এই লেখাতে ডঃ বিধান চন্দ্র রায় -এর সম্পর্কে আমরা জানবো। ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জীবন সম্পর্কে আমরা অনেকে অনেক কথাই জানি , আর যারা জানেনা তারা এই লেখাটি পড়ার পর ডঃ বিধান চন্দ্র রায় সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবে।
একই সাথে, আমরা জানব যে সমস্ত ভারতীয় কেন আজকের দিনটিকে “চিকিৎসক দিবস” হিসাবে পালন করে।
জন্মঃ
জনপ্রিয় ও খ্যাতিমান ডঃ বিধানচন্দ্র রায় ১ই জুলাই, ১৮৮২ সালে বিহার রাজ্যের অন্তর্গত পাটনার ঝাঁকিপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাঃ
১৯০১ সালে পাটনা কলেজ ম্যাথ (অনার্স) বিএসসি পাশ করে তিঁনি কলকাতায় চলে আসেন। তিঁনি ১৯০৬ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এল এম এস এবং দু’বছর পর ১৯০৮ সালে এম ডি লাভ করেন।
কর্মজীবনঃ
ডঃ বিধানচন্দ্র রায়-এর জীবিকা ছিল চিকিৎসক। ১৯১১ সালে ইংল্যান্ড থেকে এফ.আর.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুলে (বর্তমানে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ) শিক্ষকতা ও চিকিৎসা ব্যবসা শুরু করেন।
পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সদস্য, রয়াল সোসাইটি অফ টপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন ও আমেরিকান সোসাইটি অফ চেস্ট ফিজিশিয়ানের ফেলো নির্বাচিত হন।
১৯১৯ সালে তিঁনি কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিনের অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন।১৯৪৮ সালে তিঁনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রতিষ্ঠাতাঃ
তিঁনি প্রতিষ্ঠা করেন পাঁচটি নতুন শহর যথা- দুর্গাপুর, বিধাননগর, কল্যাণী, অশোকনগর- কল্যাণগড় ও হাবরা। তিঁনি পশ্চিমবঙ্গের রূপকার নামেও অভিহিত।
সম্মান ও স্মৃতি :
১৯৬২ সালে তিঁনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন পুরষ্কার লাভ করেন। ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের স্মৃতি রক্ষায় কলকাতার উপনগরী সল্টলেকের নামকরণ করা হয় বিধান নগর।
১৯৮২ সালে ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের প্রতীক ভারতীয় পোস্টাল স্ট্যাম্পে ব্যবহৃত হতো।
মৃত্যুঃ
ডঃ বিধানচন্দ্র রায় ১ই জুলাই, ১৯৬২ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
ডঃ বিধানচন্দ্র রায় জন্ম ও মৃত্যু দিবস ১ই জুলাইকে সারা ভারতে “চিকিৎসক দিবস” রূপে আমরা পালন করি।