাই বুঝি নেই আপন গৃহে 

একটু আশ্রয় বুঝে সে কেড়ে নেয় জোর করে 

দাও দাও বেশি করে যত দেবে তত পাবে ভালোবাসা অফুরন্ত । 

আমি যা পারি – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

তোমায় ঠিক কতটা ভালোবাসি

তা বোঝাতে পারব না আমি।

 

আমি নই জাদুকর যে, 

তোমায় ঠিক কতটা ভালোবাসি তা বোঝানোর জন্য জাদু করে এক নিমেষেই পায়রাকে গোলাপ বানিয়ে দেখাব।

 

আমি নই ঈশ্বর যে, 

তোমায় ঠিক কতটা ভালোবাসি তা বোঝানোর জন্য ঐশ্বরিক ক্ষমতায় আকাশ থেকে গোলাপ বৃষ্টি করে দেখাব।

 

আমি নই আমির যে,

তোমায় ঠিক কতটা ভালোবাসি তা বোঝানোর জন্য

একটা গোলাপ বাগানের দ্বীপ তোমায় উপহার দেব।

 

আমি তো কবি

আমার অমন ক্ষমতা নেই একদমই।

আমার কবিতায় আমি 

তোমার নাম চিরস্থায়ী করে রেখে যেতে পারি,

আমার কবিতা যতদিন মানুষ পড়বে

তোমার নামও ততদিন মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াবে,

আমি পারি শুধু এইটুকুই।

 

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৮/৮/২০২৪

পুরোনো হয়ে গেছি – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

তোমার সাথে সেই কবে মেসেঞ্জারে কথা বলেছিলাম আজ থেকে বহুদিন আগে,

তারপর থেকে আর কথা হয়নি,

কোনোদিন কথা হয়নি।

তুমি যে আমায় ভুলে গেছ একেবারে

তা আমি ভালোভাবে জানি।

আমার পরে আরও কত জনের সাথে আলাপ করেছ, কথা বলেছ ঐ মেসেঞ্জারেই 

কিন্তু ভুলেও আর আমাকে পরে একবারও মেসেজ পাঠাওনি।

কিন্তু আজ এই দু’বছর হল আমার চ্যাট লিস্টে এখনও প্রথমে সেই তুমিই আছ

সেই দু’বছর আগের তারিখ দেয়া মেসেজটা দেখি এখনও।

আসলে সবাই তো আর যেচে কথা বলতে আসে না আমার সাথে 

তুমি এসেছিলে, তারপর আবার চলেও গেলে।

তুমি বন্ধুত্বের সম্পর্ক করতে চেয়েছিলে আমার সঙ্গে

আমি সে সম্পর্ক গ্ৰহণ করেছিলাম,

কিন্তু তারপরে আমাকে ভুলে গেলে

অথচ আমি তোমায় এখনও মনে রেখেছি।

আমি জানি এই কয় বছরে তুমি অন্তত আরও শত শত নতুন মানুষের সাথে কথা বলেছ

কিন্তু ভুলেও অনন্ত একবারের জন্য হলেও আমার সঙ্গে কথা বলতে চাওনি।

যদি তুমি সারাদিন ধরে স্ক্রোল ডাউন করে চ্যাট লিস্টে আমায় খোঁজো

তবু আমায় পাবে না খুঁজে

কারণ এতটাই পিছনে পড়ে আছি আমি।

অথচ দ্যাখো, তোমার সাথে ঐ দু’ বছর আগে করা মেসেজগুলো যখন দেখি একদম নতুনের মতো লাগে 

আর তুমি নিত্যদিন এত নতুন নতুন মানুষের সাথে কথা বলেছ যে আমি তোমার কাছে পুরোনো হয়ে গেছি।

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

২১/৫/২০২৪

 

কখনও অপরাধ কোরো না

তুমি যদি কখনও কোনো অপরাধ করে

মানুষের হাত থেকে পেয়ে যাও পার,

জেনো ভগবানের হাত থেকে 

তুমি পাওনি পার।

 

মানুষের চোখে ধুলো দেয়া সহজ

তবে ভগবানের চোখে ধুলো দেয়া নয় সহজ,

তুমি তো মানুষকে দেখতে পাও

তাই মানুষের চোখে ধুলো দাও,

তুমি তো ভগবানকে দেখতে পাও না 

তাই তাঁর চোখে ধুলো দিতেও পারো না।

 

তুমি কখনও অপরাধ করলে তার শাস্তি

মানুষ তোমায় না দিলেও,

ভগবান দেবেন তোমায় শাস্তি —-

এই কথা মনে রেখো।

 

তাই কোরো না অপরাধ কখনও

অপরাধ করার আগে দশ বার ভাবো,

আর যদি ভাবো তুমি অপরাধ করে

মানুষের বিচারালয় থেকে পার পেয়ে যাবে,

এই কথাটি রেখো স্মরণে —

একদিন না একদিন ভগবানের বিচারালয়ে তুমি সাজা পাবে।

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৬/৮/২০২৪

ভগবান ঠিকই থাকবেন – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

আজ আছি কাল থাকব না

পৃথিবী আজ আছে কাল থাকবে না

সূর্য আজ আছে কাল থাকবে না

আকাশ আজ আছে কাল থাকবে না।

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়

যা আজ আছে কাল তা থাকবে না।

বলা যায় এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডটাই আজ আছে তো কাল থাকবে না।

তবে সবকিছু শেষ হয়ে গেলেও

তবুও একজন ঠিকই থাকবেন,

তিনি হলেন —- ভগবান।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

৪/৮/২০২৪

ভগবান সত্য – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

ভগবান সত্য।

এই বিশ্ব যেমন সত্য

ভগবান তেমন সত্য।

সূর্য, চন্দ্র, বুধ, মঙ্গল যেমন সত্য

ভগবান তেমন সত্য।

যূথিকা, জবা, নিশিগন্ধা, হাসনাহেনা যেমন সত্য

ভগবান তেমন সত্য।

মানুষ যেমন সত্য, 

পশুপাখি যেমন সত্য,

পাহাড়-পর্বত যেমন সত্য, 

নির্ঝর-নির্ঝরিণী যেমন সত্য 

ভগবান তেমন সত্য।

মিথ্যা যেমন কখনোই সত্য হয় না

ভগবান তেমন কখনোই মিথ্যা হয় না।

তাই ভগবান সত্য

হ্যাঁ ভগবান সত্য।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

৩০/৭/২০২৪

 

জন্ম হয়েছে – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

জন্ম হয়েছে মৃত্যুর জন্য।

জন্ম হয়েছে কিছু করে যাওয়ার জন্য।

জন্ম হয়েছে দুঃখ আনন্দ মাথা পেতে নেওয়ার জন্য।

জন্ম হয়েছে সত্যের পথে থাকা কতটা কঠিন তা বোঝার জন্য।

জন্ম হয়েছে ঈশ্বরের সৃষ্টি করা পৃথিবী দেখবার জন্য।

জন্ম হয়েছে ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।

জন্ম হয়েছে ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বোঝবার জন্য।

জন্ম হয়েছে ঈশ্বরের দেখানো পথ মেনে চলার জন্য।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

৪/৮/২০২৪

এক ধর্ষিতা মেয়ের কাহিনী – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

আমি এখন আকাশে থাকি তারা হয়ে

এক সময় ছিলাম পৃথিবীতে মেয়ে হয়ে।

অকালে আমার আয়ু গেছে ফুরিয়ে 

ভেবেছিলাম জীবনে অনেক বড়ো হয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাঁচব সমাজে।

কিন্তু হয়নি সেই সাধ পূরণ

তার আগেই শেষ হয়ে গেল আমার জীবন।

পাড়ার লোকেরা বলতো, আমি নাকি খুব সুন্দর দেখতে।

আমার বাবা মায়ের কাছে হামেশাই এসে পাড়ার নানান লোকেরা বলতো,

মেয়ে তো বড়ো হচ্ছে

এবার বিয়ে দিয়ে দাও

অত পড়াশোনা শিখে কী হবে

সেই তো শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খুন্তি নাড়বে…

ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমার মা তখন বলতো, ওর বাবার ইচ্ছা মেয়ে আগে লেখাপড়া শিখে ভালো চাকরি করুক তারপর বিয়ে করবে…

এত অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে লাভ নেই, আগে রোজগার করুক তারপর বিয়ের চিন্তা…ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি আমি।

একদিন ফিরছিলাম সন্ধ্যা সাতটার পর বাড়ির পথে, মস্টারমশায়ের কাছ থেকে পড়ে।

আমার বয়স তখন ছিল তেইশ।

সেদিন ছিল অমাবস্যা 

তার উপর শহরের পথ-ঘাট ছিল লোডশেডিং-এ ঢাকা।

আর দশ মিনিট হেঁটে গেলে বাড়ি পৌঁছে যেতাম,

কিন্তু না, ভাগ্যে আমার লেখা ছিল না এইভাবে বাড়ি পৌঁছাব।

বাড়ির পৌঁছানোর কিছু আগেই

হঠাৎ পাঁচজন পুরুষ আমার চারিদিক ঘিরে ফেলল।

ওদের তিনজন সিগারেট খাচ্ছিল

সেই আলোতেই কোনোরকমে বুঝেছিলাম ওরা ক’জন।

আমি ওদের মুখ ভালো করে দেখতে পাইনি।

আমার মুখ, হাত, পা নিমেষের মধ্যে বেঁধে ফেলল

আমি কিছু বুঝতে পারার আগেই।

আমার চোখ দুটো শুধু খোলা থাকল।

আমায় টেনে নিয়ে তুলল একটা গাড়িতে

আমি চিৎকার করার সুযোগ পর্যন্ত পাইনি।

ওদিকে রাত বাড়তে থাকে

আমার বাবা মায়ের চিন্তাও বাড়তে থাকে।

মেয়ে ফেরে না কেন? এমন নানান চিন্তা…।

বাবা ফোন করল মাস্টামশায়ের কাছে।

তিনি বললেন, আমি তো সেই সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে দিয়েছি, আজ তো সেই সকাল থেকেই লোডশেডিং

তাই রাত আটটা অব্দি আর পড়াইনি, একা বাড়ি ফিরবে তো, তাই ছেড়ে দিয়েছিলাম, কেন ও এখনও যায়নি বাড়ি?

বাবা বললো, না।

দেখলাম, গাড়ি ছুটে চলল।

তাও অনেকক্ষণ গাড়ি চলার পর কোন একটা জায়গায় সেটা থামল, অত বুঝতে পারলাম না।

তারপর গাড়ির মধ্যেই ওরা একে একে আমাকে ধর্ষণ করল

তারপর ওদেরই মধ্যে কেউ একজন গলা টিপে আমায় মেরে ফেলল।

বাঁচার অনেক চেষ্টা করেছিলাম

কিন্তু পারিনি। ওদের গায়ে কী শক্তি যেন এক একজন মহিষাসুর!

তারপর অনেক গভীর রাতে আমাকে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় ঐ পাঁচজন পুরুষ, ঠিক আমার বাড়ির সামনেই।

সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিলাম তাই

আমার গায়ে  ছিল না কিছুই 

এমনকি আমার পিঠের বইয়ের ব্যাগটাও পর্যন্ত কোথায় না জানি ফেলে দিয়েছে।

ভাগ্যে আমার লেখা ছিল এইভাবেই বাড়ি পৌঁছাব।

যখন বাড়ির সামনে পড়ে আছি তখনও লোডশেডিং চলছে।

পরদিন সকালে আমার মা দেখতে পেল আমাকে প্রথম।

তারপর কত কিছু হল —- থানা, পুলিশ, আদালত অথচ কেউই ধরা পড়ল না।

মাঝখান থেকে আমার কত সাধ, আশা সব শেষ হয়ে গেল।

এখন আমি আকাশ থেকে দেখি

আমার বয়সি অন্যান্য অনেক মেয়েদেরকে,

যারা কত পড়াশোনা করছে 

যাদের বড়ো হওয়ার কত স্বপ্ন আছে।

ওদের দেখে আমার নিজের কথা মনে পড়ে খুব।

আমি ওদের আশীর্বাদ করি —

ওরা যেন সবাই নিজ নিজ লক্ষ্যে পৌঁছে যায়

এমন নরকের ময়লা সম পুরুষদের খপ্পরে যেন ওরা কোনোদিনও না পড়ে।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১১/৮/২০২৪

 

তোমাকে চাই আমার – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

তোমাকে চাই আমার

আমার তোমাকে ভীষণ দরকার

তোমাকে না পেলে আমার এ জীবন রাখার নেই কোনো প্রয়োজন আর।

আমার বেঁচে থাকার জন্য তোমাকে লাগবে

আমার ভালো থাকার জন্য তোমাকে লাগবে।

কিন্তু তোমাকে কোথায় পাচ্ছি?

সেই কবে থেকে তোমায় ডেকে যাচ্ছি

তবুও সাড়া দিচ্ছ না একদমই।

আমি বলছি না আমাকে ভালোবাসতে

শুধু বলছি আমার কাছে এসে থাকতে।

আমাকে তোমার পছন্দ না হলে 

ভালোবাসবে না — কোনো ক্ষতি নেই এতে

শুধু বলছি আমার কাছে এসে থাকতে।

আমি শুধু তোমায় ভালোবেসে যাব

আর এভাবেই আমি জীবন কাটিয়ে দেব।

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

৬/৮/২০২৪

 

কীসের আফসোস? -কবি- জুয়েল ইসলাম

যখন জেনে গিয়েছো একদিন সংঘটিত হবে কিয়ামত

তবু কানো করছো তুমি দুনিয়ার খেদমত?

আফসোস করে পাবেনা তুমি কোন সাধ্য

যখন তোমায় জ্বালানো হবে গুনাহগারদের মতো।

ভাবি কি পাও, তুমি খারাপ কর্ম করে?

মুনকির নাকির ছাড়বেনা তোমায় ভয়ংকর কবরে,

কী পাচ্ছো তুমি সম্পদের আফসোস করে?

যেগুলি কোন কাজে আসবে না ভয়াবহ হাশরে।

কী পাচ্ছো তুমি মেয়েদের পেছনে ঘুরে?

তারা শুধু এক মৌমাছির মতো

ফুলে মধু থাকলে থাকবে, নায়তো আকাশে উড়ে যাবে।

আরে আফসোস করো সেই নবীদের নিয়ে

যারা কষ্ট করে ইসলামকে দিয়েছে বিলিয়ে,

আফসোস করো তায়েফের যুদ্ধের কথা

যেই অত্যাচারী গুলো দিয়েছিল নবীর বুকে ব্যাথা

তবু নবী করে দিয়েছিল তাদের মাফ

পরবর্তীতে যেন তারা হিদায়াত পেয়ে যাক,

চিন্তা করো সেই আলি- আসগারের ঘটনা

যাদের শহীদ করেছিল শয়তান ইাযিদ কাফিলা।

শিরোনামহীন প্রশ্ন

ভাষার ইতিহাসে এমন শব্দ নেই যা তোমার চোখের রহস্য ভেদ করে। কি যেনো বলতে চাও তুমি!

আমি চাই কেউ না বুঝুক সেই ভাষা,

কিন্তু এই ভাষ্যের দাবিদার হবো সেই সাধ্যি কি আমার আছে? 

হেমন্তের শিশির জমা ঘাসের পদতলে যেমন অপেক্ষায় থাকে নামহীন একফুল,

আমি সেই ফুল হবো 

তোমার চিকুব ছুঁতে চাওয়া আঙুলের আভরণ হয়ে,

জড়াবে আমায় ? 

ধরণীর ফুটন্ত লাভা যেমন সমুদ্রস্নানে নিজেকে রিক্ত করে

তোমার বক্ষ লালিমায় আমার চোখ মোছাবে? 

তোমাতে নিজেকে খুঁজি সেই স্পর্ধা আমার নেই,

তোমারে রাঙিয়ে তোলার দ্রোহে মুক্তির স্বাদ,

সে কি আমার?

তোমার পাদপদ্মে নিজেকে সপিলাম, প্রিয়।

কেন ভালো লাগে আমার এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়তে?

এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়তে আমার ভারি ভালো লাগে। কেমন বিভিন্ন স্টেশনে না থেমে বেরিয়ে যায় —- এটা দেখতে খুব ভালো লাগে আমার, এক্সপ্রেস ট্রেনে বসে। ধরা যাক একটা স্টেশনে থামল তারপর আবার অনেকগুলি স্টেশন গ্যাপ দিয়ে অন্য আর একটি স্টেশনে থামল। এই যে মাঝখানের বেশ কয়েকটা স্টেশনে থামল না —- এই বিষয়টা আমার কাছে খুব রোমাঞ্চকর লাগে।

 

কী সুন্দর দেখি, কত স্পিড তুলে আর হর্ন বাজাতে বাজাতে এক্সপ্রেস ট্রেন —- যে স্টেশনে থামার কথা নয় সেই স্টেশনটি থেকে বেরিয়ে যায়। এমনই কোনো না থামার স্টেশন এলে —- চলন্ত ট্রেনের জানালা থেকে দেখি কত মানুষ —- কেউ বসে বসে দেখছে আবার কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে আমাদের দুরন্ত ট্রেনটাকে।

মাঝেমাঝে এত স্পিড থাকে ট্রেনের, যে ভয় লাগে মনের ভিতর —- এই না কিছু একটা হয়ে যায়।

 

সবথেকে বড়ো কথা হলো অনেক কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় কোনো নির্দিষ্ট স্টেশনে। তবে সব স্টেশনের ক্ষেত্রে এই সুযোগ হয় না কারণ সব স্টেশনে তো এক্সপ্রেস ট্রেন থামে না কিছু নির্দিষ্ট স্টেশনেই থামে।

 

মাঝেমাঝে চলন্ত ট্রেনের দরজার কাছে চলে এসে একটু বাইরে ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করি দূরের দৃশ্য। দেখতে বেশ দারুণ লাগে। ট্রেনটার দৈর্ঘ্যেও দেখি সেই সাথে। কত বড়ো লাগে। কখনও কখনও ট্রেনটা ঠিক যেন সাপের মতো এঁকেবেঁকে চলে। মনে হয় তখন, আঃ, কত দূরে যাচ্ছি! বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠে আমার দেহ-মন।

কত ধানজমি, মাঠ, বন, বাড়ি-ঘর, এই স্টেশন ঐ স্টেশন পেরিয়ে আমাদের এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটে চলে গন্তব্যের দিকে। 

 

২৫/৭/২০২৪

 

 

 

Bangla Deshattobodhok Kobita - দেশাত্মবোধক কবিতা


অতি প্রাচীন কাল থেকে নানা মুনি, ঋষি ও মহাপুরুষ -রা নানা কবিতা লিখে গেছেন। কেউ লিখেছেন প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, কেউ লিখেছেন যুদ্ধের আবার কেউ ভালোবাসার। অনেক কবি আছেন যাদের কবিতার মাধ্যমে আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের নানা ঘটনা জানতে পারি। বিস্তারিত ...

Adhunik Bangla Kobita - আধুনিক কবিতা


জনপ্রিয় কবির লেখা নির্বাচন করে হুবহু বলার সাথে সাথে শুদ্ধ উচ্চারণ,স্পষ্ট বাচনভঙ্গি এবং সুললিত কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কবিতা বা ছড়ার ভাববিষয় শ্রোতার নিকট উপস্থাপিত করাই হল আবৃত্তি। শিল্প-সাহিত্যের আঙিনাতে আবৃত্তির প্রবেশাধিকার বহুদিন আগে থেকেই। সাহিত্যের একটি প্রাচীনতম শাখা হচ্ছে কবিতা। বর্তমান সময়ে সাহিত্য জগতে শিল্প-সংস্কৃতিতে আধুনিক কবিতার মান/খ্যাতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিস্তারিত ...

Bangla Chora Kobita - ছড়া কবিতা


কবিতা শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে আনন্দ জেগে উঠে। ছন্দের সাহায্যে অথবা গদ্যের ভাষায় মনের ভাব ফুটিয়ে তোলাই হল কবিতা। ছোট থেকে বড়ো সবাই কবিতা পাঠ করতে ও শুনতে ভালোবাসেন। ছোট বাচ্চা কিন্তু কথা শেখার পর ছোট ছোট ছড়া প্রথম শেখে, এই ছড়াই কিন্তু কবিতার আর এক রূপ। বিস্তারিত ...

Bangla Sad Poem - দুঃখের কবিতা


আমরা শুধু মনের আনন্দে কবিতা পড়ি বা লিখি তা নয়, মনের দুঃখও কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করি। দুঃখের কবিতা (Sad Kobita) মানুষের দুঃখ কষ্টকে কেন্দ্র করে লেখা হয়। যেমন পৃথিবীতে এমন কোনও মানুষ নেই যে জীবনে কোনো দিনও দুঃখ পাইনি, তেমন দুঃখ ছাড়া কেউ কবি হতে পারে না। বিস্তারিত ...

Bangla Popular Kobita - জনপ্রিয় কবিতা


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান , ছবি, গল্প, উপন্যাস ও কবিতা সবই লিখেছেন । কিন্তু তিনি জগৎ বিখ্যাত বিশ্বকবি নামে পরিচিত অথার্ৎ এখানেও কবিতার জয় জয় কার। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতার মাধ্যমে বিদ্রোহকে আহ্বান জানিয়েছিলেন , আজ তাই তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। বিস্তারিত ...

Bangla Premer Kobita - ভালোবাসার কবিতা


প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) অর্থাৎ যে কবিতার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে প্রেম ভালোবাসাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। প্রেমের মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা এই জন্য প্রেমের কবিতাকে ভালোবাসার কবিতা (Love Poem) বলা হয়। বিস্তারিত ...