এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হেমন্ত ঋতু,
শরৎ নিয়েছে বিদায়,দিয়ে কুয়াশার সেতু।
শিশির সকালে ভেজা, ঘাস হালকা কুয়াশায়,
প্রকৃতিতে বেজে ওঠে ,শীতের আগমনী বার্তায়।
ঘাসের মাথায় হীরার মতো,শিশির ঝলমল,
বাগানে শিউলি কামিনী ফুলের ঘ্রাণে টলমল।
সোনালি পাকা ধান, ঘরে তোলার হিড়িক
কৃষক-কৃষাণি ,মাতে আনন্দে ,সবাই বেদিক।
বৈচিত্র্য রূপে চলে শীত-গরমের খেলা,
সকালে ঠাণ্ডা দুপুরে উত্তপ্ত সূর্যের মেলা।
বাংলাদেশে এ ঋতুতেই প্রধান ফসল ধান,
সারা বছরের মুখের অন্ন এ সময় জোগান।
মহাজন থেকে ধার নেওয়া, সব পাওনায়
পরিশোধের সুযোগ হয়,ঘরে ফসল আনায়।
হেমন্ত এলে পাল্টে যায় মানুষ ও প্রকৃতি
ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব ,চারদিকে সম্প্রতি ।
গ্রাম বাংলায় পায়েস পিঠার কত আয়োজন,
চিড়া-মুড়ি খইয়ের স্বাদে আরো নানা রন্ধন।
হেমন্ত এলে খুশিতে জেলে, ছোটো নৌকায়,
মাছ ধরার সাড়া পড়ে ,খালে বিলে ডোবায়!
হেমন্ত এলে মানব মনে খুশিতে বাজে
- বাঁশি
মুখের হাসিটা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি।