তব প্রতি
ওহে অন্তরিত পুষ্প কুঁড়ি, ফুটিয়া ওঠো তুমি
চরণও যুগলে স্থান নিয়ে উজ্জ্বল করো ভূমি,
নিষ্ঠুর পীড়নে নিংড়ে লও বৃক্ষ রসের ক্ষুধা
কত রাগিনী ছন্দ বাঁধে, অমর অমৃতের সুধা।
মৌন শান্তি সু-গম্ভীর তন্দ্রা, চন্দ্র সাঁঝে সজ্জিত
অকন্ঠীত সুরের মাধুরী গীতও মাঝে পুজ্জিত।
হে জলাধীর স্রোত মায়া স্নিগ্ধ শীতল অজানা ধারা
ভাসায় যায় কোন সুদূরে, নাহি জানা তার ঠিকানা।
পাতা ঝরছে হলদে হয়ে, বয়ে চলেছে বালুর রাশি
তারা‘দের মাঝে অজানা মুখের দেখি গুপ্ত হাসি।
অঞ্জলি সাজায়ে পুষ্প মাল্য গেঁথেছি নিজ হাতে,
লাল রজনী, বন্য মালায় বরণ করিব প্রতি প্রাতে।
ধূসর মেঘে ঘনায় আকাশ, সাজে বিষণ্ণ বিকেল
জ্বলন্ত লাভার গরম আঁচে গলছে মনের শিকেল।
দিবা শেষের নিশি রাত্রি, গড়ে কত না অন্ধকার
উল্লাসিত পাগলী সাজে খোলা অজানা মনের দ্বার।
তাহার অভ্যাসে জ্বলিয়া ওঠে প্রদীপ শিখার আলো
তব প্রতি কত ছন্দ বাঁধা চিঠি, হয়েছে আজ কালো
কেশের রাশি খুলিয়া দিয়ে, উড়নচন্ডী মন সেজেছে
গাঢ় কাজলে চোখ রাঙিয়ে তব প্রতি মন মেতেছে।।