‘নীরব’
- মিহির বর্মন

শেয়ার করুন

নীরবকেও যে নিরবতা হানে 

গভীরতা তার ক্ষুদ্র প্রাণে 

চেপে থাকে এক কোনায় ।

শীর্ণ চেহারায়ও বেচে আছে

জীর্ণতা তার ক্ষুদ্রতা ভরায় ।

দুর-প্রান্তে দারিয়ে নীরবকে যবে 

দেখেছিলাম আমি , শূন্যতা সবে 

তার ক্ষুদ্র প্রাণে প্রবেশিত মন ।

কিভাবে জীর্ণতা ভরে শীর্ণতা তন ?

কোশিকায় ভরে আছে হাহাকার 

নীরবেরও যেন নিরবতার নেইকো আকার ।

কখনও বা মস্তক হস্তে রাখে

হাঁটুতে গুজে মাথা,

কিসের এত জ্বালা-যন্ত্রণা নিরবে তাকে

শূন্যতা ভরিয়ে দেয় আবেগে ব্যাথা ।

একদিন তাকে জিজ্ঞাসিনু পথে 

নীরব…; কিসের যন্ত্রণায় ডুবে থাকো তুমি ?

তোমার ভাবনায় যে ভাবিত আমি ।

ভাবি কোন কীটের বিষ তোমায় বিষাক্ততা দেয় ?

সেই বিষাক্ততা যদি নিঙরে ধাবিত হত আমায়

সহনহানি হয়ে আমি নিজেকে হারাতাম

কভু না তোমার সৌন্দর্য তবু দেখিতে পেতাম ?

আমার কথায় হয়তো নিরবে কেঁদেছিল 

তবুও কিছু শান্তি সে আমাতে পেয়েছিল ।

লম্বা নিকাশ তার কিছু বাহির হল

অশ্রু জলও যেন করে টলমল 

যদি  হ হ করে কাঁদিত সে

নিরবের ঘড়ে কিছু শান্তি তবুও থাকিত যে ।

একটু মুখ খুলে কাঁদ কাঁদ স্বরে 

বলিতে লাগিল সে আমারে-

সেই যে লতিকাকে যবে 

তার বাবা বলেছিল এ কলঙ্ক না সহিবে ।

তুই যা মরে ; আমি চাই না তোর মুখ দেখিতে ।

সামান্য অপরাধে বাবার এত বড় কথা 

সুমনকে সে ভালবেসেছিল এটাই তার ব্যাথা ।

সহে নি নিজেকে দিবা রাত্রি কাঁদিতে কাঁদিতে 

একদিন বন্ধ ঘড়ে যবে সে পান করেছিল বিষ ।

শুনে ; বিষাক্ততা যেন হানা দিল হৃদয়ে

নিরবে কাটিয়েছি যেন আমি প্রাণপণে ।

লতিকাকে যে আমি বড্ড ভালবেসেছিলাম 

কিন্তু পাই নি কভু তারে বলিতে 

এ জ্বালা যে আর হৃদয়ে না সহে ।

মনে ভাবি কেন যে আছি মোহ গর্তে 

বৃথা এ জীবন রাখি কিসের শর্তে ?

শুনে , আমার হৃদয় কেঁপে উঠিল 

বৈশাখি ঝড় হাওয়া তাতে বহিতে লাগিল ।

ভাবিলাম নীরবের মতো গভীর মন

এ জগতে নাহি আর

প্রেম তো সবারি রয়েছে কিন্তু নীরবের মতো গভীর কার ?

                                                           সমাপ্ত……


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন