সেদিন এ হৃদয়ে আমার ধূসর বালুচর, ছিলো তৃষ্ণায় ব্যাকুল এ প্রাণ,,,
ক্লান্তি জড়ানো পায়ে তবুও চলেছি ছুটে করিতে জলের সন্ধান ।
চলেছি ছুটে আমি দিন রাত,
ঘুম নেই চোখে, পেরিয়ে চলেছি কত নির্জন পথ,,
একদিন অবশেষে মন মোর ওঠে হেসে,,
দূর থেকে পাই দেখা,বিশাল সে জল রেখা,,
বিশাল সে মহা সমুদ্র নাহি যার অন্ত নাহি যার দিশা,,
মনে মনে ভাবছি আমি এক চুমুকে সব জল পান করে মিটিয়ে নেবো প্রাণের সব পিপাসা ।
তার বিশাল আকার আকাশছোঁয়া জল তরঙ্গ দেখে আমি মুগ্ধ হলাম,,
পথের সমস্ত ক্লান্তি যেনো মুহূর্তেই সব ভুলে গেলাম।
সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান হতেই সেই বিশাল আকার ঢেউ আছড়ে পড়লো আমার গায়ে,,
তার সেই লবণাক্ত জল আমার মুখ অঙ্গ জ্বালিয়ে চলে গেলে ভাটির টানে,আর আমি শামুকের খোলসের মতো বালুচরে রইলাম পড়ে,অচেতন হয়ে,,,।
দুচোখে যেনো আঁধার নেমে এলো,মুছে গেল সব আশা,,,
তুমি ছিলে সমুদ্রের লবণাক্ত জল ঐ, আর ‘তৃষ্ণা’ ছিলো আমার ভালোবাসা,,,,,।