💐উত্তম কুমার [Uttam Kumar]💐
মহানায়ক উত্তম কুমার -এর প্রকৃত নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়।
আজকের দিনে 24 ই জুলাই, 1980 সালে, কলকাতায়, মহানায়ক উত্তম কুমারের মহাপ্রয়াণ ঘটেছিল।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের শ্রেষ্ঠত্ব জনপ্রিয় সুদর্শন মহানায়কের মহাপ্রয়াণে আপামর বাঙালির হৃদয়ে যে, শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত শূন্য রয়ে আছে। মহানায়কের স্থান পূরণ করবার মতো কোনো প্রতিভাবান ও সুদর্শন অভিনেতার দর্শন আজও পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। আজও মহানায়ক-এর অভিনয় স্মৃতি চারণে মুগ্ধ হয়ে রয়েছ অগণিত ভক্ত। তিঁনি বাঙালি চলচ্চিত্র জীবনে চিরকালের জন্য মহানায়ক হয়েই রয়েছেন।
মহানায়কে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম 🙏🙏🙏।
আজকে এই বিশেষ শ্রেষ্ঠত্ব মহানায়ক উত্তম কুমারের মহাপ্রয়াণ দিনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -এর (Rabindranath Tagore) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) কৃষ্ণকলি (Krishnakoli)।
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি।
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলাদিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে,
মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে
ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে
কুটির হতে এস্ত এল তাই।
আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু
শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ।
পুবে বাতাস এল হঠাৎ ধেয়ে,
ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
আলের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেম একা,
মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
আমার পানে দেখলে কিনা চেয়ে,
আমিই জানি আর জানে সে মেয়ে,
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ।
এমনি করে কালো কাজল মেঘ
জ্যৈষ্ঠ মাসে আসে ঈশান কোণে।
এমনি ক’রে কালো কোমল ছায়া
আষাঢ় মাসে নামে তমাল-বনে।
এমনি ক’রে শ্রাবণ-রজনীতে
হঠাৎ খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
মাথার ‘পরে দেয়নি তুলে বাস,
লজ্জা পাবার পায়নি অবকাশ।
কালো তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।