নীরব নিশীথে আমি গভীর নিদ্রায়,
হঠাৎ টুটিল তন্দ্রা মোর স্বপন অজানায়।
ক্রন্দন শুনি যেন, নহে এ তো আর্তনাদ,,
আমি দেখিয়াছি মাটির বুকেতে সেই
রক্তের দাগ।
বিতিয়া গিয়েছে ঐ সপ্ত দশক তবু আজি
প্রতিধ্বনি শুনি যেন সেই আহাকার ?..।
কারা যেন চিৎকার করে বলে মার মার
মার ছাড় ঘর ছাড় ।
নিমেষে পুড়িয়ে সে ঘর করিল যে ছাই,
শুনিল সে দেশ খনি আর তাহাদের নাই।
ঘোর তিমিরে গোপনে দিয়েছে করা
ভিটে খনি ছাড়ি,,
আমি দেখিয়াছি নামহীন লাশের স্তূপ রয়
পথ পাশে পড়ি।
রক্তে ভিজিয়া পথ হলো যে পিছল,
শিশুর রক্তে ভেজা মা’য়ের আঁচল,,
অশ্রুর বাঁধ ভেঙে ধুইলো কাজল।
চুপ চুপ লাশের হিসাব কষে ঐ করা যেন
বসি,,
ঐ হিন্দু মরিল কত?,না মুসলিম বেশি?।
কিন্তু আমি যে দেখিলাম মরিতে নিরীহ
মানুষ যত,তারা কেহ নহে দোষী ।।
আজ শিহরিত চিত্ত মোর ব্যাকুলিত মন,
সত্যিই কি সেদিন ছিলো প্রয়োজন
এই দেশ বিভাজন????।
কবিতাটি ২৪৭