ইচ্ছে করছে তোকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে একটা চুমু খাই,
তোর চুলগুলো আমার কাঁধে এসে পড়ুক।
ইচ্ছে করছে তোকে কোলে নিয়ে ঘাড়ে একটা চুমু দিই,
তোর মনে যৌনতার স্বাদ জাগিয়ে তুলি।
ইচ্ছে করছে একসাথে মেলায় গিয়ে ফুচকা পাঁপড়ি চাট খাই,
খুশিতে প্রেমের গল্প করি।
ইচ্ছে করছে তোকে একটা পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভূতের ভয় দেখাই,
তুই নাকি একদম ভয় পাস না।
ইচ্ছে করছে একসাথে চলতে চলতে হঠাৎই-
পিছন থেকে তোর চুল ধরে হালকা টানি,
তুই রেগে আমার বুকে মার এক ঘুষি।
ইচ্ছে করছে ভিড় বাসে উঠে বসার জায়গা না পেয়ে-
তুই আমার সামনে দাঁড়িয়ে গায়ে হেলান দিয়ে থাক।
তোর ঘামে একাকার হয়ে যাই,
তোর চুলের গন্ধে প্রেমের জীবনটা উপভোগ করি।
ইচ্ছে করছে তোকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাই,
মনের মতো ক’টা দিন কাটাই।
ইচ্ছে করছে কোন এক কালী মন্দিরে গিয়ে
তোর আর আমার বিয়েটা সেরে ফেলি।
তুই আমি কত ঝগড়া করেছি,
বিয়ের পর আমাদের রাজা হবে না রানি হবে এই নিয়ে….।
তোকে শুধু দেখে গেলাম স্বপ্নেতে-
আমার ইচ্ছেগুলো অসম্পূর্ণ থেকে গেল রে।
(চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে জল)
আমি যে শুয়ে আছি হাসপাতালের বেডে,
পাশেই দেখতে পাচ্ছি কম্পিউটার স্ক্রিনে আমার হার্টবিট-
তার ওঠানামা ক্রমশ কমে আসছে, কমে আসছে।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
৩০মে,২০২৩,দুপুর ২টা, বারুইপুর