পাতা ঝরার দিনে
- ভাস্কর পাল

শেয়ার করুন

পাতা ঝরার দিনে

 

সে পড়ন্ত রৌদ্রমাখা দিনের বৈকালে

আমলকি আর দেবদারুর ছায়া তলে

ব্যার্থ সময় অপেক্ষাতে পাতা ঝরানোর দিনের।

কোমল মেঘের অজানা ভাষা

উড়ন্ত সব বেনামী চিঠিরা-

দিনের শেষে অন্তিম বৈকালে বাড়ির পথে ফেরে।।

 

নদীর ওপর ঐ যে কে তার, নৌকা লয়ে ছোটে

ঐ দূরেতে কোন সে রাখাল বাঁশিতে সুর বাধে,

ভেসে আসে মেঠো বকুলের ক্লান্ত শান্ত সুবাস।

শীতের প্রলেপ ঝাপসা হয়ে, নতুন আভার দিন

সময়ের তরে ভাবনা গুলো হয়ে আসছে ক্ষীণ।

আসছে ধেয়ে হলদে পাতার, পাতা ঝরানোর দিন।।

 

গোলাপের কুঁড়ি আঁকড়ে ধরে অচেনা অজানা কীট

সুবাসিত গন্ধে মেতেছে বসন্ত আসার দিন।

ঐ দূরেতে কোকিল ডাকে কোন সে গাছের পরে

বসিয়া সময় কাটিয়া যায় আঁধার নামিলে পরে।

ঘন মেঘে আকাশ সাজে রৌদ্র যায় ডুবে,

ঝরা পাতার দিন এসেছে ফাগুনের শেষে।।

 

পাতা ঝরানোর দিন এসেছে

শোনা যায় আজই ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি

অপেক্ষাতে রয়ে গেছে স্মৃতি চিহ্ন গুলি,,

গাছের শাখায় কৃষ্ণচূড়া বাঁধিছে কুঞ্জে কুঞ্জে

রুক্ষ শুষ্ক হলদে পাতারা হওয়ার তালে দোলে।

সময় তাদের ফুরিয়ে আসে ঝরার অপেক্ষাতে।।

 

কত না পুষ্প এ বসন্তে ফুটেছে নবীন রূপে

কত না রঙের ছোঁয়া মিলবে এ বসন্তের মাঝে।

কেবল থাকে প্রতীক্ষাতে প্রতিটা ঋতুর পরে

বসন্তের সেই মাধুরী সুর হৃদয়ে ছোঁয়া মেলে

অপেক্ষাতে রয়ে যায় নবীন কচি পাতা

কেবল তাদের বৃদ্ধ হওয়া বসন্তের অপেক্ষা।।

 

এই ভাবেই আসে যায় কত ঋতু পার হয়

একটি শেষ হয় অন্যের অপেক্ষায়,,

কেবল ধরে রাখে স্মৃতি হৃদয়ের পাতায়

বয়েস বাড়ে ধীরে ধীরে হলদে হওয়ার তরে

আসছে বসন্তে ঝরবে পাতা নতুন সুরে

কেবল বয়ে যাওয়া সময় পাতা ঝরানোর দিনের তরে।।

 


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন