যেদিন আমি তোমার থেকে অনেক দূরে চলে যাব,
চিরকালের জন্য হারিয়ে যাব-
সেদিন বুঝবে আমি তোমার কাছে কী ছিলাম।
তখন কেবলই মনে পড়বে আমার কথা।
যখন আমি তোমার কাছে ভিক্ষা চেয়েছিলাম ভালোবাসার ভিক্ষা পাত্র ধরে-
তুমি দাওনি ভিক্ষা।
এমন কত স্মৃতি তোমায় ভাবিয়ে তুলবে।
আমার মৃত ভালোবাসা তোমার বুকে কেঁদে উঠবে-
তুমি এক মুহূর্তও স্থির থাকতে পারবে না।
কাঁদবে আমার ছবি বুকে রেখে।
কিন্তু ভালোবাসা কোথায় পাবে?
তখন তোমার দুচোখ ফেটে জল আসবে,
বুঝবে ভালোবাসায় কষ্ট দিলে
হৃদয় সেই কষ্টে ছারখার হয়ে যায়!
ঈশ্বরের অপর নাম ভালোবাসা, তিনি সব বোঝেন,
তাঁর চোখে কিছু বাদ যায় না।
যে তাঁকে হেলায় হারায়
তিনি নিজেই তার কাছ থেকে হারিয়ে যান।
কিন্তু যেদিন বোঝা যায় তিনি কে,
সেদিন আর তাঁকে পাওয়া যায় না, জীবনের জীবন হারিয়ে যায়।
জানি, যেদিন আমি থাকব না
সেদিন তুমি চিনবে আমায় ভালো করে।
আমার ব্যথিত ভালোবাসা’কে খুঁজবে,
মুছে যাওয়া ভালোবাসা’কে খুঁজবে।
কিন্তু কোথায়?
সে খোঁজাও হবে বৃথা।
আমি তোমায় রাখতাম চোখের মণি করে
কিন্তু তুমি আমার দিকে ভুলেও তাকাতে না,
সেদিন থেকে আমায় তোমার চোখে গেঁথে রাখবে-
শুধু মনে করবে আমি তোমার চারিদিকে আছি
আমায় সবখানে দেখতে পাচ্ছো।
আমায় আর কোনোদিন পাবে না
আমার কথাগুলো তোমায় বাতাসের মতো ঘিরে থাকবে।
তখন নিজেকে বোঝাবে যে, আমি আছি তোমার হৃদয়ে।
তখন অজ্ঞাতলোক থেকে ভাববো,
যেদিন তোমার হতে চেয়েছিলাম সেদিন দূরে ঠেলেছিলে,
সেদিন ছিলাম রক্ত মাংসের মানুষ,
আর আজ আমার কোনো অস্তিত্ব নেই,
বলতে পারো আমি এখন ‘শূন্য’, ‘মহাশূন্য’
তুমি তোমার শূন্য হৃদয়ে ঠাঁই দেবে আমাকে-শূন্যকে।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৫/০৭/২০২৩