বাপের বাড়ি কষ্ট করে
এসেছে পরের বাড়ি,
অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে
চাগিয়েছে ধানের হাড়ি।
পরের গৃহে কাজ করিয়া
তুলে নিয়েছে সংসারের ভার,
অভাবের সংসার তখন
শ্বাশুড়ির হাতে খেয়েছে অনেক মার।
সংসার থেকে শ্বশুর শ্বাশুড়ি বিতাড়িত করেছে
মা তখন গর্ভবতী,
বাপের বাড়ি ও ঠাই মেলেনি
শ্বাশুড়ির পায়ে খেয়েছে শত লাথি।
মায়ের কোন ভুল মাফ ছিল না
শ্বাশুড়ি নেই তার বেঁছে,
অসৎ শ্বাশুড়ি ললাটে জুটিয়াছে
সৎ শ্বাশুড়ি মারা গেছে।
মায়ের স্বামি খুব বোকা
বুঝতো না তার পিতা মাতার কথা,
ওদের কথা শ্রবন করিয়া
মাকে দিত অন্তরে সহস্র ব্যাথা।
লাঞ্চিত হয়ে আলাদা হল
দিয়েছে এক কৌটা চাল,
এক কৌটা চাল ফিরত পাঠাইলে
মায়ের শীরে নেমে এল অকাল।
মায়ের পতির টাকায় জায়গা ক্রয় করেছে
আবার শ্বশুরের বেড়েছে বংশ,
তারা এখন জায়গা ভাগাভাগি করে
মায়ের পতির দেয়নি সামান্য ও অংশ।
মায়ের সন্তান চারজন আমরা
নেয়নি কেউ কোলে তুলে,
ধূলায় গড়াগড়ি খেয়ে বড়ো হয়েছি
গিয়েছি ও সব কষ্টের কথা ভুলে।
এখন মানুষ কাছে ডাকে
পৌঁছে গিয়েছে দূরে,
সব আঘাত ভুলে গিয়ে
পিছনে তাকায় ফিরে।
হাস্য ছলে মায়ের সাথে কথা বলে
মনে পুষে রেখেছে এখনো হিংসা,
আমার মা কষ্ট করে এখনো আমাদের জন্য
আল্লাহকে করে ভরসা।