বেয়াদব ভূত
- সব্যসাচী ঘোষ

শেয়ার করুন

পুকুরপাড়ে  নিমগাছেতে থাকে আস্ত ভূত ,

বড় বড় নখ, দাড়ি, চুল দেখতে অদ্ভুত।

পায়ের আঙুল পিছন দিকে, মাথা থাকে হাতে,

গলাকাটা ভূত বলে সবাই ডাকে তাকে।

বুক ঢিপ ঢিপ করে সবার হয় যখন রাত,

একা থাকেনা কেউ, সবাই থাকে একসাথ।

ভূতেরা সব সভা করে তাকে করেছে দলছাড়া,

 ভূতটা নাকি বিদ্রোহী, বেয়াদব, হতচ্ছাড়া!

বাচ্চাদের ভয় না দেখাতে বলে ভূতের দল,

এ ব্যাটা তাই করে যতই ওকে বল।

বাচ্চাদের ভয় দেখানো, খাবার চুরি করে,

ভূতের নেতা তাই বলেছে, দে ওকে দূর করে।

তাই ও ব্যাটা হতচ্ছাড়া থাকে নিমগাছে,

সন্ধ্যা নামলে পুকুরপাড়ের যায়না কেউ কাছে।

ভূত তাড়াতে গ্রামে এল কত কত ওঝা,

ওঝাই শেষে পালাল, নিয়ে ভয়ের বোঝা।

সব শিশুরা ভূত তাড়াতে চেষ্টা শেষবার,

ব্রহ্মদত্যির কাছে সবাই করল দরবার।

ভয়ে ভয়ে দত্যিকে সব বলল মনের কথা,

শুনে দত্যির মনে হল বড় ব্যাথা!

ব্রহ্মদত্যি বাচ্চাদের দিল যে অভয়-

নিশ্চিন্তে যা তোরা, দেখি কি হয়!

ব্রহ্মদত্যি গলাকাটা ভুতকে দিল শমন,

কাঁপতে কাঁপতে এসে ভূত করল ণমন।

ঘাড় মটকে চিবিয়ে খাব, ভেঙে দেব হাড়,

মাথা নিয়ে বল খেলব- যদি দেখি পুকুরপাড়ে আর।

ব্রহ্মদত্যির রূপ দেখে ভূত হয়ে গেল “ফুরুৎ”,

আর দেখেনা কেউ পুকুরপাড়ে, ওই গলাকাটা ভূত।।


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন