বুকহীম করা শব্দ তুলে ‘রাস্তা দাও, রাস্তা দাও’ বলে চলে গেল এম্বুলেন্স –আমি তেরো তলার উপর থেকে বেলকনির রেলিং গলিয়ে চোখ রাখলাম রাস্তায়, খুদে খুদে …
বিস্তারিত »বিধান চন্দ্র রায়
কবি ও আবৃত্তিকার বিধান চন্দ্র রায় এর জীবন বৃত্তান্তবিধান চন্দ্র রায় এর জন্ম ০৭ ই ফেব্রুয়ারী ১৯৫৬ সালে,
বাংলা ২৪ শে মাঘ,১৩৬২ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮.৩০ মিনিটে
(জ্যোতিষ বিশ্লেষণে,কুষ্টি-ঠিকুজি বিচারে তিনি ধনু রাশির জাতক,ক্ষত্রিয় বর্ণ,দেবারী গণ/ভারতীয় মতে) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের(বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ার পৈত্রিক ভিটায়, লক্ষ্মী কুটিরে। তাঁর পিতার নাম সুরেন্দ্র নাথ রায়, মায়ের নাম শান্তি রাণী রায়।তাঁর মামা বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় সুজাপাড়া গ্রামে বিখ্যাত মজুমদার পরিবারে। পাঁচ ভাই-বোন এর মধ্যে তিনি তৃতীয়। পরিবারে অনেকেই তাঁকে আদর করে ডাকতেন তপন বা তপু নামে। এক বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে তাঁর ছোটবেলা কেটেছে।কুষ্টিয়া খৃষ্টান মিশনারী স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক লেখা পড়া শুরু করেন দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে ১৯৬৩ সালে। সেই সময় ক্লাস শিক্ষক তাঁর জন্ম সালটি ভুলক্রমে পালটে দেন। তার পর থেকে সর্বত্র ১৯৫৭ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। পরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন।কুষ্টিয়া থেকে তিনি 'রশ্মি' নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করতেন ১৯৭৩ সালে। কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াকালীন ১৯৭৩ সালে তাঁর প্রথম ছোট গল্প প্রকাশিত হয় কুষ্টিয়ার 'দেশব্রতী ' পত্রিকায়। গল্পটির নাম ছিল 'এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা'।সে সময় তিনি যুক্ত হন সাংবাদিকতার সঙ্গে।স্থানীয় 'ইস্পাত' ও জাতীয় ইংরেজি দৈনিক "নিউ নেশনের" সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।স্নাতকোত্তর করেন ১৯৭৮ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে।রাজশাহীতে থাকাকালীন তিনি নিয়মিত আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা ও বিভিন্ন ফিচার পাঠ করতেন রাজশাহী বেতারে। দৈনিক বার্তাতে তাঁর কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হতো।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে সৈয়দ আমীর আলী হল থেকে " নন্দিত উপবন " নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন(১৯৭৯-৮০)। কোম্পানি তে চাকরির সুবাদে বরিশাল, রংপুর,চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা,পটুয়াখালী,
হাতিয়া,ভোলা,চুয়াডাঙ্গা,মেহেরপুর, রাজবাড়ী ঘুরে দেখার সুযোগ ঘটে তাঁর।বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে আশার সুযোগে প্রতিদিন বহুবিধ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে তার জীবন। কথ্য ভাষার বিভিন্ন ভঙ্গিমা,মানুষের আচার আচরন তাঁকে আপ্লুত করে। বহুজাতিক কোম্পানি তে চাকরি রত অবস্থায় এম.বি.এ. ও এল.এল.এম. সম্পন্ন করেন। ঢাকা জর্জ কোর্টে আইনজীবী হিসাবে তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে। বর্তমানে তিনি একটি বহুজাতিক পোশাক প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর এইচ.আর, এডমিন ও লিগাল এফ্যায়ারস্ এর দায়িত্ব পালন করছেন।তাঁর পারিবারিক ইতিহাস জেনে বিস্মিত হলাম। তাঁদের ১০/১১ পুরুষ আগে তাঁদের পদবী ছিল নন্দী। বিশেষ কৃতিত্ব সরূপ পাঠান/মোগল আমলে রায়রাইয়াঁ উপাধি
অর্জ্জন করেন। যদিও তাঁরা রায় অংশটুকু বর্তমানে ব্যবহার করেন। কেউ কেউ অবশ্য নন্দী রায় ও ব্যাবহার করেন।এঁরা পোতাজিয়ার রায় নামে খ্যাত। এই নন্দী বংশে তাঁদের এক পূর্ব পুরুষের বিখ্যাত কবি খ্যাতি ছিল।এ বংশের বিস্তৃত ইতিহাস পাওয়া যাবে "বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস"ও "বঙ্গীয় কায়স্থ সমাজ" গ্রন্থে।তিনি একজন ছোট গল্প লেখক, কবি ও আবৃত্তিকার। স্কুলে পড়াকালীন আবৃত্তি তাঁকে খুব আকৃষ্ট করতো। দেশবিভাগ উত্তর সাম্প্রদায়িক রেষারেষি, স্বজন হারানোর যন্ত্রনা-বিচ্ছেদ, পশ্চিমি শাসকদের বঞ্চনা,বিভিন্ন বৈষম্য, পারিবারিক সংঘাত ও রুঢ় বাস্তবতা তাঁর লেখার উপজীব্য বিষয়।মানব জীবনের বিভিন্ন চেতনা,জীবনের সংকট,
প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র তাকে নাড়া দিয়েছে গভীর ভাবে। নিঃসঙ্গতা ও বিষন্নতায় আচ্ছন্ন হয়েছে তাঁর মন বারবার।তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ 'আয়নায় নিসর্গ রমণ' (যৌথ)
প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। গ্রন্থটি সে সময়ে কুষ্টিয়ার দশজন কবির তিনটি করে কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। 'তোরা যে যা বলিস ভাই' আরেকটি যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ সালে। তাঁর লেখা কবিতা একাধিক ভাষায় অনুদিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ,শরণার্থী জীবন ও স্বাধীনতা পরবর্তী কালে মানুষের বিত্তবৈভব এর প্রতি অদম্য আকর্ষন তাঁকে ব্যথিত করে। তাঁর একাধিক গ্রন্থ যন্ত্রস্থ অবস্থায় আছে।১) ছেলেবেলার ডায়েরি ২) কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক জীবনে মোহিনী মিলস্
৩) পরিচয় পর্ব ৪)বিবিধ প্রসঙ্গ(পাঁচ মিশালি লেখা)৫) এলোমেলো(গল্প গ্রন্থ) ৬)আমার এই ভূমি (কাব্য গ্রন্থ) অন্যতম।৭)My Dynasty /Selected poem(ইংরেজিতে অনুদিত)তাঁর স্বনামে(Bidhan Chandra Roy)ইউ টিউব এ, একটি আবৃত্তি চ্যানেল আছে। সেখানে ষোড়শ শতক থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত উভয় বাংলার বাঙালি কবিদের কবিতা তিনি কণ্ঠে ধারণ করেছেন,করছেন।তাঁর স্বরচিত কবিতাও তিনি কণ্ঠ বন্দী করছেন, এ চ্যানেলে।এ ছাড়া ওমর খৈয়াম এর রুবাইয়াত ও অন্যান্য ভাষার কবিদের কবিতা তিনি কণ্ঠে ধারণ করার, করেছেন।
ঘুরে বেড়ানোর প্রস্তাব পেলে তিনি স্বানন্দে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেশে ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে তাঁর । ভারত, ভুটান, নেপাল,শ্রীলঙ্কা ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া,
থাইল্যান্ড ও দুবাই ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে তাঁর।তাঁর সহধর্মিণীর নাম ছবি ছন্দা রায়। ১৯৯৪ সালের ২৭শে জুলাই তিনি গাঁটছড়া বাঁধেন রাজবাড়ী কন্যার সাথে।তিনি ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েছেন,তাঁর দুটি সন্তান, অনন্যা শ্রেষ্ঠা রায় ও অমিত বিক্রম রায়। তাঁর পছন্দের রং হলুদ এবং কালো। অফিসে সুট-টাই পড়লেও,পোশাক হিসাবে পাঞ্জাবি-পাজামাতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। মোগলাই, থাই, চাইনিজ খাবার তাঁর পছন্দ, কিন্তু দেশী খাবার তাঁর পছন্দের তালিকার একদম শীর্ষে। শাক,ডাল,
ভাত, গরম ঘি,ভাজা-ভূজি,টক দৈ,গুঁড়া মাছের চচ্চড়ি,
রুইমাছের কালিয়া আর ভাপানো ইলিশ মাছের তুলনা আর কিছুতে হয় না।সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছেন : অমিত বিক্রম রায়। ১০/০১/২০২১,ঢাকা।
আংটি ©বিধান চন্দ্র রায়
আমার আংটিগুলো খুলে রেখেছি, আংটিগুলো সব খুলে রেখেছি দেরাজে; ডানহাতের মধ্যমায় ছিল কাশ্মীরি নীলা,অনামিকায় ছিল বার্মিজ রুবি,কনিষ্ঠ আঙুলে সোয়াতি পান্না, বাম হাতের মধ্যমায় ছিল সিংহলি …
বিস্তারিত »সূর্যের থেকে উৎকর্ষ ©বিধান চন্দ্র রায়
অবশেষে আড়মোড়া ভেঙে বসেচাঁদ ও জোৎস্নার গর্ভে হারিয়ে যায় সূর্যের শেষ রশ্মি –সারাদিন উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সূর্য তড়িঘড়ি করে বিদায় নিচ্ছে ইদানিং, কারণ বছরের শেষভাগে …
বিস্তারিত »