যদি শরৎকালের নীল আকাশ হতে পারতাম তাহলে কত ভালো হতো।
আমার গায়ে ছোটো বড়ো সাদা মেঘ ভেসে বেড়াতো,
কবি, সাহিত্যিক তাই দেখে কল্পনায় ডুবে যেতো;
রাশি রাশি কবিতা গল্প লিখতো।
বাতাস আনন্দে বইতো;
সেই তালে তালে নদীর পারের সারি সারি কাশ ফুলের গাছ মাথা দোলাতো,
ঢাকের বোলে চারদিক মেতে উঠতো
এই প্যান্ডেল সেই প্যান্ডেল থেকে আগমণী গান ভেসে আসতো,
আর সেই সাথে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠ মাইকে মাইকে ছড়িয়ে পড়তো-
সব মিলিয়ে জমজমাট পরিবেশ হয়ে যেতো।
হিন্দু-মুসলমান আর যত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছে সবাই একসাথে মন্ডপে মন্ডপে ভিড় জমাতো,
এই পুজোয় কোনো জাতপাতের ভেদাভেদ থাকে না যে।
ছোটো ছোটো ছেলেমেয়ে থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধা সকলের
মুখে হাসি থাকতো,
সারা পৃথিবী যেন রঙের বাহারে গানের সুরে আলোর সাজে সেজে উঠতো।
জগৎ জননী মা দুর্গা আমার দুচোখ দিয়েই দেখতেন-
সারা পৃথিবীর এই আনন্দ উৎসব।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৯/০৭/২০২৩