কাহারও তরে
বসিয়া আছি বকুলতলে মেঘলা বৈকালে-
কাহারও তরে প্রহর গুনি ভঙ্গ স্বপ্ন লয়ে।
বকুল ফুলের মেঠো গন্ধ মাতায় নাসিকা-
গগন মাঝের মেঘ গুলো সব যাচ্ছে উড়িয়া।
পুরাতনের চিঠি গুলো-আর পদধূলির চিহ্ন
কাহারও তরে বসিয়া আছি, সময়টা আজ ছিন্ন।
একাত্ব লয়ে প্রহর গুনি প্রভাত হতে সন্ধ্যে
নামিয়া আসে আঁধার যখন – অম্রমুকুলের গন্ধে।
ঝোড়ো হাওয়ায় ঝড় ওঠে ঈশান কোণের মেঘে-
আকাশ কালো অন্ধ রাতে কাহার মুখটি ভাসে।
মধ্যরাতের স্তব্ধ প্রহরে ঝিঁঝিঁর গুঞ্জন শুনিয়া
হারিয়ে যাওয়া পুরোনো সুর মনেতে ওঠে বাজিয়া।
কাহারে লয়ে কাব্যি লিখি দিন রজনী বসে
পাঠক হয়ে পড়বে কে? ভাসিয়ে দেই তাহার পানে।
জুঁই- রজনীর মাল্য গেঁথে থাকি পথ চেয়ে
পুষ্প মাল্য শুকিয়া যায়, ভাসাই দেই জলে।