প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জীবনে মনের মানুষ করব একটি মেয়েকে,
কিন্তু, কল্পনায় ভাবনায় হাজার হাজার মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি-
এরপরেও ঐসব উন্নত চিন্তাধারা মনে আনা ঠিক কি?
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম পারলে জীবন দিয়ে হোক- ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়ব,
ধর্ষকের কঠোর সাজার ব্যবস্থা করব,
দেশ থেকে ধর্ষণ একেবারে তুলে দেব।
কিন্তু, আদৌ কি তা হয়েছে?
দেশের আনাচে-কানাচে কত ধর্ষণ হয় দৈনিক,
সব খবর কি খবরে আসে?
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জীবনে কোনোদিন চাঁদের কলঙ্কভরা আলো দু’চোখে দেখব না,
কিন্তু, দরজা-জানালা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে যদি চাঁদের আলো ঢুকে পড়ে-
আমার আটকাবার সাধ্যি আছে?
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম মানুষের মন কোথায় থাকে সেটা আবিষ্কার করব,
তাই একজন মানুষকে খুন করে তার বুক চিরে দেখলাম- পাঁজর ফুসফুস হৃদপিন্ড আর শুধু রক্ত,
মনের তো চিহ্ন পেলাম না খুঁজে,
উপরন্তু হয়ে গেলাম খুনি।
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি নিজের চোখে এর প্রমাণ দেখব, লোকে যে বলে সমুদ্রে আকাশ মেশে-
এটা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
সাত সমুদ্র বৃথাই ঘুরলাম বছরের পর বছর ধরে,
কোথাও প্রমাণ পেলাম না এই কথার।
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এই ব্যর্থ জীবন শেষ করে দেব
কালবৈশাখীর মুখে পড়ে,
ও যেন আমায় উড়িয়ে নিয়ে যায়।
কিন্তু কিছুই হলো না,
ঝড়ের সামনে দু’হাত মেলে দাঁড়ালাম,
গাছ শিকড় সমেত উপড়ে গেল, বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেল
তবু আমায় একটুও টলাতে পারল না।
আমি তো কোনো কথাই রাখতে পারলাম না,
এখন, ঈশ্বর কি আমায় ক্ষমা করবেন?
১৯ জুন,২০২৩,রাত ১০টা, বারুইপুর