বাংলার রাজা
কৃষ্ণ কামাল
একজন বুদ্ধিমান, সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ রাজা। তার রাজ্যে সবাই তাকে ভালোবাসতো এবং তার কাছে আশ্রয় খুঁজতো।
একদিন রাজা শাহজাহানের কাছে এক দুঃখিত মানুষ এসে বলল, “হে রাজা, আমি আপনার রাজ্যের একটি দূরবর্তী গ্রামে থাকি। আমাদের গ্রামে একটি ভয়ানক বাঘ আছে, যে প্রতিদিন আমাদের গ্রামের মানুষ ও পশুদের খেয়ে ফেলে। আমরা অনেকবার এই বাঘকে ধরার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি। আমরা আপনার কাছে সাহায্য চাই। আপনি আমাদের এই বাঘের হাত থেকে রক্ষা করুন।”
রাজা শাহজাহান মানুষটির কথা শুনে দুঃখিত হয়ে উঠলেন। তিনি বললেন, “আমি আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব। আমি আমার সেরা শিকারীদের নিয়ে আপনার গ্রামে যাবো এবং এই বাঘকে ধরার চেষ্টা করবো। আপনি চিন্তা করবেন না।”
রাজা শাহজাহান তার কিছু শিকারী ও সৈনিক নিয়ে মানুষটির গ্রামের দিকে রওনা হলেন। তারা কিছুদিন পর গ্রামে পৌঁছলেন। তারা গ্রামবাসীদের থেকে বাঘের বাসস্থান জানতে পারলেন। তারা বাঘকে ধরার জন্য একটি ফাঁদ বাঁধলেন। তারা ফাঁদের কাছে একটি বক্র ছেড়ে দিলেন। তারা আশা করলেন, বাঘ বক্রটি খেতে আসবে এবং ফাঁদে আটকে যাবে।
কিন্তু বাঘ খুব চালাক ছিল। তিনি ফাঁদটি দেখে ফেললেন। তিনি বক্রটি খেতে যেতে পারলেন না। তিনি ফাঁদের চারপাশে ঘুরে বেরিয়ে এলেন। তিনি রাজা শাহজাহানের শিকারীদের দেখে ফেললেন। তিনি তাদের দিকে ছুঁতে শুরু করলেন।
রাজা শাহজাহান এবং তার শিকারীরা বাঘের আক্রমণ দেখে ভয় পেয়ে উঠলেন। তারা বাঘকে ধরার চেষ্টা করলেন, কিন্তু বাঘ তাদের কেউ কেউ আক্রমণ করে ফেলল। রাজা শাহজাহান বাঘের সামনে দাঁড়িয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু বাঘ তাকেও আঘাত করে ফেলল। রাজা শাহজাহান মারা গেলেন।
বাঘ রাজা শাহজাহানের শবারী উপর উঠে বলল, “আমি বাংলার রাজা। আমি কারও ভয় পাই না। আমি যেখানে চাই সেখানে যাই, যা চাই তা করি। আমার কাছে কেউ কিছু বলতে পারে না।