Sukumar Ray Poems ~ সুকুমার রায় কবিতা

সুকুমার রায় সংক্ষিপ্ত জীবনী, শিশু ও বয়স্কদের সুকুমার রায় কবিতা নীচে দেওয়া হয়েছে। Sukumar Roy short biography with Sukumar Ray poems for children and adults are given below.

সুকুমার রায় (Sukumar Ray)
উৎস: উইকিপিডিয়া

সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ৩০শে অক্টোবর, ১৮৮৭ সালে, কলকাতার এক ব্রাহ্ম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯২৩ সালে, ১০ই সেপ্টেম্বর কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে সুকুমার রায় ১০০ নং গড়পার রোড, কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সুকুমার রায়ের ছদ্মনাম উহ্যনাম পন্ডিত

তিনি সাহিত্যে একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক।

বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তন করেন সুকুমার রায়।

তাঁর লেখা প্রথম ও একমাত্র বিখ্যাত “ননসেন্স ছড়া” সংকলন আবোল তাবোল, ১৯২৩ সালে, ইউ রায় এন্ড সন্স, থেকে প্রকাশিত হয়।

আবোল তাবোল ছড়ার বইটি শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার করে নেয়।

সুকুমার রায়ের রচিত একটি রম্য রচনা- হ য ব র ল। এটি বাংলা সাহিত্যের ননসেন্স ধারার একটি শ্রেষ্ঠ রচনা।

সুকুমার রায়ের শ্রেষ্ঠ একটি কাল্পনিক গল্প সংকলনের নাম- পাগলা দাশু

সুকুমার রায়ইকে বিশ্বসাহিত্যে সর্ব যুগের সেরা “ননসেন্স” ধরনের ব্যঙ্গাত্মক জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিকদের অন্যতম একজন বলে মনে করা হয়।

কবিতা

Title

সুকুমার রায় -এর কবিতা সমূহ (Sukumar Ray Poems)

Bondona (বন্দনা) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) বন্দনা (Bondona)

নমি সত্য সনাতন নিত্য ধনে,
নমি ভক্তিভরে নমি কায়েমনে।
নমি বিশ্বচরাচর লোকপতে
নমি সর্বজনাশ্রয় সর্বগতে।
নমি সৃষ্টি-বিধারণ শক্তিধরে,
নমি প্রাণপ্রবাহিত জীব জড়ে।
তব জ্যোতিবিভাসিত বিশ্বপটে
মহাশুন্যতলে তব নাম রটে।
কত সিন্ধুতরঙ্গিত ছন্দ ভরে
কত স্তব্ধ হিমাচল ধ্যান করে।
কত সৌরভ সঞ্চিত পুষ্পদলে
কত সূর্য বিলুন্ঠিত পাদতলে।
কত বন্দনঝঙ্কৃত ভক্তচিতে
নমি বিশ্ব বরাভয় মৃত্যুজিতে।

  (অন্যান্য ছড়াসমূহ)

বন্দনা (Bondona) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Ondho Meye (অন্ধ মেয়ে) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) অন্ধ মেয়ে (Ondho Meye)

গভীর কালো মেঘের পরে রঙিন ধনু বাঁকা,
রঙের তুলি বুলিয়ে মেঘে খিলান যেন আঁকা!
সবুজ ঘাসে রোদের পাশে আলোর কেরামতি
রঙিন্ বেশে রঙিন্ ফুলে রঙিন্ প্রজাপতি!

অন্ধ মেয়ে দেখছে না তা – নাইবা যদি দেখে-
শীতল মিঠা বাদল হাওয়া যায় যে তারে ডেকে!
শুনছে সে যে পাখির ডাকে হরয কোলাকুলি
মিষ্ট ঘাসের গন্ধে তারও প্রাণ গিয়েছে ভুলি!
দুঃখ সুখের ছন্দে ভরা জগৎ তারও আছে,
তারও আঁধার জগৎখানি মধুর তারি কাছে।।

অন্ধ মেয়ে (Ondho Meye) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Anondo (আনন্দ) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) আনন্দ (Anondo)

যে আনন্দ ফুলের বাসে,
যে আনন্দ পাখির গানে,
যে আনন্দ অরুণ আলোয়,
যে আনন্দ শিশুর প্রাণে,
যে আনন্দ বাতাস বহে,
যে আনন্দ সাগরজলে,
যে আনন্দ ধুলির কণায়,
যে আনন্দ তৃণের দলে,
যে আনন্দ আকাশ ভরা,
যে আনন্দ তারায় তারায়,
যে আনন্দ সকল সুখে,
যে আনন্দ রক্তধারায়
সে আনন্দ মধুর হয়ে
তোমার প্রাণে পড়ুক ঝরি,
সে আনন্দ আলোর মত
থাকুক তব জীবন ভরি।

আনন্দ (Anondo) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Kana Khora Shongbad (কানা-খোঁড়া সংবাদ) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) কানা-খোঁড়া সংবাদ (Kana Khora Shongbad)

পুরাতন কালে ছিল দুই রাজা,
          নাম ধাম নাহি জানা,
একজন তার খোড়া অতিশয়,
          অপর ভূপতি কানা।
মন ছিল খোলা, অতি আলো ভোলা
          ধরমেতে ছিল মতি,
পর ধনে সদা ছিল দোঁহাকার
          বিরাগ বিকট অতি।
প্রতাপের কিছু নাহি ছিল ত্রুটি
          মেজাজ রাজারি মত,
শুনেছি কেবল, বুদ্ধিটা নাকি
          নাহি ছিল সরু তত,
ভাই ভাই মত ছিল দুই রাজা,
          না ছিল ঝগড়াঝাঁটি,
হেনকালে আসি তিন হাত জমি
          সকল করিল মাটি।
তিন হাত জমি হেন ছিল, তাহা
          কেহ নাহি জানে কার,
কহে খোঁড়া রায় "এক চক্ষু যার
          এ জমি হইবে তার"।'
শুনি কানা রাজা ক্রোধ করি কয়
          "আরে অভাগার পুত্র,
এ জমি তোমারি- দেখ না এখনি
          খুলিয়া কাগজ পত্র"।
নক্সা রেখেছে এক বছর
          বাক্সে বাঁধিয়া আঁটি,
কীট কুটমতি কাটিয়া কাটিয়া
          করিয়াছে তারে মাটি ;
কাজেই তর্ক না মিটিল হায়
          বিরোধ বাধিল ভারি,
হইল য্দ্দু হদ্দ মতন
          চৌদ্দ বছর ধরি।
মরিল সৈন্য, ভাঙিল অস্ত্র,
          রক্ত চলিল বহি,
তিন হাত জমি তেমনি রহিল,
          কারও হার জিত নাহি
তবে খোঁড়া রাজা কহে, হায় হায়,
          তর্ক নাহিক মিটে,
ঘোরতর রণে অতি অকারণে
          মরণ সবার ঘটে"
বলিতে বলিতে চঁটাৎ করিয়া
          হঠাৎ মাথায় তার
অদ্ভুত এক বুদ্ধি আসিল
          অতীব চমৎকার।
কহিল তখন খোঁড়া মহারাজ,
          শুন মোর কানা ভাই,
তুচ্ছ কারণে রক্ত ঢালিয়া
          কখনও সুযশ নাই।
তার চেয়ে জমি দান করে ফেল
          আপদ শান্তি হবে।"
কানা রাজা কহে, খাসা কথা ভাই,
          কারে দিই কহ তবে।"
কহেন খঞ্জ, " আমার রাজ্যে
          আছে তিন মহাবীর-
একটি পেটুক, অপর অলস,
          তৃতীয় কুস্তিগীর।
তোমার মুলুক কে আছে এমন
          এদের হারাতে পারে?-
সবার সমুখে তিন হাত জমি
          বকশিস দিব তারে।
কানা রাজা কহে ভীমের দোসর
          আছে ত মল্ল মম,
ফালাহারে পটু, পঁচাশি পেটুক
          অলস কুমড়া সম।
দেখা যাবে কার বাহাদুরি বেশি
          আসুক তোমার লোক;
যে জিতিবে সেই পাবে এই জমি-
          খোড়া বলে, তাই হোক।
পড়িল নোটিস ময়দান মাঝে
          আলিশান সভা হবে,
তামাসা দেখিতে চারিদিক হতে
          ছুটিয়া আসিল সবে।
ভয়ানক ভিড়ে ভরে পথঘাট,
          লোকে হল লোকাকার,
মহা কোলাহল দাড়াবার ঠাই
          কোনোখানে নাহি আর।
তারপর ক্রমে রাজার হুকুমে
          গোলমাল গেল থেমে,
দুইদিক হতে দুই পালোয়ান
          আসরে আসিল নেমে।
লম্ফে ঝম্ফে যুঝিল মল্ল
          গজ-কচ্ছপ হেন,
রুষিয়া মুষ্টি হানিল দোহায়-
          বজ্র পড়িল যেন!
গুঁতাইল কত ভোঁতাইল নাসা
          উপাড়িল গোফ দাড়ি,
যতেক দন্ত করিল অন্ত
          ভীষণ চাপটি মারি
তারপরে দোঁহে দোঁহারে ধরিয়া
          ছুঁড়িল এমনি জোরে,
গোলার মতন গেল গো উড়িয়া
          দুই বীর বেগভরে।
কিহল তাদের কেহ নাহি জানে
          নানা কথা কয় লোকে,
আজও কেহ তার পায়নি খবর,
          কেহই দেখেনি চোখে।
যাহোক এদিকে, কুস্তির শেষে
          এল পেটুকের পালা,
যেন অতিকায় ফুটবল দুটি,
          অথবা ঢাকাই জালা।
ওজনেতে তারা কেহ নহে কম,
          ভোজনেতে ততোধিক,
বপু সুবিপুল, ভুড়ি বিভীষন-
          ভারি সাতমন ঠিক।
অবাক দেখিছে সভার সকলে
          আজব কান্ড ভারি-
ধামা ধামা লুচি নিমেষে ফুরায়
          দই ওঠে হাঁড়ি হাঁড়ি!
দাড়ি পাল্লায় মাপিয়া সকলে
          দেখে আহারের পরে ,
দুজনেই ঠিক বেড়েছে ওজনে
          সাড়ে তিন মন করে।
কানা রাজা বলে একি হল জ্বালা,
          আক্কেল নাই কারো ,
কেহ কি বোঝেনা সোজা কথা এই,
          হয় জেতো নয় হারো।"
তার পর এল কুঁড়ে দুই জন
          ঝাকার উপর চড়ে,
সভামাঝে দোহে শুয়ে চিৎপাত
          চুপ চাপ রহে পড়ে।
হাত নাহি নাড়ে, চোখ নাহি মেলে,
          কথা নাই কারো মুখে,
দিন দুই তিন রহিল পড়িয়া,
          নাসা গীত গাহি সুখে।
জঠরে যখন জ্বলিল আগুন,
          পরান কণ্ঠাগত,
তখন কেবল মেলিয়া আনন
          থাকিল মড়ার মত।
দয়া করে তবে সহৃদয় কেহ
          নিকটে আসিয়া ছুটি
মুখের নিকটে ধরিল তাদের
          চাটিম কদলি দুটি।
খঞ্জের লোকে কহিল কষ্টে,
          "ছাড়িয়া দে নারে ভাই"
কানার ভৃত্য রহিল হা করে
          মুখে তার কথা নাই ।
তখন সকলে কাষ্ঠ আনিয়া
          তায় কেরোসিন ঢালি,
কুড়েদের গায়ে চাপাইয়া রোষে
          দেশলাই দিল জ্বালি।
খোঁড়ার প্রজাটি বাপরে বলিয়া
          লাফ দিয়া তাড়াতাড়ি
কম্পিত পদে চম্পট দিল
          একেবারে সভা ছাড়ি।
দুয়ো বলি সবে দেয় করতালি
          পিছু পিছু ডাকে "ফেউ"?
কানার অলস বলে কি আপদ
          ঘুমুতে দিবিনা কেঊ?
শুনে সবে বলে "ধন্য ধন্য
          কুঁড়ে-কুল চুড়ামণি!"
ছুটিয়া তাহারে বাহির করিল
          আগুন হইতে টানি।
কানার লোকের গুণপনা দেখে
          কানা রাজা খুসী ভারি,
জমিতে দিলেই আরও দিল কত,
          টাকাকড়ি ঘরবাড়ি।

কানা-খোঁড়া সংবাদ (Kana Khora Shongbad) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Boddi Buro (বদ্যি বুড়ো) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) বদ্যি বুড়ো (Boddi Buro)

শুন্‌ছ দাদা! ঐ যে হোথায় বদ্যি বুড়ো থাকে ,
সে নাকি রোজ খাবার সময় হাত দিয়ে ভাত মাখে?
শুন্‌ছি নাকি খিদেও পায় সারাদিন না খেলে ?
চক্ষু নাকি আপনি বোজে ঘুমটি তেমন পেলে ?
চলতে গেলে ঠ্যাং নাকি তার ভুয়েঁর পরে ঠেকে?
কান দিয়ে সব শোনে নাকি? চোখ দিয়ে সব দেখে?
শোয় নাকি সে মুন্ডুটাকে শিয়র পানে দিয়ে?
হয় না কি হয় সত্যি মিথ্যা চল না দেখি গিয়ে!

বদ্যি বুড়ো (Boddi Buro) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Sompadoker Dosha (সম্পাদকের দশা) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) সম্পাদকের দশা (Sompadoker Dosha)

সম্পাদকীয়-
একদা নিশীথে এক সম্পাদক গোবেচারা ।
পোঁটলা পুঁটলি বাঁধি হইলেন দেশছাড়া ।।
অনাহারী সম্পাদকী হাড়ভাঙা খাটুনি সে ।
জানে তাহা ভুক্তভোগী অপরে বুঝিবে কিসে ?
লেখক পাঠক আদি সকলেরে দিয়া ফাঁকি ।
বেচারী ভাবিল মনে- বিদেশে লুকায়ে থাকি ।।
এদিকে ত ক্রমে ক্রমে বৎসরেক হল শেষ ।
'নোটিশ' পড়িল কত 'সম্পাদক নিরুদ্দেশ' ।।
লেখক পাঠকদল রুষিয়া কহিল তবে ।
জ্যান্ত হোক মৃত হোক ব্যাটারে ধরিতে হবে ।।
বাহির হইল সবে শব্দ করি 'মার মার' ।
-দৈবের লিখন, হায়, খণ্ডাইতে সাধ্য কার ।।
একদা কেমনি জানি সম্পাদক মহাশয় ।
পড়িলেন ধরা- আহা দুরদৃষ্ট অতিশয় ।।
তারপরে কি ঘটিল কি করিল সম্পাদক ।
সে সকল বিবরণে নাহি তত আবশ্যক ।।
মোট কথা হতভাগ্য সম্পাদক অবশেষে ।
বসিলেন আপনার প্রাচীন গদিতে এসে ।।
(অর্থাৎ লেখকদল লাঠৌষধি শাসনেতে ।
বসায়েছে তারে পুনঃ সম্পাদকী আসনেতে ।।)
ঘুচে গেছে বেচারীর ক্ষণিক সে শান্তি সুখ ।
লেখকের তাড়া খেয়ে সদা তার শুষ্কমুখ ।।
দিস্তা দিস্তা পদ্য গদ্য দর্শন সাহিত্য প'ড়ে ।
পুনরায় বেচারির নিত্যি নিত্যি মাথা ধরে ।।
লোলচর্ম অস্থি সার জীর্ণ বেশ রুক্ষ্ণ কেশ ।
মুহূর্ত সোয়াস্তি নাই- লাঞ্ছনার নাহি শেষ ।।

সম্পাদকের দশা (Sompadoker Dosha) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Shrabone (শ্রাবণে) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) শ্রাবণে (Shrabone)

জল ঝরে জল ঝরে সারাদিন সারারাত-
অফুরান্‌ নামতায় বাদলের ধারাপাত ।
আকাশের মুখ ঢাকা, ধোঁয়ামাখা চারিধার,
পৃথিবীর ছাত পিটে ঝামাঝম্‌ বারিধার ।
স্নান করে গাছপালা প্রাণখোলা বরষায়,
নদীনালা ঘোলাজল ভরে ওঠে ভরসায় ।
উৎসব ঘনঘোর উন্মাদ শ্রাবণের
শেষ নাই শেষ নাই বরষার প্লাবনের ।
জলেজলে জলময় দশদিক্‌ টলমল্‌,
অবিরাম একই গান, ঢালো জল ঢালো জল ।
ধুয়ে যায় যত তাপ জর্জর গ্রীষ্মের,
ধুয়ে যায় রৌদ্রের স্মৃতিটুকু বিশ্বের ।
শুধু যেন বাজে কোথা নিঃঝুম ধুক্‌ধুক্‌,
ধরণীর আশাভয় ধরণীর সুখদুখ ।

শ্রাবণে (Shrabone) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Nodi (নদী) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) নদী (Nodi)

হে পর্বত, যত নদী করি নিরীক্ষণ
তোমাতেই করে তারা জনম গ্রহণ।
ছোট বড় ঢেউ সব তাদের উপরে
কল্ কল্ শব্দ করি সদা ক্রীড়া করে,
সেই নদী বেকে চুরে যায় দেশে দেশে,
সাগরেতে পড়ে গিয়া সকলের শেষে।
পথে যেতে যেতে নদী দেখে কত শোভা,
কি সুন্দর সেই সব কিবা মনোলোভা।
কোথাও কোকিলে দেখে বসি সাথী সনে,
কি সুন্দর কুহু গান গায় নিজ মনে।
কোথাও ময়ূর দেখে পাখা প্রসারিয়া
বনধারে দলে দলে আছে দাড়াইয়া!
নদীতীরে কত লোক শ্রান্তি নাশ করে,
কত শত পক্ষী আসি তথা বিচারে।
দেখিতে দেখিতে নদী মহাবেগে ধায়
কভুও সে পশ্চাতেতে ফিরে নাহি চায়।

   (অন্যান্য ছড়াসমূহ)

নদী (Nodi) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Bhari Moja (ভারি মজা) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) ভারি মজা (Bhari Moja)

এই নেয়েছ, ভাত খেয়েছ, ঘন্টাখানেক হবে-
আবার কেন হঠাৎ হেন নামলে এখন টবে?
একলা ঘরে ফুর্তি ভরে লুকিয়ে দুপুরবেলা,
স্নানের ছলে ঠান্ডা জলে জল ছপ্‌ছপ্ খেলা।
জল ছিটিয়ে, টব পিটিয়ে, ভাবছ, 'আমোদ ভারি-
কেউ কাছে নাই, যা খুশি তাই করতে এখন পারি।'
চুপ্ চুপ্ চুপ্- ঐ দুপ্ দুপ্! ঐ জেগেছে মাসি,
আসছে ধেয়ে, শুনতে পেয়ে দুষ্ট মেয়ের হাসি।

ভারি মজা (Bhari Moja) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Narod Narod (নারদ নারদ) ~ সুকুমার রায় (Sukumar Ray)

কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) নারদ নারদ (Narod Narod)

"হ্যাঁরে হ্যাঁরে তুই নাকি কাল, সাদাকে বলছিলি লাল?
(আর) সেদিন নাকি রাত্রি জুড়ে, নাক ডেকেছিস্ বিশ্রী সুরে?
(আর) তোদের পোষা বেড়ালগুলো, শুন্‌ছি নাকি বেজায় হুলো?
(আর) এই যে শুনি তোদের বাড়ি, কেউ নাকি রাখে না দাড়ি?
ক্যান্ রে ব্যাটা ইসটুপিড? ঠেঙিয়ে তোরে করব ঢিট্!"
"চোপরাও তুম্ স্পিকটি নট্, মার্‌ব রেগে পটাপট্-
ফের যদি ট্যারাবি চোখ, কিম্বা আবার কর্‌বি রোখ,
কিম্বা যদি অম্‌নি ক'রে, মিথ্যেমিথ্যি চ্যাঁচাস জোরে-
আই ডোন্ট কেয়ার কানাকড়ি- জানিস্ আমি স্যান্ডো করি?"
"ফের লাফাচ্ছিস্! অল্‌রাইট, কামেন্ ফাইট ! কামেন্ ফাইট!"
"ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি, টেরটা পাবে আজ এখনি!
আজকে যদি থাক্‌ত মামা, পিটিয়ে তোমায় করত ধামা।"
"আরে! আরে! মার্‌বি নাকি? দাঁড়া একটা পুলিশ ডাকি!"
"হাঁহাঁহাঁহাঁ! রাগ করো না, করতে চাও কি তাই বল না!"
"হাঁ হাঁ তাতো সত্যি বটেই, আমি তো চটিনি মোটেই!
মিথ্যে কেন লড়তে যাবি? ভেরি- ভেরি সরি মশলা খাবি?"
"শেক্হ্যান্ড আর দাদা বল, সব শোধ বোধ ঘরে চল।"
"ডোন্ট পরোয়া অল্ রাইট্, হাউ ডু য়ু ডু গুড্ নাইট।"

নারদ নারদ (Narod Narod) কবিতাটি ছাড়াও কবি সুকুমার রায় (Sukumar Ray) অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।