অসহায় ভাবে কাঁদছে শিশুটি-
একা রাস্তার ধারে,
সারা দিনরাত ধরে ।
কত শত গাড়ি কত হাজার মানুষ,
যাচ্ছে আসছে ওর পাশ দিয়ে,
কারও কিন্তু খেয়াল নেই ওর দিকে।
‘গাড়ির মানুষ আর পথের মানুষ’
এদের ধারণা অনেকটা তাচ্ছিল্যের মতো।
কে এক শিশু কাঁদছে-
এমন তো লাখো লাখো পড়ে থাকে ফুটপাথে রাস্তার ধারে,
তাতে আমাদের কী,
তার জন্য আমাদের ভাবতে হবে?
হয়ত বাবা-মা আছে কোথাও আশেপাশে,
ঠিক চলে আসবে।
কিন্তু সারাদিন হয়ে যায়
তবু কেউ আসে না।
এমন হয়ে যায়নি তো,
সন্তানের খুব খিদে পাওয়ার দরুন,
বাবা মা অর্থ উপার্জন করতে গিয়েছিল-
আর আসেনি ফিরে।
ওদের জীবন এরকম
দিনরাত থাকে ক্ষুধার্ত পেটে।
তখন কেউ যদি ওদের কাছে যেকোনো কাজের কথা বলে,
যার বদলে খেতে পারবে,
সে কাজেই রাজি হয়,
আর দুষ্টচক্রের হাতে পড়লে পাচার হয়েও যেতে হয়।
তাই কাঁদছে, কেঁদেও যাবে শিশুটি।
ভ্রূক্ষেপ থাকবেনা কারও।
কাঁদতে কাঁদতে নিজেই আকাশ সমান অভুক্ত পেটে
হয়ত বের হবে রাস্তায় একটু খাবারের আশায়।
শরীরে বল না থাকলে;
দুর্বলতা আসবেই।
রাস্তা এপার ওপার করতে গিয়ে
চলেও যেতে পারে কোনো গাড়ির নিচে।
তখন কেই বা পাত্তা দেবে
কি না জানি এক পথ শিশুর লাশ।
২জুন,২০২৩,সকাল ৮টা, বারুইপুর