তুমি অন্য কারও নও শুধু আমার ছাড়া।
তুমি বৃষ্টিতে ভিজো না
আমি চাই না বৃষ্টির জল তোমার গায়ে পড়ুক
ঐ এক ফোঁটা বৃষ্টির জল তোমার অঙ্গে পড়লে সেও যদি তোমায় ভালোবেসে ফেলে?
তখন আমি কী করব?
আমার ভালোবাসাকে আমি পারব না অন্য কারও হাতে তুলে দিতে
তাই তুমি বৃষ্টিতে ভিজো না
আমি ছাড়া আর কেউ যেন তোমায় না স্পর্শ করে।
আমি চাই না তুমি আলতা পায়ে সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে হেঁটে যাও
তোমার ঐ দুই পা-ই তো হল স্বর্গ
আহা, এতই সুন্দর দেখতে!
আমি চাই না ঘাসের দল তোমার পায়ের ছোঁয়া পেয়ে নিজেদের জীবন ধন্য করুক
আমি চাই না তোমার পায়ের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়ে তারা স্বর্গবাসী হোক
আমি চাই তুমি রেখে দাও তোমার ঐ দুই আলতা মাখা পা আমার কোলে
আমি ও দুই পায়ে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি
আর পৃথিবীতে থেকেই ঘুমিয়ে স্বপ্নে স্বর্গ ভ্রমণ করে আসি।
আমি চাই না তুমি খোলা চুলে ঝোড়ো হাওয়ার মুখে দাঁড়াও
বাতাস তখন পাগল হয়ে তোমার চুল ওড়াবে
বাতাসের এত সাহস আমি পারব না সহ্য করতে
সে নিজের অদৃশ্য হাতে তোমার কেশ স্পর্শ করবে
এত বড় আস্পর্ধা তার!
বাতাসের হাত যদি পেতাম দেখতে
মুচড়ে ভেঙে দিতাম তখনই
আমার প্রিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা করার মজা টের পাইয়ে দিতাম
কিন্তু না, তা তো পারব না
বাতাসের হাত তো পাব না দেখতে
ওদিকে আমার মনের ভিতর রাগের আগুন জ্বলবে
আর মন থেকে সে আগুন ক্রমশ সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে হয়ত আমাকেই শেষ পর্যন্ত পুড়িয়ে মারবে
তাই বলছি তোমায় অমনভাবে দাঁড়াতে হবে না।
তুমি যেহেতু আমার
তোমার লাল ঠোঁট কাজল চোখ তোমার মন
তোমার অনুপম দুই পা…. সবই আমার
তোমার দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও আমার
তোমার চিন্তা চেতনা বিবেক ভালোবাসা… সবই আমার….
তোমার সবকিছুই আমার।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৬/৩/২০২৪