মা গো তুমি ভয় পেয় নে।
আমি সেই
যাকে আজ ভোর আঁধারে পথের ধরে
নোংরা নর্দমায় ফেলে এলে।
কিছু প্রশ্নের উত্তর নিতে মা গো এসেছি
তোমার রাতের স্বপ্নে।।
মা গো নর্দমায় যদি ফেলারি ছিল
তবে কেন দশমাস দশদিন
অন্যের পাপ বহন করলে নিজের গর্ভে।
কেন মা জগতের আলো দেখতে না দেখতে
আমায় আবার ফেলে এলে
ওই আবর্জনার পাশে।।
যুগ যুগ ধরে না কী মা শুনে এসেছি–
একটি নারীর জীবন তখনই পূর্ণ হয় না কী
যখন সে তার গর্ভের সন্তানকে
স্তন্যসুধা পান করিয়ে তাকে যতখন না বড় করে।
তবে কেন গো মা আমায় সৃষ্টি হবার আগে
আমায় ধ্বংস করে নিজের মাতৃত্ব কে নষ্ট করলে।।
শুনেছি মা না কী জগত সেরা শব্দ–
আর মার মতো আপন এ জগতে কেউ হয় না কো,
আজ আমি জন্ম নিয়ে বুঝেছি মা গো
মা কতটুকু স্নেহময়ী কতটুকু করুনময়ী।।
মা গো তুমি তখন আমায় ফেলে এলে
আর তো আমার খবর নিলে না যে
পথের কুকুরের আহার হলাম অবশেষে–
তারা আমার কচি দেহটাকে ছিন্নভিন্ন করে
তাদের সন্তানকে খাওয়ালো পেট পুরে ।।
আর মা তুমি তো আমায় কিছু না খাইয়েই বিদ্যায় করলে।।
মা গো অবহেলাতে নাই বা আমায় জন্ম দিলে
উপভোগের নির্মম ফল ভেবে
নাই বা আমায় ছুড়ে ফেলে দিলে।।
তাই বলে কী মা
আমার বাঁচার অধিকার ছিল না এ জগতে।।
তুমি আমায় নাই বা তোমার সন্তান ভাবতে পারো
কিন্তু মা আমি যে তোমার গর্ভে প্রসূত।
তাই এই জন্মে তোমার সন্তান হয়েও
সন্তান হতে পারলাম না কো কপাল দোষে
আর তোমায় মা বলে ডাকা হলো না কো
এ জীবনে ।।
এই বাসনা মনে মা গো
যাতে পরের জন্মে তুমি আমার গর্ভে জন্ম লও।।
তখন মা গো এই ফেলে দেওয়া সন্তানের কাছে বড় হইও।।
তখন কিন্তু মা আমি তোমার মতো ছুরে ফেলবো না কো তোমায় কোন নর্দমাতে।
বরং তোমায় কোলে করে বড় করবো
তোমার পিতার পরিচয়ে।।
-দীপঙ্কর সাহা (দীপ)