চাকরি নেই।
প্রতি মাসের দশম দিবসে পরিবারের সবার মুখে হাসিটাও হয়তো থাকবে না।
মাসের শেষের দিকে হাত কচলিয়ে আর হয়তো বলা যাবে না – ‘এইতো, আর কয়েকটা দিন’।
চাকরি নেই।
প্রতিদিনই আজ মাসের শেষ দিনগুলির মতো।
বুকের উপর পাহাড় সমান অট্টালিকার ভার,
সন্তানের অবহেলা, স্ত্রীর কালো মুখ ঠিকই আছে; থাকবে।
চাকরি নেই।
গ্রামে মায়ের হাতে গর্বের সম্বলও নেই।
গ্রামের বাজারে বন্ধুদের কাছ থেকে হয়তো আর শোনা যাবে না, ‘শালা, শহরে গিয়া তো ভুইলাই গেছ!’
সবাই এখন সমান।
চাকরি নেই।
দুই গ্লাস পানি খেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া।
জীবনে যা কিছু সুখের ছিল সবই উধাও।
তাই হয়তো দুনিয়ার সকল মায়াবী আকর্ষণের গায়ে লাথি মেরে চলে গেলেন ৪৫ বর্ষা দেখা আনোয়ার হোসেন মান্নান; যার প্রতিটি বর্ষাই ছিল প্রবল ঝড়ে আচ্ছন্ন।
এক গার্মেন্টস কর্মী; জীবন সংগ্রামী।
মস্তিষ্কে বাস করা ‘মৃত্যুকীট’দের হত্যা করতেই হয়তো এক ঢোকে শেষ করেন কীটনাশকের লাল বোতল।
আমি অন্ধ সেজে বসে থাকি,
দৌড় শুধু কিছু লিখালিখি পর্যন্তই।
তারপর চুপ, আবার চুপ।