নিরীহ জনগনের ভাত মারে যারা
তারা মানুষের জাতে পড়ে না।
তাদের শ্বাপদের জাত বললেও-
মনের গর্জন মেটে না,
তারা দুনিয়ার নিকৃষ্ট বিষধর কীট।
ওরা টাকার গোলাম সুদখোর ঘুষখোর,
ওরা হিংস্র ওরা শয়তান দুঃশাসন দুর্যোধন।
শুধু জানে কেড়ে নিতে সবকিছু-
বাড়ি জায়গা টাকা পয়সা সন্তান স্ত্রী সব।
ওরা ভোগী ডাকাত কামের ক্ষুধায় আষ্টেপিষ্টে শৃঙ্খলিত।
ওরা চলে ‘অর্থ’র বলে,
তা দিয়ে পাঞ্জা লড়ে
পারে কিনতে জগৎটাকেই-
ভগবানকে সিংহাসনচ্যুত করে।
আম জনতা কীভাবে লড়বে, অসহায় যে-
দুবেলা ভাতের জোগানই হয়ে ওঠে না অস্ত্র জোগাবে তায়?
জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে-
তাদের কাছে সাধারণ মানুষ হরিণের মত,
নিজেরা রক্তলোভী চিতা।
তারা চায় না শ্রম, চায় শুধু সুযোগ, কেবল এড়ায় সত্য-
তাদের জন্ম দিয়েছে মিথ্যা, ভবিষ্যতে যাবে নরকে জেনো।
ছলে বলে কৌশলে কথার মারপ্যাঁচে কেড়ে নেয় মুখের গ্ৰাস,
বাঁচতে দেয় না অসহায়দের ভগবানের উপর কলম চালায়।
ওরাই তো পাপী পাপ লগ্নে জন্ম,
আসে দীর্ঘ জীবন নিয়ে ধ্বংস করতে ভালোবাসার মায়ায় গড়া এ বিশ্ব।
তবু শেষ হবেই ওরা, এ যে বিধাতার লিখন।
শত অপমান লাঞ্ছনা সহ্য করেও পান্ডবরা জিতেছিল কুরুক্ষেত্রে,
কৃষ্ণ ছিলেন সাথে।
তাই মুখবুজে সব সহ্য করো-
হে নিপীড়িত জনগন, প্রার্থনা করো ভগবানকে।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৯মে,২০২৩,বিকাল, বারুইপুর