***এলিজাবেথ আমার কেউ নন***
আজিজুল হক
আজ আর চোখে জল আসে না,
কান্না গুলিও বড্ড নিঃশব্দ –
নির্বাক দৃষ্টিতে শুধু চোখ দুটো জেগে থাকে সারারাত –
মধুচন্দ্রিমা গুলো ভেসে আসে নির্লিপ্ত সুরে
আমি অতন্ত্র প্রহরীর মত এলিজাবেথের রাজহাঁস
গুলোকে দুচোখ ভরে দেখি!
রুদ্র,তোমার আঁখি পল্লবে আজ কালো ছোপ বাসা বেঁধেছে..
বৃষ্টি হয় নি কতকাল..
এবার না হয় বৃষ্টি আসুক,
একটু ভিজে শরীরে গন্ধ মাখি বিচ্ছিন্নতার!
আলতো করে ভিজিয়ে নিই আঁখি পল্লব!
নিস্তেজ চোখে বারিধারা নামুক।
কতদিন পাহাড় আসেনি কাছে,
চরাই উৎরাইয়ের পথ বেয়ে যোনি পথ গুলো
ভেজেনি নীল জোসনায়!
আকণ্ঠ উল্লাসে তুমিও শিৎকার করনি
কতদিন!
বাক্সবন্দী প্রেম টাকার পাহাড়ে অভিযান করে,
তোমার পেটে জমা হয় কত ফন্দি
মুখে কথার ফুলঝুরি তবুও !
আর আড়ালে দুরভাসে কথা হয় নুতন নাগরের সাথে প্রতিদিন ,মুহূর্তে মুহূর্তে..
রুদ্র,একটু কাঁদো,চোখে তোমার জল আসুক,
বৃষ্টি নয়,
সমাজ নামের দেওয়াল টা ভেঙে ফেলে
দল বদলানো রাজনীতির নর্দমায় সব অভিশাপ গুলো ছুড়ে ফেলে দাও,
ঘুম আসুক চোখে।
সমুদ্র দেখেছ ,রুদ্র?
অভিযোগহীন বেয়ে চলে,তাতেও তো ভেসে যায়
কত মন…
সেও তো স্পর্শ পায় পাহাড়ের..
ভেসে যাও রুদ্র , মৃত্যুর দুয়ারে আগুন জ্বাল,
তাতে ফাগুনের জন্ম হোক,
যোনিগুলো নিঃশব্দে আপন করুক না হয়
নুতন কোনো অতিথি কে..
তুমি সমুদ্র সৈকতে স্বাধীনতাগুলো কে
ভাসিয়ে দিয়ে আস..
ঘোরঘন বরষায় ভিজিয়ে দাও নিজেকে
ভালবাসা গুলো দুচোখ ভরে কাঁদুক না হয় প্রাণ খুলে..
আমি সেন্ট্রিনালিজ কিংবা জারোয়াদের দেশে ঘর বাঁধি,
ওখানে তো বিশ্বাস গুলো বেঁচে থাকে অহরহ
বারংবার।
আজিজুল হক
13/9/22