নিষিদ্ধ কবিতা
- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

শেয়ার করুন

কবিতা আর লেখা হয়না,

যখনই লিখতে যাই তখনই 

তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়াও।

দেখি, তোমার সারা গায়ে নখের আঁচড়ের দাগ

ঠোঁটের কোনে রক্ত লেগে

কাপড়ে ধস্তাধস্তির চিহ্ন

চোখের নিচে জমা কালসিটে

পা জোড়ায় এলোমেলো রক্তের রেখা।

বোঝা যায় সবই-

কেউ তোমার দেহ ভোগ করেছে ইচ্ছেমতো।

পরে ভাবি, এই তো তোমার সাথেই কল্পনায় 

কামনার জগতে ডুবে জোর করে সহবাস করি,

ছেড়ে যেতে চাও, কিন্তু আমার লিঙ্গ বাঁধ মানে না,

জোর করে শরীরের ক্ষুধা মেটাই।

শান্তি হলে পরে লিখতে বসি,

ঘেমে একাকার হই,

তোমার কষ্ট চিৎকারের আওয়াজ চিন্তা করি

শেষ বাঁচার আর্তনাদটাও কানে বেজে ওঠে।

মনে খুব কষ্ট হয়,

নিজেকে দুষি এমন করা ঠিক হলো না।

সেই দুঃখেই কবিতা লিখতে বসি-

কিন্তু যখনই লিখতে যাই তখনই 

তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়াও।

 

১৫ই জুন,২০১৩,রাত ১০:১০, বারুইপুর 

 


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন