তুমি আমার নাম কোনোদিন মুখে নিলে না।
তোমার জিভ দাঁত ঠোঁটের স্পর্শ পেলাম না,
জন্ম থেকে আমার নামটা মৃত হয়েই থাকলো!
তোমার কথা ভেবে ভেবে
ইচ্ছেমতো গাছের কোল খালি করে গোলাপ তুলেছি,
তোমার ঠোঁট মনে করে
গোলাপের পাঁপড়িতে চুম্বন দিয়েছি,
তুমি আমায় জড়িয়ে আছো এই ভেবে
আমার সারা শরীর গোলাপের পাঁপড়িতে ভরিয়েছি-
কিন্তু তুমি আমাকে কোনোদিন দেখলে না।
কীভাবে বুঝব গোলাপ এক যন্ত্রনাদায়ক ফুল?
ওর কাঁটা আমার সারা শরীরে গেঁথে সৃষ্টি করেছে লাখো লাখো ক্ষতস্থান- আমি রক্তে একাকার।
তুমি যদি একবারও তাকাতে- আমি ভোজবাজির মতো সেরে উঠতাম!
তুমি আমায় কোনোদিন তোমার হৃদয়ে স্থান দিলে না-
আমার সারা জীবনটা মরুভূমি হয়ে থাকলো।
মরুভূমিতে মরুদ্যান থাকে
কিন্তু আমার তো তাও নেই-
তার আকাশে বাতাসে শুধু হাহাকারের শব্দ।
যেখানে কোনো বাঁচার অক্সিজেন নেই
সারা মরুভূমি ছেয়ে আছে মৃত্যুর অভিশাপে!
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
৬/০৭/২০২৩
বারুইপুর