Joy Goswami Poems ~ জয় গোস্বামী কবিতা

Dosh November (১০ নভেম্বর) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) ১০ নভেম্বর (Dosh November)

যে-লেখা পড়ে তোমাদের শুকনো চোখে জল আসবে
সেই লেখা আমার হাত থেকে বেরিয়ে
উড়ে ওই ডালে গিয়ে বসল।
এখন থেকে তাকে পড়তে শুরু করবে পাখিরা।
শুনে-শুনে মুখস্থ হয়ে যাবে গাছেদেরও।
কিন্তু গাছেরা তো কথা বলতে পারে না! কী হবে?
কী আবার হবে!
আমি আর বকুন, দিনে রাতে, কত গাছের গুঁড়িতে
কান রেখে শুনেছি
গাছ, মনে-মনে কবিতা বলছে…

১০ নভেম্বর (Dosh November) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Ridpino (হৃদপিণ্ড–এক ঢিবি মাটি) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) হৃদপিণ্ড–এক ঢিবি মাটি (Ridpino)

হৃদপিণ্ড–এক ঢিবি মাটি
তার উপরে আছে খেলবার
হাড়। পাশা। হাড়।

হৃদপিণ্ড, মাটি এক ঢিবি
তার উপরে শাবল কোদাল চালাবার
অধিকার, নিবি?

চাবড়ায় চাবড়ায় উঠে আসা
মাটি মাংস মাটি মাংস মাটি–
পাশা। হাড়। পাশা।

দূরে ক্ষতবিক্ষত পৃথিবী
জলে ভেসে রয়েছে এখনো–
তাকে একমুঠো, একমাটি

হৃদপিণ্ড, দিবি?

কাব্যগ্রন্থ-সূর্য পোড়া ছাই

হৃদপিণ্ড–এক ঢিবি মাটি (Ridpino) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Kobikonna (কবিকন্যা) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) কবিকন্যা (Kobikonna)

শক্তির মেয়ের সঙ্গে প্রেম করব স্বপ্ন ছিল যুবক বয়সে
শ্রোতার আসনে বসে মঞ্চে দেখা শক্তিকে দু’বার।
কন্যাটিকে একবারও নয়।
তবু ইচ্ছে,ইচ্ছে-সার,মন গাছের গোড়ায় ঢাললেই
ফুল ফুটতে দেরির কী আছে!
শক্তিদা বলার মতো সম্পর্ক যখন হল তখনও কবিকে সীমাহীন
দূরের সম্ভ্রমে রাখি।ভালোবাসি আরো সীমাহারা।
কর্মসূত্রে যে-সাক্ষাৎ,তাকে রেখে আসি কর্মস্থলে।
বাড়িতে একবার যাওয়া, জন্মদিন ভিড়ে সরগরম।
শুনেছি কন্যাটি পড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দু’বার যাদবপুরে তার আগেই মুখ পুড়িয়েছি
অতএব ওদিকে না… অনত্র সন্ধান করা ভাল…
দেখলাম একবার মাত্র।শেষযাত্রা চলেছে কবির…
ফুল ভরতি লরির ওপরে
ফাল্গুনের হেলে পড়া রোদ সে-দুহিতা
হাত দিয়ে আড়াল করছে বাবার মুখের সামনে থেকে…
সেই দেখা শ্রেষ্ঠ দেখা।শোকার্ত মুখটিও মনে নেই।
মনে আছে হাতখানি।জগতের সকল কবির
কন্যা সে-ই – সকলের আঘাত, বিপদ
আটকায় সে-হাতপাখা-আজ বুকুনেরই মুখে
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজাকে দেখতে পাই-
যখন বুকুন ওড়না দিয়ে
ট্যাক্সির জানলায় আসা রোদ থেকে আমাকে বাঁচায়।

কবিকন্যা (Kobikonna) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Reno Ma (রেণু মা, আমার ঘরে তক্ষক ঢুকেছে) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) রেণু মা, আমার ঘরে তক্ষক ঢুকেছে (Reno Ma)

রেণু মা, আমার ঘরে তক্ষক ঢুকেছে
তক্‌-খো, তক্‌-খো–তার ডাক

রেনু মা, সংকেতগাছ দূরে দাঁড়িয়েছে
জ্যোৎস্না লেগে পুড়ে গেছে কাক

আমি সে-গাছের ডালে, দড়ি ভেবে, সর্প ধরে উঠি
সর্প থেকে বিষ খসে যায়

রেণু মা, তোমার হাতে তালি বাজে–রাতের আকাশে
ডানা মেলে জ্যোতির্ময় তক্ষক পালায়

রেণু মা, আমার ঘরে তক্ষক ঢুকেছে (Reno Ma) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Klonko Ami Kajoler (কলঙ্ক, আমি কাজলের) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) কলঙ্ক, আমি কাজলের (Klonko Ami Kajoler)

কলঙ্ক, আমি কাজলের ঘরে থাকি
কাজল আমাকে বলে সমস্ত কথা
কলঙ্ক, আমি চোট লেগে যাওয়া পাখি—
বুঝি না অবৈধতা।
কলঙ্ক, আমি বন্ধুর বিশ্বাসে
রাখি একমুঠো ছাই, নিরুপায় ছাই
আমি অন্যের নিঃশ্বাস চুরি ক’রে
সে-নিঃশ্বাসে কি নিজেকে বাঁচাতে চাই?
কলঙ্ক, আমি রামধনু জুড়ে জুড়ে
দিন কাটাতাম, তাই রাত কাটতো না
আজ দিন রাত একাকার মিশে গিয়ে
চিরজ্বলন্ত সোনা
কলঙ্ক, তুমি প্রদীপ দেখেছো? আর প্রদীপের বাটি?
জানো টলটল করে সে আমার বন্ধুর দুই চোখে?
আমি ও কাজল সন্তান তার, বন্ধুরা জল মাটি
ফিরেও দেখি না পথে পড়ে থাকা
বৈধ-অবৈধকে—
যে যার মতন রোদবৃষ্টিতে হাঁটি…

কলঙ্ক, আমি কাজলের (Klonko Ami Kajoler) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Math (মাঠে বসে আছে জরদ্‌গব) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) মাঠে বসে আছে জরদ্‌গব (Math)

মাঠে বসে আছে জরদ্‌গব।
মাথায় পাহাড়।
সামনের থালায় মাটি। তৃণ।

সে খায়, থালায় গর্ত খুঁড়ে–
দইয়ের ভাঁড়ের মতো কেটে কেটে নামে–
আর ক্ষিদে শেষ হয় না–খনিজ সম্পদ
কমে আসে, আরো কম–সুড়ুৎ চুমুকে
জমানো তেলের গর্ভ খালি হয়ে যায়

কাদা-ঝোল মাখা হাতে, জরদ্‌গব, থাকা মনে ক’রে
খালি ফুটো পৃথিবী বাজায়!

মাঠে বসে আছে জরদ্‌গব (Math) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Tritiyojon (তৃতীয়জন) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) তৃতীয়জন (Tritiyojon)

ডোন্ট গেট হার্ট।
আই অ্যাম ইন এ রিলেশনশিপ।

খুব শান্ত,নির্বিকারভাবে
বলল এই কথা।

বঁড়শি ততদিনে গেঁথে গেছে
আমূল আমার টাকরায়

ভুলব,ভুলে যাব,ভুলতে হবেই আমাকে–এই কথা
ভেবে-ভেবে প্রাণপণ সাঁতরে চলেছি নদীজলে

ছাড়াতে পারছি না মাগো ছাড়াতে পারছি না
হুইলের সুতো ঠিক তাড়া করে আসছেই পিছনে

আটবছর চিনি তাকে।সে-ও
খুব শান্ত নির্বিকারভাবে
শক্ত হাতে ধরে আছে ছিপ…

তৃতীয়জন (Tritiyojon) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Protyekta Madhurjer Din (প্রত্যেকটা মাধুর্যের দিন) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) প্রত্যেকটা মাধুর্যের দিন (Protyekta Madhurjer Din)

রাত্রে অসম্ভব ভয় করে
মনে পড়ে তোমাকে প্রবল

প্রবল
প্রবল

গত আট বছরের প্রত্যেকটা মাধুর্যের দিন
ফিরে এসে মন ছিঁড়ে খায়

কী করে সমস্তটুকু মুছে ফেলব বলো?

তোমার প্রেমিক,তিনি আমাকে কি সাহায্য করবেন
তোমারই মতন?

ওষুধের স্ট্রিপ শেষ,চোখ খুলে বসে থাকি একা বিছানায়—-

রাত্রি কেটে যায়

প্রত্যেকটা মাধুর্যের দিন (Protyekta Madhurjer Din) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Keebhabe Elam Ei Shohore (কীভাবে এলাম এই শহরে) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) কীভাবে এলাম এই শহরে (Keebhabe Elam Ei Shohore)

কীভাবে এলাম এই শহরে, সে মস্ত ইতিহাস!
হামাগুড়ি দিয়ে আর ট্রেনের পিছনে ট্রেন ধরে
রেললাইনে হাতেপায়ে তালা ও শিকল বেঁধে শুয়ে
ট্রেন এসে পড়ামাত্র চক্ষের নিমিষে ড্রাইভারের
কেবিনের জানলা দিয়ে জনতার প্রতি হাত নেড়ে
টুপির ভেতর থেকে পায়রা খরগোশ ধরে, ছেড়ে,
মাথার এদিক দিয়ে রড ঢুকিয়ে ওদিকে বার করে
সম্মোহন করে নিজ সহকারিণীকে বাক্সে ভরে
সে-বাক্সের চারদিকে ঢুকিয়ে ষোলোটা তরোয়াল
টুং টাং লাইটার জ্বেলে বাক্সটি পুড়িয়ে ছাই করে
উড়ো মন্ত্র বলতে বলতে নেমে গিয়ে নিজে সে-মেয়েকে
দর্শক আসন থেকে বাহু ধরে মঞ্চে তুলে এনে
ম্যাজিকে প্রমাণ করে আমি হচ্ছি পয়লা নম্বর
তবেই শেষমেষ ডেকে জায়গা দিল আমাকে, শহর।
এখন ম্যাজিকই ধ্যান, জ্ঞান, বুদ্ধি, বাঁচামরা পেশা
ভোর থেকে হাতসাফাই, নিজের জিভ কেটে জোড়া দেওয়া
সন্ধ্যায় হাজির হওয়া মঞ্চে মঞ্চে ভরাভর্তি শো-এ
রাত্রিবেলা বাড়ি আসা ধুঁকে ধুঁকে করতালি সয়ে
ভোর থেকে প্র্যাকটিস শুরু, প্রত্যহ দাঁত দিয়ে ওই
কামড়ানো বুলেটে ধরা প্রাণ
একবার ফসকালে শেষ, মনে রেখো, ও ম্যাজিশিয়ান!

কীভাবে এলাম এই শহরে (Keebhabe Elam Ei Shohore) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Santi (শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি যখন সোনালী পাগলিনী) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি যখন সোনালী পাগলিনী (Santi)

শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি যখন সোনালী পাগলিনী
তীরে বসে বসে খায় সূর্যাস্ত একের পর এক
হা সমুদ্র জলরাশি শুকিয়ে রক্তাভ বালিখাত
পিছনে শহর মরা ইটকাঠ ইটকাঠ স্তূপ
ভোর দ্বিপ্রহর ধ্বংস, সন্ধ্যা বা নিশীথকাল শেষ
বাতাসে গর্জনশীল সোনাগুঁড়ো বালিগুঁড়ো শুষে
শান্তি শান্তি শান্তি ডাকে তীরে যে-সহিংস পাগলিনী
সূর্যেরা কেবলই অস্তে চলে তার গণ্ডূষে গণ্ডূষে…

শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি যখন সোনালী পাগলিনী (Santi) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।