বাউন্ডুলে
সেই তো ছিল পাড়ার রক,
দশটা বাজার সাথে সাথেই ছুটে যাওয়া।
সেই তিনটে মূর্তি এক হওয়া।
রোজ শিশুরা যেত স্কুলেতে
তাকিয়ে থাকতো সেই রকের দিকে চেয়ে।
সিগারেটের ধোঁয়া আর হাতে তাসের পাতা,
পড়াটাকে মাতিয়ে রাখতো হুংকারে।।
সবাই জানতো হবে না কিছুই-
এভাবে তাস পিটিয়েই যাবে চলে
ছোকরা তিনটের।
নেই তাদের ভাবোনা – নেই তাদের টাকার লালসা।
তবু তারাও মানুষ।
আছে অধিকার – আছে বাঁচার কামনা।।
একদিন কাটলো তারা এক লটারি;
ভাগ্যে যে থাকবে কখনোই ভাবেনি।
মোটা টাকা আসলো সেই বাউন্ডুলে গুলোর হাতে
কিন্তু করবে কি?
তাদের তো নেই অক্ষর জ্ঞান
নেই তাদের টাকার দরকার,
অভাব বলতে ছিল একটু শান্তির!
বিলিয়ে দিল অর্থের সমস্তটাই এক অনাথ আশ্রমে
এতেই তারা পেল খুঁজে বাঁচার অদ্ভুত এক শান্তি।।