ধর্মের নামে যারা করে দাঙ্গা,
ভুল বোঝায় নেড়ে হাত মাথা,
ঈশ্বরকে নিয়ে করে ভেদাভেদ-
তারা বোঝেনা সব ধর্মই এক,
যেহেতু ঈশ্বর এক।
তারাই নাম দিয়েছে খ্রিষ্ট বুদ্ধ ভগবান খোদা,
জানেনা- ঈশ্বর সেই এক এ বিশ্বভরা।
অদ্বিতীয় ঈশ্বরের হাজার রূপ
কতটুকুই বা জানি?
যেখান থেকে তাঁকে যে নামে ডাকা হোক না কেন
শুনছেন সেই একজনই।
মতের ভেদে বাক্যের পার্থক্যে
করছে তাঁকে নিয়ে টানাটানি,
ভিন্ন উপাসনালয়, ভিন্ন উপাসনার পদ্ধতি বানিয়ে
দিচ্ছে আঘাত সেই তাঁকেই।
বেদ গীতা কোরআন বাইবেল আর যত ধর্মগ্রন্থ আছে-
সকলের বাণী এক, এক ঈশ্বর সর্বশক্তিধারী।
আকাশ বাতাস পাহাড় নদী এসব কা’র সৃষ্টি?
মূর্খের মতো পার্থক্য না করে বল, সেই ঈশ্বরের।
সূর্য ওঠে অস্ত যায়, নদীতে জাগে জোয়ার,
ফুলের এত মিষ্টি গন্ধ, সাগরে আসে তুফান-
এক মন এক আত্মা করে বল, সেই ঈশ্বরের দান।
পাহাড়েতে ঝর্ণা ঝরান, পাখির কন্ঠে ভাষা ফোটান,
মেঘ রোদের খেলা করান, কে তিনি?
সবাই বল, ঈশ্বর যিনি।
ধর্মের নামে ভেদাভেদ বন্ধ করে
হাতে হাত রাখো দুনিয়াবাসী,
মানো- ঈশ্বরের নেই ভিন্ন নাম,
সব মানুষ এক রক্ত এক প্রার্থনার ধ্বনিও এক।