নীরবকেও যে নিরবতা হানে
গভীরতা তার ক্ষুদ্র প্রাণে
চেপে থাকে এক কোনায় ।
শীর্ণ চেহারায়ও বেচে আছে
জীর্ণতা তার ক্ষুদ্রতা ভরায় ।
দুর-প্রান্তে দারিয়ে নীরবকে যবে
দেখেছিলাম আমি , শূন্যতা সবে
তার ক্ষুদ্র প্রাণে প্রবেশিত মন ।
কিভাবে জীর্ণতা ভরে শীর্ণতা তন ?
কোশিকায় ভরে আছে হাহাকার
নীরবেরও যেন নিরবতার নেইকো আকার ।
কখনও বা মস্তক হস্তে রাখে
হাঁটুতে গুজে মাথা,
কিসের এত জ্বালা-যন্ত্রণা নিরবে তাকে
শূন্যতা ভরিয়ে দেয় আবেগে ব্যাথা ।
একদিন তাকে জিজ্ঞাসিনু পথে
নীরব…; কিসের যন্ত্রণায় ডুবে থাকো তুমি ?
তোমার ভাবনায় যে ভাবিত আমি ।
ভাবি কোন কীটের বিষ তোমায় বিষাক্ততা দেয় ?
সেই বিষাক্ততা যদি নিঙরে ধাবিত হত আমায়
সহনহানি হয়ে আমি নিজেকে হারাতাম
কভু না তোমার সৌন্দর্য তবু দেখিতে পেতাম ?
আমার কথায় হয়তো নিরবে কেঁদেছিল
তবুও কিছু শান্তি সে আমাতে পেয়েছিল ।
লম্বা নিকাশ তার কিছু বাহির হল
অশ্রু জলও যেন করে টলমল
যদি হ হ করে কাঁদিত সে
নিরবের ঘড়ে কিছু শান্তি তবুও থাকিত যে ।
একটু মুখ খুলে কাঁদ কাঁদ স্বরে
বলিতে লাগিল সে আমারে-
সেই যে লতিকাকে যবে
তার বাবা বলেছিল এ কলঙ্ক না সহিবে ।
তুই যা মরে ; আমি চাই না তোর মুখ দেখিতে ।
সামান্য অপরাধে বাবার এত বড় কথা
সুমনকে সে ভালবেসেছিল এটাই তার ব্যাথা ।
সহে নি নিজেকে দিবা রাত্রি কাঁদিতে কাঁদিতে
একদিন বন্ধ ঘড়ে যবে সে পান করেছিল বিষ ।
শুনে ; বিষাক্ততা যেন হানা দিল হৃদয়ে
নিরবে কাটিয়েছি যেন আমি প্রাণপণে ।
লতিকাকে যে আমি বড্ড ভালবেসেছিলাম
কিন্তু পাই নি কভু তারে বলিতে
এ জ্বালা যে আর হৃদয়ে না সহে ।
মনে ভাবি কেন যে আছি মোহ গর্তে
বৃথা এ জীবন রাখি কিসের শর্তে ?
শুনে , আমার হৃদয় কেঁপে উঠিল
বৈশাখি ঝড় হাওয়া তাতে বহিতে লাগিল ।
ভাবিলাম নীরবের মতো গভীর মন
এ জগতে নাহি আর
প্রেম তো সবারি রয়েছে কিন্তু নীরবের মতো গভীর কার ?
সমাপ্ত……