অহংকার পতনের কারণ
- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

শেয়ার করুন

আকাশে মেঘেরাই প্রকৃত সুখী।

আসলে ওরা অলস 

কোনো কাজ করে না।

সারা দিন রাত ধরে শুধু ভেসে বেড়ায়

ওদের কোনো ভাবনা নেই চিন্তা নেই।

পৃথিবীর লক্ষ কোটি জীবের কোনো খোঁজখবর রাখে না,

কে মরল কে বাঁচল এসবও না।

নিজের খেয়ালেই এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাড়ি জমায়-

বারণ করার কেউ নেই।

 

মেঘেরা আবার অহংকারীও।

পৃথিবীর জীবেদের দিকে তাকিয়ে কুটিল হেসে ভাবে-

“ওরা কেউ আকার বদলাতে পারে না রূপ বদলাতে পারে না,

কিন্তু আমরা রূপ বদলাই নানান আকার ধারণ করি।

উপর থেকে দেখি ওদের থাকার জায়গাগুলো কত ছোটো,

আর আমরা…. আমরা থাকি গোটা আকাশ জুড়ে।”

 

এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর স্বয়ং অন্তর্যামী।

তিনি সকলের মনের কথা বুঝতে পারেন জানতে পারেন।

অতি ক্ষুদ্র থেকে বৃহদাকার যা কিছু ছড়িয়ে আছে

গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে তাঁর কাছে সবই সমান।

 

মেঘেদের এহেন ভাবনা তাঁর মোটেই পছন্দ হয়নি।

তিনি মেঘেদের শাস্তি দিলেন।

সেই শাস্তির ফলেই তো মেঘেরা ঝরে পড়ে,

এত অহংকার নিয়ে তারা থাকতেও পারেনা।

শেষে আসতেই হয় পৃথিবীর বুকে লক্ষ কোটি জীবেদের কাছে।

 

যে যত দর্প দেখায়

সে তত দ্রুত ধ্বংস হয়।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৭ই মে,২০২৩,বিকাল, বারুইপুর 

 

 

 

 


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন