ডাস্টবিনের ধারের ঐ ছেলেটিকে দ্যাখো
কুকুরগুলোর সাথে কেমন খাবার ভাগাভাগি করে খাচ্ছে
মানুষ ওর বন্ধু হয়নি
তবে বন্ধু হয়েছে ইতর প্রাণীরা।
তোমাদের এলাকায় এসে ও কিন্তু কারও বাড়িতে আশ্রয় চায়নি
নিজে থেকেই জুটিয়ে নিয়েছে ঐ জায়গাটা
ওর মাথা বাঁচানোর দরকার নেই
শুধু পেটটুকু বাঁচাতে চায়
ক্ষিদে পেলে পেট মানতে চায় না
ক্ষিদের জ্বালা বড় জ্বালা
তাই তো ডাস্টবিনের ধারের জায়গাটা আদর্শ মনে করেছে।
ডাস্টবিনে তোমরা কত কী ফেলে দিয়ে যাও
এঁটো খাবার নষ্ট খাবার ব্যবহারের অযোগ্য জিনিসপত্র
আরও কত কিছু….
যে ধরনের খাবার তোমরা খেতে পারো না ঐ ছেলেটি দিব্যি ওসব খায়
কী আর করবে ভাগ্য ওর তেমন নয়
ভাগ্য সবকিছুতেই একটা বড় বিষয় হয়।
রাস্তায় খাবার ফেলে দিলে কুকুরেরা খায়
ও কিন্তু সেভাবে খায় না
ও ডাস্টবিনের খাবার খায়।
কুকুরদের সঙ্গে থেকে ও ডাস্টবিনের খাবার খায় ঠিকই
কিন্তু তাই বলে ও কুকুরদের চেয়ে অধম নয়
ও ডাস্টবিনের খাবার খায় রাস্তার নয়।
ওর সাথে কুকুরদের পার্থক্য দেখলে?
আর তোমাদের সাথে কুকুরদের পার্থক্য দ্যাখো।
তোমরা মানুষ হয়ে মানুষের দুঃখ বোঝো না
মানুষের সেবা করো না
অথচ ওই কুকুরগুলোকে দ্যাখো
ছেলেটির সঙ্গে কেমন খাবার ভাগাভাগি করে খাচ্ছে
আরও একটা ব্যাপার হলো
ওরা কিন্তু ছেলেটিকে মোটেও কামড়ে দিচ্ছে না।
কেন?
ডাস্টবিনে যত খাবার আছে সব যে ওদেরই
এমনটা কিন্তু ওরা মোটেও ভাবছে না —- তাই।
একেই বলে পার্থক্য ।
বুঝলে তোমরা?
একেই বলে পার্থক্য।
—- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৪/৪/২০২৪
বারুইপুর