যদি ভগবান আমায় কোনদিন দেখা দেন
আমি তাঁকে বলবো তিনি যেন কোন এক পাহাড়ের দেশে আমার জন্য একটি বাড়ি বানিয়ে দেন।
আমি তাঁর কাছে আর অন্য কিছুই চাইবো না— কিচ্ছু না।
পাহাড়ের দেশে বাড়ি হলে চারিদিকেই দেখব শুধু পাহাড় আর পাহাড়—-
মাঝখানে আমার বাড়ি থাকবে—-
ঠিক যেন মাঝসমুদ্রে ভেলায় চড়ে ভেসে থাকার মতো।
আহা-হা-হা, ভাবলেই যেন সারা দেহে রোমাঞ্চের তরঙ্গ বয়ে যাচ্ছে!
আমি তাঁকে বলবো না
আমায় বড়লোক করতে
আমার টাকা পয়সার প্রতি কোন লোভ নেই।
আমি তাঁকে বলবো না
আমার নাম-যশ-খ্যাতি বাড়িয়ে দিতে
আমি সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চাই
অসাধারণ হতে চাই না, সেই ইচ্ছাও নেই।
শুধু চাই পাহাড়ের দেশে বাস করতে
শুধু এইটুকুই চাই।
সমতলে থাকতে আমার ভালো লাগে না
তাই তো পাগল হয়ে উঠি
পাহাড়ের কথা চিন্তা করতে করতে,
শুধু মনে হয় কবে পাহাড়ের সাম্রাজ্যে আমি এক সাধারণ প্রজার মতো জীবনযাপন করব।
আমার আকাশ ছোঁওয়ার খুব ইচ্ছা
পাহাড় তো সহজেই আকাশ ছুঁতে পারে
আর পাহাড়ের দেশে বাড়ি হলে আমিও আকাশ ছুঁতে পারবো।
অমন দেশে বাড়ি হলে খাওয়া-দাওয়ার অভাব হবে না
অরণ্যানীর ফলমূল খেয়েই জীবন চলে যাবে,
পান করব ঝর-ঝর শব্দে বয়ে চলা স্বচ্ছ ঝর্ণার জল,
স্নান করবো কুলু-কুলু শব্দে বয়ে চলা নদীতে,
ভাব জমাবো বন্য পশু-পাখিদের সাথে,
খেলা করব আকাশের মেঘেদের সাথে
কারণ ওরা তো পাহাড়ে ধাক্কা খেতে ভালোবাসে।
এ আশা আমার বহুদিনের।
আহা-হা-হা যদি পূরণ হতো
তাহলে বোধহয় বাড়ি বানানোর খবর শুনেই আমোদে নাচতে নাচতে আমি মরে যেতাম!
সে মরে যাই কোন অসুবিধা নেই তাতে
না হয় আমি ভূত হয়েই থাকবো সেখানে।
যাইহোক ভগবান দেখা দাও গো
একবার দেখা দাও
আমার এ আশাটি পূরণ করো।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১/৩/২০২৪