bir jawan bangla kobita banglashikha.com

বীর জওয়ান
- কৌস্তুভা গুহ ব্যানার্জি

শেয়ার করুন

দেশের সীমান্তে যে সকল ফৌজি ভাইরা, আমাদের শান্তির নিদ্রার জন্য ক্রমাগত মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে, তাদের উদ্দেশ্য আমার ছোট্ট নিবেদন।

___________________________

ডাইরির পাতা টাও আজ হয়তো 

ত্যাগ করবে শেষ নিশ্বাস 

আমার দু চোখ হয়তো, 

দেখবে না কাল ভোরের আকাশ. 

বাবা, কিছু কথা আজও হয়নি বলা,

শেষ বেলায় কলম ধরেছি আমি।

 টেলিফোন এ বলতে গেলে ধরে আসতো গলা, 

শেষ দেখাও হবে না আমি জানি। 

 বাবা, তোমার ইচ্ছে মতই, আজ আমি বীর প্রহরী, 

তোমার মুখেই শুনেছি প্রথম, দেশবন্ধু, সুভাষ এর কথা, 

তোমার কথাই পেরেছি চিনতে দেশদ্রোহী ।

আজ সেই আমি কাঁটা তারের পাশে, 

ছোট্ট তাঁবু তে বসে, 

চারিদিকে এক ভয়ঙ্কর নিস্তব্ধতা 

কে যানে কখন কোনো বীর, তারার মত, পর্বে খোসে? 

কিছু টাকা জমানো আছে ব্যাংকের খাতা তে. 

তুমি যতই বলো আছো তুমি ভালো, 

জানি আমি, লাভ হচ্ছে না বেশি চাষেতে. 

যদি কাল হাজারো গুলি এসে ছিন্ন ভিন্ন করে আমার ছাতি, 

মাকে বলে দিও তার দেয়া রক্তে স্নান করলো দেশের মাটি। 

তার  কলিযা কে সে কবেই করেছে দান, 

তাই আর যেন পাইনা দুঃখ, করে না কান্নাকাটি. 

নীলিমা কে বলে দিও আমার অপেক্ষায় 

সে যেনো আর থাকে না বসে, 

দ্বিধা জানো রাখে না সংসার পাতায় 

শুধু একবার যেনো আমার নিথর দেহের পাশে আশে. 

ও হা, আমার ঘরের আলমারিতে 

একটা চিকন হার রাখা 

লকেটে আছে তোমার, মায়ের 

আর আমার ছবি আঁকা. 

দেয়া হয়নি তেমন কিছুই মাকে 

ভেবেছিলাম এই ছোট্ট উপহার টি, 

এই জন্মদিনে নিজে হাতে দেবো তাকে. 

এবার যাওয়ার পালা, 

কন্ট্রোল রুম থেকে আসছে 

কর্নেলের গলা. 

ভালো থেকো তোমরা সব

শুধু, তিরঙ্গাই মোরা দেহ টা পেলে 

জয় হিন্দ বলে একবার তুলো রব. 

এরপরই urdi টাও শেষ বারের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেললো 

 চলেছে যুদ্ধ ক্ষেত্রে বীর জওয়ান, 

কাঁটা তারের এপার ওপার রক্ত স্রোতে ভাসছে 

হঠাৎ এক উত্তপ্ত গুলি মস্তিষ্ক এপার ওপার করে যায়, 

দেশের মাটিতে লুটিয়ে তিরঙ্গাকে  জানায় শেষ সম্মান. 

এখন দেশের বাড়িতে তার তিরঙ্গা মোরা সম্মানিত দেহ. 

বাবার হাতে ছেলের ডায়েরি আর অশ্রু ভরা স্নেহ. 

হে বীর জওয়ান তোমরা মহান,

তোমরাই দেশের প্রকৃত সন্তান, 

স্যালুট করি তোমাদের আর, 

জানায় বীর পিতা মাতাদের 

  আমার বিনম্র প্রণাম. 

হে বীর জওয়ান তোমাকে শত কোটি প্রণাম. 🙏🙏🙏🙏🙏🙏


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন