কবিতা একটি মেয়ের নাম
- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

শেয়ার করুন

কবিতা একটি মেয়ের নাম।

ওর সাথে আমি ঘর বাঁধব

গোটা জীবনটা একসাথে কাটাব,

খুব ভালো করে হয়ত সংসার চলবে না

লেখালেখি করি, কতই বা আয় হয়,

তবে অভাবও রাখব না কিছু

যতটা পারব মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব,

আনন্দে দুঃখে হেসে খেলেই জীবন কাটাব।

 

বিয়ে হয়ে গেছে।

‘ভাগ্যের চাকা ঘোরে না’ কে বলে এ কথা?

এই কবিতা কেন লিখতে বসেছি জানো?

এক অবিশ্বাস্য ঘটনার কথা তোমাদের বলব বলে!

শোনো,

বিয়ের পর কোনো এক রাতে গভীর ঘুমে একটা স্বপ্ন দেখলাম-

আমি কবিতার সারা দেহের ওপর কী যেন লিখছি, ওর চোখ নাক ঠোঁট গলা বুক হাত পা সব লেখায় ভরা।

একটু ভালোভাবে দেখতে চেষ্টা করলাম কী ওগুলো,

আশ্চর্য ব্যাপার!

দেখি, ছন্দে ভরা লাইনের পর লাইন, সম্পূর্ণ এক কবিতা,

কবিতার গায়ে কবিতা!

পরদিন সকালে দেখলাম, কোথা থেকে না জানি আমার ঘরে এক বস্তা সোনার মোহর উদয় হয়েছে।

স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করায় কোনো উত্তর দিতে পারেনি।

মনে মনে ভাবলাম, আমাদের অভাব ঘুচে গেল তাহলে।

 

সত্যিই এখন দিন বেশ ভালোই কাটছে।

লেখালেখি করে যা উপার্জন হয় 

আর সেই মোহর এখনও সব ভাঙানো হয়নি,

যা আছে ওতেই আমাদের সারা জীবন রাজসুখে চলে যাবে।

ঈশ্বর কখন কার প্রতি দয়া করেন কেউ জানেনা।

আর হ্যাঁ, যদি আবার কখনও এমন স্বপ্ন দেখি,

যদি পাই ফের সোনার মোহরের বস্তা-

তবে তা সমাজের উন্নয়নে দান করে দেব।

আপাতত এখানেই শেষ করলাম কবিতা।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

১৮ই জুন,২০২৩,বিকাল, বারুইপুর 

 

 

 

 

 


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন