প্রতিদিন বিকেলে তোমার জন্য অপেক্ষা করি ছাদে-
কখন তুমি হেঁটে যাবে বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে,
আর বলব সেই কথাটা।
কিন্তু দিনের পর দিন চলে যায়,
তবু বলতে পারিনা তোমায়।
যখন তুমি আসো-
তখন তোমায় দু’চোখ ভরে দেখি,
যেন স্বর্গের অপ্সরীকে দেখছি।
তুমিও আমার দিকে তাকিয়ে একগাল হাসো,
অপরূপ সেই হাসি মাখা মুখ।
তোমার হাসি দেখলে মেঘও ঝরাতে পারে বৃষ্টি,
চাঁদও ধরে রাখতে পারে জোছনা চিরকাল।
সত্যিই তোমার ঐ হাসি দেখলে,
আমার মনের অভিলাষ-
যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য কোথায় মিলিয়ে যায়।
পরমুহূর্তে আবার মনে পড়ে-
তোমায় বলতে পারলাম না তো সেই কথাটা।
তারপর লজ্জায় মাথা নিচু করে চলে যাও।
তুমি আসার আগে অব্দি দেখি-
গাছগুলোতে, রাস্তায় একটা সাজো সাজো রব।
কিন্তু তোমার চলে যাওয়ার পরে-
ওরা যেন কেমন শুকিয়ে যায়,
বিষণ্ণ মুখে তাকায় আমার দিকে।
ওদেরও যে একটা বেদনার ভাষা আছে বুঝতে পারি।
শুধু থেকে যায় তোমার গায়ের অপূর্ব সুবাস বাতাসে,
আমি যেন কোথায় হারিয়ে যাই সেই সুবাসে মেতে।
আমি দেখি তুমি অনেক দূরে চলে যাচ্ছ,
শেষে ক্রমশ আবছা হয়ে যাও-
আমার দু চোখের নাগাল থেকে।
কিন্তু কি আশ্চর্য, কখন বিকেল গড়িয়ে চাঁদ মামার ঘুম ভাঙ্গে তা বুঝতেও পারি না!
সন্ধায় ঠাকুরকে ধূপ বাতি দেখানোর সময় যে কাঁসর ঘন্টা শাঁখ প্রভৃতি বাদ্য বাজানো হয়;
চারপাশের বাড়ি থেকে সেইসব শব্দ শুনে শেষে হুঁশ ফেরে।
তবু নাকে লেগে থাকে মায়াভরা গন্ধটা,
আমি বলতে পারিনা সেই কথাটা।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
৩০মে,২০২৩,বিকেল, বারুইপুর