ধর্ষণ
- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

শেয়ার করুন

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পুরুষেরা ধর্ষণ করে

নারীরা তার শিকার হয়,

এটা একটা প্রথায় দাঁড়িয়েছে যা, কোনোদিন বন্ধ হবে না।

 

দেশের কোথাও ধর্ষণ হলেই তাবড় তাবড় রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ বেড়ে যায়-

পথ অবরোধ করা, 

ইয়া লম্বা-লম্বা মিছিল ডাকা,

টিভি মোবাইল চারিদিকে একটা শোরগোল বেঁধে যায়, 

সেই সাথে কিশোর কিশোরীরা ছোটো বড়ো প্ল্যাকার্ড বানিয়ে যাতে লেখা “বন্ধ হোক ধর্ষণ”, 

আর

সন্ধ্যা থেকে মোমবাতি জ্বেলে পথে পথে ধর্ণায় বসা,

সব মিলিয়ে যেন এক রাজযজ্ঞের আয়োজন!

রাজনৈতিক দলগুলো বিরাট মাঠ বেছে নিয়ে দুই লাখের মতো লোক জমা করে ভাষণে ভরিয়ে তোলে,

“এবার থেকে আর ওসব হবেনা,

আমরা বড়ো রাস্তার ধারে-ধারে, 

অলিতে-গলিতে, 

পুরোনো গুদাম ঘর, 

পরিত্যক্ত স্থানে, 

বাজার-হাটে সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে দিচ্ছি, ধর্ষিতা নারীর পরিবারকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি”।

ব্যাস, তারপর সব চুপচাপ।

বোঝো, টাকাই হলো সব শান্তির উৎস!

 

ফের দুইমাস পরে ধর্ষণের খবর।

আবার রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা,

হইহই-রইরই রব চারিদিকে-

ফের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা আবার সব চুপচাপ।

 

সত্যিই নারীর দেহ টাকায় চলে-

গোপনে টাকা নেওয়া,

প্রকাশ্যে টাকা দেওয়া,

শুধু মুছে যায় “পবিত্র” শব্দটা।

 

— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

২০জুন,২০২৩,রাত ৮:৩০, বারুইপুর 

 

 

 

 

 


শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন