Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুক পড়ুন এবং লিখুন


Bangla Kobita, Bengali Poems, Jokes, Story - বাংলা কবিতা, গল্প, কৌতুকের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বাংলা শিক্ষা ডট কম। জনপ্রিয় খ্যাতিমান কবিদের নানাবিধ বাংলা কবিতার একটি সংগ্রহশালা। এখানে জনপ্রিয় কবিদের হাজার হাজার বেঙ্গলি কবিতার [Bengali Poems] সংকলন রয়েছে , যা দিনকে দিন বাড়ছে। এছাড়াও এখানে মজার বাংলা জোকস [Bangla Jokes] , ছোট গল্প [Short Story], রচনা ইত্যাদির একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ।

আমাদের বাংলা কবিতা [Bangla Kobita] বৃহত্তর ফোরাম রয়েছে যেখানে আপনি কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর পাশাপাশি বাংলা কবিতা, আবৃত্তি [Recitation] প্রকাশের [Publish] সুযোগ রয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য নতুন লেখক এবং লেখিকাদের লেখা প্রকাশের একটা মাধ্যম তৈরী করা। আপনার লেখা প্রকাশ করুন।

আমাদের দেশে এবং সারা পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার কবিরা রয়েছেন , যারা শুধু বাংলা নয় , নানা ভাষায় কবিতা লিখেছেন , তাদের কবিতার ডালি আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। আজ ইন্টারনেটের সুবিধার্তে কবিতা এখন হাতের মুঠোয়। কত বিখ্যাত , অবিখ্যাত কবির কবিতা আমরা শুনতে পাই।

Best Poem of the Week - সপ্তাহের সেরা কবিতা

Bangla Kobita Collection - আমাদের সংগ্রহ


জীবনমুখী কবিতাদুঃখের কবিতাপ্রেমের কবিতাজনপ্রিয় কবিতাছড়া কবিতা
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor
TitleAuthor

সাম্প্রতিক সংযোজন

চিরমন্যু অন্তরে – অন্তর

‘এইযে মশাই,

এতদিনেও ভুলে যাননি যে?’

‘কে বলেছে ভুলিনি?

তোমাকে আমি সবচেয়ে বেশিবার ভুলি

হয়তো ধরো,

আটটা বাজতে আর এক মিনিট বাকি,

এখনো মাধবী রাতের ঘুমটা কাটেনি।

ইচ্ছে করে-তোমার হাতের এক কাপ চায়ে কম্বল ছেড়ে অফিসের জন্যে বের হতে।

কিন্তু কই পাই চিনি বেশি দেওয়া এক কাপ চা? 

আর কই পারি তোমার আমোদ বাণে প্রলয় তুলে বেহায়া ঘুমটাকে তাড়াতে?

তাই ভুলে যেতে হয়। 

 

হয়তো ধরো,

বিরক্তিকর ফাইল গুলোর উপর নিজের যথেষ্ট বিদ্যে খাটানো হয়ে গেছে

কয়েক মিনিটের ফুরসত

ভাবি এই বুঝি ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে তোমার ছবি

উপরে লেখা ‘বুড়ি’; আমি তাকিয়ে থাকব, 

মুখে স্বস্তির হাসি,

আগন্তুক কলার টিউনটা না হয় প্রলাপ করলো কিছুক্ষণ

কিন্তু কই আসে তোমার চিত্তবৃত্তে আবদ্ধ যান্ত্রিক ফোন কল? 

আর কারে বলি মনের বজ্রসংঘাতগাথা?

হতচ্ছাড়া ফোনটা ব্ল্যাকআউটের ভং ধরে থাকে,

তাই ভুলে যেতে হয়। 

 

হয়তো ধরো,

খালি পেটে ছুটতে ছুটতে বেজায় ক্লান্ত,

কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। 

তোমার নিজের হাতে নকশা করা সাদা রুমালটার খোঁজে-

পকেট হাতড়াতেই টের পাই, 

রুমাল কেন, এক টুকরো কাগজ ও নেই ওতে।

কিন্তু কই? 

ফেলেও তো আসিনি নিজের ছোট্ট ঘরটাতে।

আসলে ওমন একখানা রুমাল আমার কাছে নেই,

তাই ভুলে যেতে হয়। 

 

হয়তো ধরো,

আজ নয়া ফাল্গুনের দিবালোকে স্বাগত বইমেলা

অন্তরের পাণ্ডুলিপির প্রথম প্রত্যয়ন

আমার পাশে তুমি,সাদা অফসেট এ পাতা ওল্টাচ্ছো

এদিকে আকুল আমি হারিয়ে নিজেকে 

তোমার কেশাঞ্জলির সুরভীতে।

কিন্তু কই পাই সময়রেখার মাঝে দু-দন্ড বিশ্রাম? 

আর কই পারি তোমার অস্তিত্বের পুরোটা জুড়ে নিজেকে খুঁজে পেতে?

তাই ভুলে যেতে হয়। 

 

হয়তো ধরো,

কিছু এলোমেলো শব্দ আর হাজার কাটাকুটির পর,

একটা কবিতা লিখে তোমাকে দিয়েছি

সবার উপরে থাকল তোমার নাম।

তুমি নিলে, 

কিন্তু কই পাই তোমার শ্যামস্নিগ্ধ মুখের শুভ্র হাসি?

আর কই পারি কবিতার লাইনগুলো বেঁধে রাখতে? 

এক এক করে সব ভেঙে পড়ে,আমার মন ভাঙে

তুমি ভেঙে দিলে

তাই ভুলে যেতে হয়। 

 

তোমাকে ভুলে ফিরি আমি প্রতিক্ষণ।  

তার চেয়েও বেশিবার মনে করি তোমাকে 

বেঁচে যাওয়া পার্থক্য টুকু শুধু ভুলতে পারি না কখনোই

অমৃত যে, 

 

যেমন করে হৃদাম্বরের সত্য আখ্যানে তুমি।’

 

মোহরানা – অন্তর

অন্তরে মোর অসীম নগর 

চারিদিকে তার তোমার বহর। 

অসীমই  সত্য,অসীমের তোরেই এই বন্দনা 

আজ না হোক কাল,শোধ করে দিবো তোমার মোহরানা।

 

ঘৃণিত আমি…

ঘৃণিত আমি…

               …এ্যানী🖋️

 

ঘৃণিত আমি নিন্দিত আমি 

আমি যে অধম বান্দা 💭

করতে চাহি না কবুও আমি 

অসৎ পথের ধান্দা 👏

 

আমায় নিয়ে কতজনে আজ 

ভাবছে কতোই কিছু 💭

তবুও আমি ঘুরতে চাহি না 

মরি চিকার ঐ পিছু 💭

 

বাস্তবতার আলোকে আমি 

কোরআন হাদীস মেনে, 

প্রতিটা কদম পথ চলিবো 

সঠিক রাস্তা জেনে 👏

 

দাও “হে প্রভূ ” ক্ষমা করে দাও 

আমি যে অধম বান্দা 👏

 

আমায় ক্ষমা করলে তোমার 

এমন কি হবে ক্ষতি ❓

তুমি যে ” প্রভূ ” নিখিল ধরার 

একক অধিপতি 💭

 

ওহে ” দয়াময় ” তোমার কাছেই 

সবার ইচ্ছে জানা 💭

পূর্ণ কেন করবেনা তুমি ❓

আমার আর্জি খানা 👏

 

রহিম তুমি রহমান ও তুমি 

আমি যে তোমার বান্দা 👏

 

পাপাচার থেকে মুক্ত আমায় 

রেখো ” হে আমার প্রভূ 👏

সৃষ্টির কাছে আমার যেন 

মাথা নত নয় কভু 👏

 

ধৈর্য আমায় দিও “হে খোদা “

কঠিন মুসিবতে 👏

সদা অবিচল থাকি যেন আমি 

নবী জির দেখানো পথে 👏

 

মালিক তুমি খালেক ও তুমি 

আমি যে তোমার’ই বান্দা 👏

 

কালো টাকার ঐ মালিক আমি 

চাইনি কবুও হতে 👏

চাইছি তোমার কুদরতি ঐ 

গুপ্ত সম্পদ নিতে 👏

 

আমার চোখে আমায় ” প্রভূ ” 

ক্ষুদ্র করে’ই রেখো 👏

কিন্তু সবার হৃদয় মাঝে 

বড়ো ছবি টা ই আঁকো 👏

 

স্বপ্ন পুরণের আর্জি রেখেছে

ক্ষুদ্র তোমার’ই বান্দা 👏

বৃষ্টির সেই রাতে,,,

বৃষ্টির সেই রাতে,,, 

                  …এ্যানী.

 

বৃষ্টির সেই রাতে,

দেখেছি আকাশে 

চমকায় মেঘ মালা !

 

পৃথিবীর এই বুকে,

দেখেছি শত !

কুদরতে খোদার খেলা !!

 

আঁধার ঐ রজনিতে,

জ্যোৎসনার আলোতে,

দেখেছি নুরের জ্যোতী !

 

বিজলীর চমকানি,

বৃষ্টির সেরা পানি,

করে যায় কৃষকের উন্নতি !

 

বিদাতার অবদানে,

ফসলে ভরে,

সবুজ শ্যামল এই মাঠ !

 

লোকারন্যে ভরা,

এই বসুন্ধরা ,

চারিদিকে ঠাসা পথঘাঠ !!

 

জলে থৈ থৈ,

গেলি তোরা কই ?

খোদার ঐ ডাকে কেন ,,

করিস হেলা ??

হাইয়া আলাস-সালাহ্…..

কথার ফাঁকে…

  • কথার ফাঁকে…

                …এ্যানী.

 

চারদিকে আজ গণতন্ত্রের

চলছে দোহায় কত;

গণতন্ত্রের সংঙ্গা-ই ভাবে

সবাই নিজের মত।

 

কথার ফাঁকে-ই গণতন্ত্রের

বুলি আওড়ায় শুনি!

জনতায় ভাবে আসলেই ওরা

মস্ত মহান গুণী।

 

গণতন্ত্রের সংঙ্গা-ই জানি

সত্য সঠিক বলা,

দেশ ও জাতির মঙ্গলে তাই

নিজকে গুছিয়ে চলা।

 

কিন্তূ এখন রাষ্ট্রের মাঝে

সবার মূখ্য চাওয়া;

গণতন্ত্রের দোহায় দিয়েই

ক্ষমতার সিঁড়িঁ পাওয়া।

 

গণতন্ত্রের মূখ্য বিষয়

ইনসাফে দেশ গড়া।

জনতার ঘরে সুঃখ ছড়াতে

নিজকে বিলিন করা।

 

ক্ষমতা দখলে মরিয়া সকলে

আসল গিয়েছে ভুলে;

কথায় কথায় গণতন্ত্রের

মিথ্যে দোহায় তোলে।

নগদ-বাকী !

নগদ-বাকী…

                …এ্যানী🖋️

 

হাজারো কষ্ট পাথরে চাপা 

দিচ্ছি আমার ছোট্ট বুকে 💭

দুঃখগুলো নিচ্ছি আমি 

সুখগুলো সব দিলাম তোকে ❗

 

কাঁদবো আমি সারাটা জীবন 

ভালো বেসেছি তাই ❗

যার প্রতিদান শুধুই আমি 

খোদার কাছে’ই চাই ❗

 

সত্যিকারের প্রেম কি কখনো 

ভুলে থাকা যায় ❓

প্রেম নামিয় নষ্টামি আজ 

চলছে এই ধরায় ❗

 

ভালবাসা’র এই ধরাতে 

নেই তো কিছুই তেমন বাকি ❗

ভালবাসা সব হারিয়ে গেছে 

এখন সবাই খালি স্বার্থ রাখি  💯

 

আজকে আমিও গরীব বলে 

পাচ্ছি সবার ঘৃণা 💭

প্রেমের দামে পেয়েছি তবে…

কিছু অভিনয় কিনা 💭 

 

ভাগ্য আমার অনেক ভালো 

কিছুটা হয়তো পেলাম 💭

বাকীটা নাহয় বাকীর খাতায় 

বাকী হিসেবে’ই দিলাম 💭

 

নগদ-বাকী সব মিলিয়ে 

প্রভুর টেবিলে জমা 💭

শেষ বিচারের দিনেও কারো 

বাকীর হবেনা ক্ষমা 💭

 

সেদিন কেহই ছাড় পাবে না

আপন কি’বা পর ❗

ধনী গরীব হোকনা যেমন 

  • হোকনা “রাণীর বর” ❗

রঙিন ফুলে!

  • রঙিন ফুলে! 

       এ এইচ এম নোমান চৌধুরী (এ্যানী)

 

যৌতুক প্রতা কঠিন কথা 

চলছে দেশের মাঝে 

গরিব মায়ের কান্না দেখে 

মেয়ে মরছে লাজে। 

 

বরের বেশে পাষন্ডরা

চাইছে টাকার গন্ধ ;

মোটা অংকের যৌতুক ছাড়া

কনের বিয়ে বন্ধ। 

 

রূপ ও গুনে অতুলনীয় 

তাই দিয়ে কি হয়? 

ছেলে আমার হাজার বাছা

বরের স্বজন কয়। 

 

কি বলিব দুঃখের কথা 

ব্যথায় কাতর মনে

মুসলমানের মুসলমানি

বিলুপ্ত আজ বনে।

 

চাল-চলনেও নেই আমাদের 

মুসলমানের সাজ,

ভিনদেশীদের অনুকরণে 

হারিয়ে ফেলেছি লাজ। 

 

স্নেহময়ী নারী যখন 

বেহায়াপনার সাজে 

যৌতুক নামে পাষান্ডতা 

সুযোগ নিয়েছে কাজে।

 

মুছবে যদি সমাজ থেকে 

বেহায়াপনার গন্ধ, 

যৌতুকে নামে নোংরামিটাও 

নিশ্চিত হবে বন্ধ। 

 

হীরে যেমন মূল্য পাবে 

নারী সমাজ কূলে, 

যৌতুকে নয় বিয়ে হবে 

বাহারি রঙিন ফুলে। 

 

মহীয়সী সেই নারী যেন আর

যৌতুক নয় বলি,

আপন বিবেক জাগিয়ে সবাই 

সাম্যের পথে চলি।

হুজুগে হয়ছি শেষ!

হুজুগে হয়ছি শেষ!

         এ এইচ এম নোমান চৌধুরী (এ্যানী)

 

সবুজ-শ্যামল যদিও আমার 

বাংলার পরিবেশ। 

এদেশে জন্ম নিয়ে গর্বিত 

তবে, হুজুগে হয়ছি শেষ!

 

বুঝতে পারি না ন্যায় নীতি আর 

বুঝি না ভালো-মন্দ। 

স্বার্থের কাছে ঈমান বেচে 

নিচ্ছি টাকার গন্ধ। 

 

ওতপেতে আছে ভারত-বেনিয়া 

করতে আমায় শেষ।

কব্জায় নিতে চাইছে ওরা-ও

স্বাধীন বাংলাদেশ। 

 

তবুও আমরা আছি হুজুগেই

মস্ত গভীর ঘুমে। 

কিন্তু ওরা-ও লিপ্ত সদা

স্বার্থসিদ্ধি ধুমে।

 

ক্যান এ-জাতির ভাঙছে না ঘুম 

কোন সে সুখের রে…শ,

বিলীন হওয়ার পথেই যখন

স্বাধীন একটি দে…শ।

 

নিভৃতে আজ ঘুমাও তবে

প্রলয় আসছে দেখো,

রাষ্ট্র মাতা তোমার হলেই 

তুমিও খেয়াল রেখো। 

 

ডাকতে যাবো না আর কখনো 

হুজুগ যারা-ই শেষ!

বিশ্বের বুকে আর পাবে না…

অনন্য এই দে…শ।

“সে-ই কখনো বন্ধু নয়”

“সে-ই কখনো বন্ধু নয়”

            এ এইচ এম নোমান চৌধুরী (এ্যানী)

 

যতই তাকে বন্ধু ভাবিস 

“সে-ই কখনো বন্ধু নয়”

বন্ধু সেজেই হর-হামেশা  

আপন স্বার্থ বুঝিয়া লয়।

 

ভাবিস যদিও বন্ধু তারে 

সেই ভাবে নাই কভু, 

কীসের আশায় মান ইজ্জতের 

সব দিয়ে যাস তবু? 

 

দুর্দিনে তোর বন্ধু সেজেই

স্বার্থ আদায় করছে বেশ, 

বাহান্ন-টি বছর গেলেও 

হয়নি বুঝি স্বার্থ শেষ! 

 

বিবেক দিয়ে চিন্তা করে 

দেখ না’রে তুই ভেবে! 

সব দিয়েছিস কিন্তু তোরে 

কী আর এমন দেবে?

 

মারবে খরায় শুকিয়ে তোরে

বর্ষাকালের বানে!

তবুও মা তোর হৃদয় কেন

তৃপ্ত তার, ঐ গানে?

 

ফেলানীর ঐ চিৎকার আজও 

জাতির যায়নি ভোলা!

কিন্তু মা তোর কানেই কেন 

ভিনদেশীদের তুলা? 

 

আকাশ বাতাস সাক্ষী সবাই 

“সে-ই কখনো বন্ধু নয়”

অন্তরের তার বিষে-ই ভরা,

মুখ যদিও মিষ্টি ময়। 

 

চুপ করে মা থাকতে পারিস,

আর ক’টা  দিন দেখি! 

থলের বিড়াল বের হলে সেই 

বলিস মাগো এ-কী।

 

দশের ক্ষতি পরের কথা 

তোর ক্ষতিটাই বেশ!

দেখিস মাগো বন্ধু সেজে 

করবে তোকেই শেষ।

সর্ব-সেরা

সর্ব-সেরা,

     এ এইচ এম নোমান চৌধুরী (এ্যানী)

 

লিখতে যদিও সবাই পারেন,

হয় কী তবুও সেরা?

মহান প্রভুর মহিমা দিয়ে 

নয় যদি কেউ ঘেরা !

 

শ্রেষ্ঠ কবি হলেন তিনি-ই

কাব্য ভুবন মাঝে

মহান প্রভুর প্রশংসাতে

যে জন সকল কাজে।

 

কলম চালায় বাস্তবতায়

ঘোড়ার ডিম-টি রেখে, 

গণ-মানুষের হৃদয়ে থাকার 

কঠিন স্বপ্ন দেখে।

 

শ্রেষ্ঠ কবি হলেন তিনি, 

যে-ই সবার আপন।

সর্ব-সেরা সেই কবিকেই

খুঁজছে আমার মন।

 

চরণ ধুলি নিতেই তাঁহার 

ব্যাকুল থেকেছি মনে,

পাবো কী আদৌও তাঁহার দেখা !

ক্ষণিক জীবনে?

স্বাধীনতার পণ

স্বাধীনতার পণ!

       এ এইচ এম নোমান চৌধুরী (এ্যানী)

 

একাত্তরের অর্জন যদি 

চব্বিশে হয় বিসর্জন, 

স্বাধীন দেশের মানুষ কী আর 

স্বাধীন রয় এখন?

 

পরাধীনতার শৃঙ্খলে আর

“বন্দী” চাইনা হতে। 

তাই যদি হয় মানুষ আবার 

নামবে রাজপথে। 

 

রক্তে কেনা স্বাধীনতাও 

রাখবো ততক্ষণ!

দেহের মাঝে প্রাণ থাকিলেই 

বাঁচবো যতক্ষণ। 

 

স্বাধীনতার পক্ষে যারা 

লড়বো তাদের হয়ে, 

মোদির যতই থাক চাটুকার 

মরতে হবেই ভয়ে। 

 

বাংলা মায়ের দামাল ছেলে 

থাকবে যতক্ষণ, 

মোদির যত দালাল দোসর 

কাঁপবে ওদের মন।

 

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষেই

জেগে উঠো আজ সবে,

একাত্তরের অর্জন আবার 

লুণ্ঠিত ক্যান হবে?

 

স্বাধীনতার পক্ষে তোমরা 

থাকবে যতক্ষণ, 

বাংলাদেশের বুক চিরে না

আসবে ততক্ষণ। 

 

রক্তে কেনা স্বাধীন দেশের 

আমরা প্রহরী হবো, 

রক্তচক্ষু ভয় নাহি পাই 

আমরা সজাগ রবো।

 

মুক্তিকামীর মুক্ত মুখেই 

শপথ সেই এমন, 

স্বাধীনতা রক্ষাতে মোর 

যায় যদি জীবন। 

 

দাফন হবে এই জমিনেই

লোলুভ দৃষ্টি যতো,

মুছবো এবার বাংলা মায়ের 

সকল মনের ক্ষত।

 

একাত্তরের অর্জন কে-বা 

দেবে-ই বিসর্জন? 

রুখতে তাদের এই আমাদের 

স্বাধীনতার পণ।

অর্জিত সফলতা।

অর্জিত সফলতা !

        এ এইচ এম নোমান চৌধুরী (এ্যানী)

 

বঙ্গ কন্যার মুখে না মানায়

ভারত প্রেমের কথা,

এমন হলেই মলিন হবে

অর্জিত সফলতা !

 

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল 

বাংলা মায়ের তরে,

তাই তিনি আজ সমাদৃত 

মানব অন্তরে।

 

ভোলেনি আজও দেশ ও জতি

শেখ মুজিবের কথা,

যার সুবাদেই একাত্তরের 

অর্জিত স্বাধীনতা। 

 

কিন্তু কেন কন্যা তাঁহার 

মত্ত ভারত প্রেমে?

দেশ ও জাতির চিন্তা কেন

হঠাৎ গেল থেমে?

 

বাংলা মায়ের সন্তান হওয়া 

সে-তো গর্বের কথা।

কিন্তু যেন মলিন না হয় 

অর্জিত সফলতা !

ভালো আছি

কবিতা: ভালো আছি

লেখা: অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

 

তুমি আমায় ভুলে গেছ

আর মনে করো না,

আমার কাছে আর আসো না

আমায় আর ডাকো না।

আমি সেই আছি তোমার স্মৃতি নিয়ে।

আমার আর কী আছে বলো?

আমার আর কে আছে বলো?

শুধু তোমার স্মৃতিটুকুই আমার কাছে সব।

জানি না আমায় ছাড়া তুমি কেমন আছ,

তবে তোমায় কাছে না পেয়েও

আমি ভালো আছি 

ঈশ্বর আমায় ভালো রেখেছেন!

আমার আর কিছু নেই, শুধু তোমার স্মৃতিটুকু ছাড়া।

ঈশ্বর আমার দিকে তাকিয়েছেন 

তাই তো আমি তোমার অনুপস্থিতির কথা ভেবেও খারাপ নেই।

শুধু দু’টো শব্দে বলতে গেলে বলব

‘ভালো আছি’।

 

—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৬/৬/২০২৪

বৃষ্টি ভেজা রাতে

চরম মাত্রার গরমে ঝড়-বৃষ্টির কথা বলতে এবং শুনতে কার না ভাল লাগে?
 
গভীর রাতে বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছেে-এমন সময় কেউ একজন চিৎকার করে বলছে, ‘এই যে ভাই, কেউ আছেন আশেপাশে? একটু ধাক্কা দেবেন,প্লিজ? আকুতিভরা চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেল মিসেস মলির। মলি তাঁর স্বামী রফিক সাহেবকে ধাক্কা দিয়ে বললেন, ‘এই যে, শুনছো, কে যেন খুব বিপদে পড়েছে!’
ঘুমাতুর কণ্ঠে বললেন রফিক, ‘আহ্! ঘুমাও তো! লোকটার কণ্ঠ শুনে মাতাল মনে হচ্ছে।’অভিমানের সুরে বললেন মলি, ‘মনে আছে সেই রাতের কথা? সেদিন তোমার কণ্ঠও মাতালের মতোই শোনাচ্ছিল।’
রফিক বললেন, ‘মনে আছে। সে রাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। তোমার খুব শরীর খারাপ করেছিল। গাড়িতে করে তোমাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল। সেদিন আমিও চিৎকার করেছিলাম, কেউ আছেন? একটু ধাক্কা দিয়ে দেবেন?’মলি বললেন, ‘মনে আছে তাহলে। সেদিন যদি তোমার চিৎকার শুনে একটা লোকও এগিয়ে না আসত, কী হতো বলো তো? আজ অন্যের বিপদে তুমি যাবে না? প্লিজ, একটু গিয়ে দেখো না!’
অগত্যা উঠতে হলো রফিক সাহেবকে। ভিজে চুপচুপা হয়ে কাদা-পানি মাড়িয়ে এগিয়ে চললেন তিনি শব্দের উৎস লক্ষ্য করে। বললেন, ‘কোথায় ভাই আপনি?’
শুনতে পেলেন, ‘এই তো, এদিকে। বাগানের দিকে আসুন।’
রফিক সাহেব এগোলেন। আবারও শুনতে পেলেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ…ডানে আসুন। নিম গাছটার পেছনে…।’রফিক সাহেব আরও এগোলেন।
‘আহ্! ধন্যবাদ! আপনার ভাই দয়ার শরীর। কতক্ষণ ধরে এই দোলনাটায় বসে আছি, ধাক্কা দেওয়ার মতো কাউকে পাচ্ছি না!’ বলল মাতাল!

হিসাব মিলানো

আসুন একটু হিসেব মিলাই—
 
ডাক্তারের নিকট এক পাগল গেল চিকিৎসা নিতে।
ডাক্তারঃ আপনি পাগল হলেন কিভাবে?
পাগলঃ “আমি এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেছিলাম তার একটা মেয়ে ছিল। সেই মেয়েকে আবার আমার  বিপত্নীক বাবা বিয়ে করেছে। এভাবে আমার বাবা আমার মেয়ের জামাই হল । আমি হয়ে গেলাম আমার বাবার বাবা(শ্বশুর)। আবার আমার মেয়ে হয়ে গেল আমার মা । ওই ঘরে একটা তাদের একটা মেয়ে হয়েছে যা আমার বোন কিন্তু আমি ওই মেয়ের নানির স্বামী ছিলাম, এভাবে আমি তার নানা হয়ে গেলাম । একইভাবে, আমার ছেলে তার দাদির ভাই হয়ে গেলো ,আর আমি আমার ছেলের ভাগ্নে হয়ে গেলাম। আর আমার ছেলে তার দাদার শালা হয়ে গেলো আর……
ডাক্তারঃ “চুপ !! একদম চুপ!! আমি হিসেব মিলাতে পারছি না!
এখন কি আমাকে পাগল বানাবি নাকি ?
 
মুল কাহিনী সংগৃহীত! 
সম্পাদনায় – বিপ্লব চন্দ্র দত্ত।

Bangla Deshattobodhok Kobita - দেশাত্মবোধক কবিতা


অতি প্রাচীন কাল থেকে নানা মুনি, ঋষি ও মহাপুরুষ -রা নানা কবিতা লিখে গেছেন। কেউ লিখেছেন প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, কেউ লিখেছেন যুদ্ধের আবার কেউ ভালোবাসার। অনেক কবি আছেন যাদের কবিতার মাধ্যমে আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের নানা ঘটনা জানতে পারি। বিস্তারিত ...

Adhunik Bangla Kobita - আধুনিক কবিতা


জনপ্রিয় কবির লেখা নির্বাচন করে হুবহু বলার সাথে সাথে শুদ্ধ উচ্চারণ,স্পষ্ট বাচনভঙ্গি এবং সুললিত কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কবিতা বা ছড়ার ভাববিষয় শ্রোতার নিকট উপস্থাপিত করাই হল আবৃত্তি। শিল্প-সাহিত্যের আঙিনাতে আবৃত্তির প্রবেশাধিকার বহুদিন আগে থেকেই। সাহিত্যের একটি প্রাচীনতম শাখা হচ্ছে কবিতা। বর্তমান সময়ে সাহিত্য জগতে শিল্প-সংস্কৃতিতে আধুনিক কবিতার মান/খ্যাতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিস্তারিত ...

Bangla Chora Kobita - ছড়া কবিতা


কবিতা শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে আনন্দ জেগে উঠে। ছন্দের সাহায্যে অথবা গদ্যের ভাষায় মনের ভাব ফুটিয়ে তোলাই হল কবিতা। ছোট থেকে বড়ো সবাই কবিতা পাঠ করতে ও শুনতে ভালোবাসেন। ছোট বাচ্চা কিন্তু কথা শেখার পর ছোট ছোট ছড়া প্রথম শেখে, এই ছড়াই কিন্তু কবিতার আর এক রূপ। বিস্তারিত ...

Bangla Sad Poem - দুঃখের কবিতা


আমরা শুধু মনের আনন্দে কবিতা পড়ি বা লিখি তা নয়, মনের দুঃখও কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করি। দুঃখের কবিতা (Sad Kobita) মানুষের দুঃখ কষ্টকে কেন্দ্র করে লেখা হয়। যেমন পৃথিবীতে এমন কোনও মানুষ নেই যে জীবনে কোনো দিনও দুঃখ পাইনি, তেমন দুঃখ ছাড়া কেউ কবি হতে পারে না। বিস্তারিত ...

Bangla Popular Kobita - জনপ্রিয় কবিতা


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান , ছবি, গল্প, উপন্যাস ও কবিতা সবই লিখেছেন । কিন্তু তিনি জগৎ বিখ্যাত বিশ্বকবি নামে পরিচিত অথার্ৎ এখানেও কবিতার জয় জয় কার। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতার মাধ্যমে বিদ্রোহকে আহ্বান জানিয়েছিলেন , আজ তাই তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। বিস্তারিত ...

Bangla Premer Kobita - ভালোবাসার কবিতা


প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) অর্থাৎ যে কবিতার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে প্রেম ভালোবাসাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। প্রেমের মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা এই জন্য প্রেমের কবিতাকে ভালোবাসার কবিতা (Love Poem) বলা হয়। বিস্তারিত ...