“তবু আমি উঠে দাড়াবো”
আমার এ নাম ইতিহাসে লিখতে পারো
তোমার তিক্ত,পাকানো অসত্য দিয়ে
আমাকে হাটাতেও পারো ধুলিতে-কাদাতে অনবরত
কিন্তু তবুও, আমি ধুলিদের মত করে উঠবোই জেগে|
আমার চঞ্চলতায় মুষড়ে পড়ো কি তুমি?
মুখে অপ্রসন্নতা এঁকে কেনো বসে থাকো
আমি হেঁটে যাই,আমি হাঁটি, যেন তেলকূপ পেয়ে গেছি শয়নকক্ষ থেকে|
ঠিক চাঁদের মতো, আর সূর্যের মতো করে,
জোয়ারের নিশ্চয়তার সাথে লাফিয়ে
স্প্রিংয়ের মতো আনন্দিত হয়ে
তবু আমি উঠবো জেগে|
ভেঙে পড়া এই মন দেখতে চেয়েছিলে?
নিচু মাথা আর নত চোখ,
দু কাধের ধংস, গড়িয়ে-পড়া আশ্রুর মতো|
আমার দুর্বল আত্মার এ চিৎকার|
আহত কি করে তোমাকে আমার এ অহংকার?
গ্রহন করতে পারোনা ভেবে তাকে?
আমি হাসি,যেনো মনে হয় পেয়েছি সোনার খনি
উন্মথন করেছি নিজের ই পশ্চাদভূমি|
তোমার কথার গুলিতে করে দিতে পারো ক্ষত- বিক্ষত |
তোমার ধারালো চাহনিতে করতে পারো আমাকে আহত|
হত্যা করতে পারো আমাকে তোমার ঘৃণা দিয়ে|
কিন্তু তবুও আমি বাতাসের মত করে জেগে উঠবো
আমার দেহের যৌনতা তোমাকে খুব আহত করে কি?
এটা কি আশ্চর্য হয়ে তোমাকে দলে?
আমি নাচছি যেনো পেয়েছি এক টুকরো হিরা
হয়তো আমার সুঠাম উরুর সন্ধুস্থলে |
লজ্জানত ইতিহাসের কুঠুরি ভেঙেচুরে আমি জেগে উঠি|
যন্ত্রনার শেকড়ে গেঁথে যাওয়া অতিত থেকে আমি উঠে দাড়াই|
আমি এক কালো সাগর আমি তো বিপুল
ফুলে উঠা আর ফেপে উঠা এক জোয়ারের ফুল|
সন্ত্রাস-ত্রাসে কম্পিত রাত গুলোকে পেছনে ফেলে
তবু আমই উঠে দাড়াই|
পূর্বপুরুষদের উপহারগুলি একসাথে করে সমস্ত
দাসের স্বপ্নগুলিকে মুঠতে ধরে
উঠে দাড়াবো,
উঠে দাড়াবো
।। উঠে দাড়াবোই|