আগের জন্মে আমি কী ছিলাম
তা এ জন্মে জানি না।
আমি কি আদৌ মানুষ ছিলাম না অন্য কিছু?
আমার বাড়ি কোথায় ছিল?
আমার জন্মভূমির নাম কী ছিল?
আমার আত্মীয়-স্বজনের নাম কী ছিল?
যাঁরা আমায় পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন তাঁদের নাম কী ছিল?
আমার কি মনের মানুষ কেউ ছিল?
আমি কী করতাম, চাকরি না ব্যবসা না অন্য কিছু?
এখন যেমন কবিতা লিখি
আগের জন্মেও কি কবিতা-টবিতা লিখতাম?
খুব জানতে ইচ্ছা করে এসব
কিন্তু পারি না।
আগের জন্মে আমি কী নামে পরিচিত ছিলাম?
আমার জন্মসাল কী ছিল?
আমার কি কোনো সন্তান ছিল?
আমি বাবা হয়েছিলাম না মা হয়েছিলাম নাকি সেই সৌভাগ্যও হয়নি?
আমার কি কখনও কোনো ভয়ানক অসুখ ক’রেছিল?
আমি কি বেড়াতে ভালোবাসতাম?….
নাঃ, কিছুই মনে নেই
আগের জন্মের কোনো কিছুই আমার মনে নেই!
কেন এমন ক’রলে জগদীশ্বর?
কেন ভুলিয়ে দিলে সবকিছু?
জন্ম-মৃত্যু তো তোমারই হাতে
আমি না জানলেও আমার আগের জন্মের কথা তো তুমি সবই জানো।
তবে উত্তর দাও, উত্তর দাও, হে জগদীশ্বর, উত্তর দাও।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৫/২/২০২৪