Asim Saha Kobita ~ অসীম সাহা

Protibondhokota (প্রতিবন্ধকতা) ~ অসীম সাহা (Asim Saha)

কবি অসীম সাহার (Asim Saha) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) প্রতিবন্ধকতা (Protibondhokota)

আষাঢ়ের প্রবল বর্ষণে ভেসে যাবে সমগ্র পৃথিবী-
এই ভেবে বিরহী যক্ষের মতো যখন আকাশের দিকে
আকুল নয়নে তাকিয়ে রয়েছি, তখন আমাকে বিস্মিত
করে সজল-সঘন কালো মেঘ কখন যে অসভ্য ছেলের
মতো চোখ ঠেরে মুহূর্তে উধাও হয়ে গেছে- আমি তা টেরও পাইনি।
তার মানে এখন আর মেঘলা-ধূসর আকাশের কোনো
অস্তিত্ব নেই- তার বদলে প্রকৃতিকে গৃহবন্দি করে
সে এখন খোশমেজাজে যত্রতত্র ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।

অথচ কথা ছিলো, বাদল-বরিষনে তুমি এসে বসে থাকবে
কদমতলায়, আর আমি একটি হৃদয়ের ব্যাকুল বাঁশির সুর
শুনতে পাই বা না পাই, ঝড় ও বৃষ্টির জল উপেক্ষা করে
আমার পদ্ম-কোমল পা দুটো চেপে-চেপে নিজের রক্তের
ভেতর দিয়ে প্রবল প্রত্যাশা নিয়ে ছুটে আসবো তোমার কাছে।
কিন্তু আষাঢ়ের প্রকৃতি হঠাৎ এমন করে বেয়াড়া হয়ে উঠবে,
কে তা জানতো? বর্ষাও যে কখনো কখনো এমন বেরসিক আচরণ
করতে পারে, জীবনে এই প্রথম আমি তা প্রত্যক্ষ করলাম।
অতএব কী আর করা? আবার নতুন দিনের প্রতীক্ষা ছাড়া
তোমার কিংবা আমার আর তো কিছুই করার নেই।
তাই এসো, এই অলস ও উদাস অবসরে উভয়ে উভয়কে
বহফোনে এমন কিছু বার্তা পাঠাই, যাতে প্রবল বর্ষণের
মধ্যে যে ভয়ংকর বজ্রপাত হয়, আর তাতে কেঁপে ওঠে
সহজ হৃদয়, তেমনি করে শিহরনের ছোঁয়া লেগে
দু’জনেই কেঁপে উঠি, আর তুমি যেন আমাকে কিছুতেই
ভুল বুঝে বাঁশির সুর থামিয়ে দিতে না পারো- অন্তত
যেন বুঝতে পারো, সত্যিই আমি পায়ে কাঁটা বিঁধিয়ে,
আমার কোমল দুটি পা টিপে টিপে, দুর্গম পিচ্ছিল পথ
পেরিয়ে তোমার দিকেই ছুটে আসতে চেয়েছিলাম,
তা যেন সত্যিই আমি তোমার কাছে প্রমাণ করতে পারি।

কিন্তু তুমিই বলো, প্রকৃতি যদি আমাদের সহায় না হয়, তা হলে
ইচ্ছে থাকলেও আয়ান-ঘরণী হয়ে আমি কেমন করে
প্রকাশ্য দিবালোকে তোমার দিকে আকুল হৃদয়ে ছুটে আসতে পারি?
তুমি যদি কৃষ্ণ না হয়ে আমার হাতে তুলে দিতে তোমার
মর্মহরণকারী বাঁশি, তা হলে তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারতে,
অবরুদ্ধ সংসারের প্রজাপতি-জাল ছিন্ন করে তোমার কাছে ছুটে
যেতে গিয়ে আমাকে কতোটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে !

তাই বলছি, প্রয়োজনে তোমার চোখের জলে আমাকে ভাসিয়ে দাও,
তবু গোমড়া আকাশের মতো অমন মুখ ভার করে বসে থেকো না।
তুমি যদি আমার ওপর অমন অভিমান করে বসে থাকো,
তা হলে আমি বলবো, ‘এ জন্মেই কৃষ্ণ না হয়ে তুমি অন্তত একবার
আয়ান-ঘরণী হয়ে দেখো, কাজটা সত্যি সত্যিই অতটা সহজ নয়’ !

প্রতিবন্ধকতা (Protibondhokota) কবিতাটি ছাড়াও কবি অসীম সাহার (Asim Saha) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Amlanama (আমলা-নামা) ~ অসীম সাহা (Asim Saha)

কবি অসীম সাহার (Asim Saha) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) আমলা-নামা (Amlanama)

কিছু কিছু আমলা আছে
তাদের বড়ো গামলা আছে
তাতেই বহন করেন তারা মাল।
তাদের অনেক পাওয়ার আছে
অনেককিছু খাওয়ার আছে
কুমির এনে তারাই কাটেন খাল।
কেউ বা আবার খোদার খাসি
কেউ বা আবার বাঘের মাসি
কেউ বা আবার বিক্রি করেন দেশ।
কেউ বা আবার মিষ্টি হেসে
পাচার করেন সব বিদেশে
দেশটা তখন হয় যে পুরো শেষ।
আমলা নামক এই খুনিরা
লাঞ্ছনা দেয়, যে গুণীরা
জ্বালায় আলো সবার মনের মাঝে।
তাঁদের ওরা আঘাত করে
আগুন জ্বালায় তাঁদের ঘরে
তবু তারা বহাল থাকে কাজে।
যে আমলারা দেশপ্রেমিক
তারাই ঘোরে এদিক-ওদিক
পায় না তারা, তাদের যেটা ন্যায্য
তার বদলে ভাগ্যে জোটে
চাকরি থেকে রিজাইন মোটে
মন্ত্রী সাহেব তাদের করেন ত্যাজ্য।
ন্যায়ের বিচার পায় না তারা
মাথার উপর প্রবল খাড়া
পদোন্নতি হয় না তাদের ভাগ্যে।
এই কথা আর লিখবো কতো
সবাই বুঝুন নিজের মতো
লিখবো না আর দুখের কথা, থাক গে।

০৯. ০৩. ২০১৭

আমলা-নামা (Amlanama) কবিতাটি ছাড়াও কবি অসীম সাহার (Asim Saha) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Prithibir Shobcheye Mormoghati Roktopat (পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মঘাতী রক্তপাত) ~ অসীম সাহা (Asim Saha)

কবি অসীম সাহার (Asim Saha) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মঘাতী রক্তপাত (Prithibir Shobcheye Mormoghati Roktopat)

কাল রাতে ওরা আমার দেহ থেকে সিরিঞ্জ সিরিঞ্জ রক্ত তুলে নিয়েছে
আমাকে ওরা এক নিঃসঙ্গ অন্ধকার রাতের থমথমে নিস্তব্ধতার মধ্যে
বেঁধে রেখে বলেছে, ‘শাট আপ। কথা বললেই গুলি করব!’

তখনই সমস্ত পৃথিবী কাঁপিয়ে, সমস্ত চরাচর, বনভূমি কাঁপিয়ে
একটা ভয়ানক হাহাকার, মৃতদের কলরোল উড়ে এসে
আমার বুকের কাছে আছড়ে পড়েছে;
আমি কেঁপে উঠেছি।

আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে আমার মায়ের মুখ
একটি নিঃসঙ্গ একাকী প্রদীপের নিচে বেদনায় নুয়ে থাকা
    আমার জন্মদাত্রীর এলায়িত দেহের ভঙ্গিমা
চৌকাঠে এলোমেলো বাতাসের আঘাতে উদাসীন
    আমার প্রিয়তমা, আমার সন্তান, আমার একমাত্র উত্তরাধিকার।
এইসব ভাবতে ভাবতে আমার রক্তের ভেতরে জেগে উঠেছে
এক পরাজিত সৈনিকের আহত, ক্ষতবিক্ষত, ক্লান্ত-দেহের
                অস্বাভাবিক স্থবিরতা।

অথচ আমাকে থামলে চলবে না।
আমার সামনে কোটি কোটি মানুষের গগনবিদারী চিৎকার
আমার সামনে বিস্তৃত দিগন্তের নিচে অনাবিল সবুজ ধানের ক্ষেত
আমার সামনে পাকা ধানের মতো জীবনের
    অবিরত সম্ভাবনার সোনালী ভাঁড়ার

আমার চোখে জল নেমে আসে।
আমি অনেকদিন অসম্ভব বৃষ্টির বিপুল জ্যোৎস্নার মধ্যে
    শিশুর মতো খেলতে পারি নি
দুরন্ত বলের মতো সহস্র স্বপ্নের মধ্যে আমার নিবিড় প্রেম
    অশ্ব হয়ে ছুটতে পারে নি কোনোদিকে
শুধু রক্তলাল এ জীবন বহতা নদীর মতো
প্রয়োজনে ছুটে গেছে দৃশ্য থেকে অদৃশ্যের দিকে।
বুকের ভিতরে জেগে উঠেছে শতাব্দীর নীল আর্তনাদ
জেগে উঠেছে শোষণের সহস্র কাহিনী

শৃঙ্খলিত জীবনের মর্মঘাতী অতীত যাতনা।
সাথে সাথে আমার শিথিল হাত
জড়াতে জড়াতে মুুষ্টিবদ্ধ ইস্পাতে পরিণত হয়েছে
আমার কম্পিত করতলে ঘেমে উঠেছে শতাব্দী-লাঞ্ছিত মানুষের
এক অসম্ভব উজ্জ্বল রাসায়নিক বাল্ব।
আমি এক্ষুণি আমার বাল্ব ছুঁড়ে দেব
আজ কোন পরিত্রাণ নেই
কাল রাতে তোমরা আমার দেহ থেকে সিরিঞ্জ সিরিঞ্জ রক্ত তুলে নিয়েছ
আজ তার প্রতিশোধ
এক ফোঁটা রক্তের বিনিময়ে তোমাদের এক-একটা জীবনকে
আমি আমার স্বপ্নের আঘাতে ভেঙে টুকরো করে দেব।
আমার বুকের ভিতরে এক নিঃশংসয় নগরীর প্রজ্বলিত আভা
আমার বুকের ভিতরে একটি সমান পৃথিবীর সবুজ মানচিত্র
আমি এখন ইচ্ছে করলেই সমস্ত পৃথিবীকে
আমার হাতের মুঠোর মধ্যে নিয়ে আসতে পারি,
শুধু প্রয়োজন প্রতিটি ঐতিহাসিক রক্তবিন্দুর কাছ থেকে
    মানুষের সভ্যতার ইতিহাস জেনে নেওয়া
আমি সেই রক্তবিন্দু থেকে সম্মুখের ইতিহাস অবধি
নিজের রক্তবিন্দুকে প্রবাহিত করে দিতে চাই
আমি একটি রক্তপাতহীন পৃথিবীর জন্যে
এই মুহূর্তে পৃথিবীর
    মর্মঘাতী রক্তপাত করে যেতে চাই।

পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মঘাতী রক্তপাত (Prithibir Shobcheye Mormoghati Roktopat) কবিতাটি ছাড়াও কবি অসীম সাহার (Asim Saha) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Mrittu 5 (মৃত্যু-৫) ~ অসীম সাহা (Asim Saha)

কবি অসীম সাহার (Asim Saha) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) মৃত্যু-৫ (Mrittu 5)

মৃত্যু-৫
অসীম সাহা

কেউ তো আসেনি কাছে, কেউ তো দেয়নি মুখে একবিন্দু জল,
কেউ তো বলেনি ডেকে, ‘এখন কেমন আছো?’ শুধু অবিরল
চোখ বেয়ে নেমে গেছে ফোঁটা ফোঁটা অশ্রুকণা, আর চোখে ঘুম,
শূন্য থেকে নেমে এসে আমাকে দিয়েছে শাস্তি, দিয়েছে হুকুম :
আর কটা দিন থাকো, তারপর আমি এসে নিয়ে যাবো যেখানে নেবার,
এখনো হয়নি কিছু, শুধু কিছু বাকি আছে সাক্ষ্য দেবার।

তারপর তোকে আমি শান্তি দেবো, চিরজীবনের মতো শান্তি পাবি তুই,
এবার ঘুমিয়ে পড়্, আমিও দু’চোখ বুজে তোর কাছে শুই।
তারপর শেষরাতে একদিন চার কাঁধে আমরাই নিয়ে যাবো তোকে,
কাঁদবে মানুষ,আর কাঁদবে প্রেয়সী তোর,সন্তানেরা কাঁদবে খুব শোকে।
তবুও যেতেই হবে, মানুষের এই তো নিয়তি আর এই তো সে-গান,
সময় হলেই তবে দেহ থেকে উড়ে যাবে পাখির পরান।

মৃত্যু-৫ (Mrittu 5) কবিতাটি ছাড়াও কবি অসীম সাহার (Asim Saha) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Angiogram (এনজিওগ্রাম) ~ অসীম সাহা (Asim Saha)

কবি অসীম সাহার (Asim Saha) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) এনজিওগ্রাম (Angiogram)

বাইপাস দিয়ে নতুন রাস্তা ধরে ছুটে যেতে আমার খুব ভালো লাগে!
কিন্তু তার জন্যে সংযোগ-সড়ক চাই-
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এরকম ভাবতে-ভাবতে
যখন জানলাম, সংকীর্ণ পথের শেষপ্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে বসে আছে
রক্তকণিকার জমাটবাঁধা কিছু কেয়াকাঁটার ঝাড়-
তখন তাকে অপসারিত করার জন্য সশস্ত্র পুলিসবাহিনীর মতো
যখন একা একা খুব দ্রুতবেগে ছুটে গেলো
স্প্রিংয়ের কেমিক্যালসজ্জিত কিছু স্বয়ংক্রিয় তার-
আমার চোখে নেমে এলো অসমাপ্ত ঘুম!
ঘুম ভাঙলে জানতে পারলাম, এরই মধ্যে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটে গেছে
কোলাহলমুখরিত হৃদয়ের আন্তরপ্রদেশে;!
২.৭৫ সেন্টিমিটার আকারের অপ্রতিরোধ্য ট্যাংকও তাকে
প্রতিহত করতে পারেনি কোথাও!
অন্ধকার রাত্রির বাইপাস পার হয়ে অবদমিত একটি হৃদয় শুধু ছুটে গেছে
মাধবীলতার বনে, অসংবৃত সুন্দরের কাছে!
বেসরকারি গ্রামে গ্রামে আগুনের হলকায় সরে গেছে
মৃত্যুর বাইপাসে ধাবমান আর একখানি তরল হৃদয়!!

এনজিওগ্রাম (Angiogram) কবিতাটি ছাড়াও কবি অসীম সাহার (Asim Saha) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Chikun Gunya (চিকুন গুনিয়া) ~ অসীম সাহা (Asim Saha)

কবি অসীম সাহার (Asim Saha) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) চিকুন গুনিয়া (Chikun Gunya)

কেমনতরো রোগ ওরে ভাই এই যে ‘চিকুন গুনিয়া’
এক আঘাতে মুহূর্তে সে কাঁপাচ্ছে সব দুনিয়া।
ধরছে যাকে, মারছে তাকে, এমন মারা মারছে ভাই
দেহের ভেতর, হাড়ের ভেতর হাতুড়িটা মারছে ঘাই।
‘ও বাবা গো, ও মা গো মা’ বলেই সবাই হচ্ছে কাৎ
চিকুন ব্যাটার আক্রমণে, নিথর দেহ অকস্মাৎ।
জ্বরের সঙ্গে বমি রে ভাই, অচৈতন্য সব দেহ
ভালো করে দেখলে পড়ে, মনে হবে শবদেহ।
এমন রোগ তো দেখিনি ভাই, মশার এমন কঠিন তেজ!
তার কামড়ে মানুষ হয়েও কাঁপছে যেন সবার লেজ।
ঘরে ঘরে ঢুকে চিকুন, মারছে ব্যথায় মানুষকে
এক ঘায়েতে মানুষ কাহিল, করছে কি কাৎ ফানুসকে?
যা খুশি তা করুক চিকুন, চলুন আমরা সুস্থ হই
স্বাধীন দেশে থাকবে চিকুন, মানবো না তা কিচ্ছুতেই।
আসুন সবাই একসাথে হই, তাড়াই `চিকুন গুনিয়া’
বাঁচুক দেশের মানুষগুলো, মশারি দেই বুনিয়া।

চিকুন গুনিয়া (Chikun Gunya) কবিতাটি ছাড়াও কবি অসীম সাহার (Asim Saha) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Jao (যাও) ~ অসীম সাহা (Asim Saha)

কবি অসীম সাহার (Asim Saha) একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) যাও (Jao)

যে প্রশস্ত পথের সন্ধান তুমি পেয়েছো
সেই পথ ধরে তুমি সামনের দিকে এগিয়ে যাও
প্রলয়ের অন্ধকার তোমার পথরোধ করে দাঁড়াবে না!

শুধু আয়নায় একবার নিজেকে দেখে নিও;
বিভক্ত কাচের দুপাশে দুরকমের তুমি
আর নেপথ্যের হাহা অন্ধকারে আমি একা!
তুমি আর একবার বুঝে নাও-
প্রশস্ত পথ ধরে তুমি সামনের দিকে
এগিয়ে যেতে পারবে কিনা?
আমি তোমাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি :
অন্তত আমার প্রলয়ের অন্ধকার
কিছুতেই তোমার পথরোধ করে দাঁড়াবে না!

যদি তুমি পারো তবে যাও-
তুমি যাও।!

যাও (Jao) কবিতাটি ছাড়াও কবি অসীম সাহার (Asim Saha) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।