সূর্যের থেকে উৎকর্ষ ©বিধান চন্দ্র রায়
-

শেয়ার করুন

অবশেষে আড়মোড়া ভেঙে বসে
চাঁদজোৎস্নার গর্ভে হারিয়ে যায় সূর্যের শেষ রশ্মি –
সারাদিন উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সূর্য তড়িঘড়ি করে
বিদায় নিচ্ছে ইদানিং,
কারণ বছরের শেষভাগে সূর্য যে ক্লান্ত হয় !
সূর্য চলে যাওয়ার আগে সব ক্ষমতা দিয়ে যায় চাঁদকে,
খাজাঞ্চিখানার চাবি, বৈঠক খানার দখল
যেন ক্ষমতার হাতবদল,
দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার এক মহড়া,
জোৎস্না এসে বসবে সানবাঁধানো ঘাটে,
লুকোচুরি খেলবে আমকাঁঠালের পাতার ফাঁকে,
ছুটোছুটি করবে গোয়ালঘরগোলাঘর ঘিরে।

সূর্য তো প্রতিদিনই নিয়মমাফিক উঠে
রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করে ধরিত্রীর,
কোনোদিন লেটলতিফ হতে দেখিনি
আচ্ছা সবারিতো ছুটি আছে, কতরকম ছুটি-
সিকলিভ, আর্নলিভ, ফেস্টিভাল লিভ, রিক্রিয়েশন লিভ
সূর্যের যদি কখনো ছুটি কাটাতে ইচ্ছে হয়, কি হবে তখন?
ধরো টানা দশদিন উৎসব ছুটি কিংবা রিক্রিয়েশনলিভ
টানা একমাস, কি হবে,কেমন করে চলবে পৃথিবী?
জানি তুমি ফিনল্যান্ডের উদাহরণ টানবে
আরও অনেক রেডি রেফারেন্স

আচ্ছা আমার মায়ের কি কোন ছুটি আছে, কোন লিভ?
কেজুয়াললিভ, আর্নলিভ, ফেস্টিভাল, লিয়েন কিংবা সবেতনে রিকিয়েশন লিভ?
না! আমার মায়ের কোন ছুটি নেই!
তাঁর কোনোদিন কপালব্যথা, গ্যাস্ট্রিক পেইন, শিরদাঁড়ায় ব্যথা,ব্লাড সুগার অথবা ইউরিক অ্যাসিড লেভেল বেড়ে গেলে যে সব উপসর্গ হয়, না কোনদিন শুনিনি।
সূর্য তো চাঁদের কাছে জমা দেয় তার ক্লান্তি
মা কার কাছে হস্তান্তর করবে তাঁর উষ্ণতা!
আমার মা কি সূর্যের থেকে তেজি,
চাঁদের স্নিগ্ধতার থেকেও বেশি উৎকর্ষ !


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন