Kazi Nazrul Islam Poems ~ কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা

বিখ্যাত দুখের কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী। কাজী নজরুল ইসলাম কবিতার বিশাল তালিকা নীচে দেওয়া হল। A short biography of the famous dukher poet kazi nazrul islam. A huge list of kazi nazrul islam poems are given below.

কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)
উৎস: উইকিপিডিয়া

কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) ২৫ই মে, ১৮৯৯ সালে, বর্ধমান জেলার, আসানসোল মহাকুমার, চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

২৯ই আগস্ট, ১৯৭৬ সালে, ঢাকা, বাংলাদেশে তাঁর মৃত্যু হয় ।

কাজী নজরুল ইসলাম-এর ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত সুরারোপিত সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় গান “চল্ চল্ চল্“।

তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

কবির সর্বোৎকৃষ্ট হচ্ছে বিদ্রোহী নামক কবিতাটি। এই কবিতাটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। বিদ্রোহী কবিতাটি রচনায় তিনি সারা ভারতের সাহিত্য সমাজের খ্যাতি লাভ করেন।

সাহিত্য জগতে তাঁর রচিত বিখ্যাত প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম-অগ্নিবীণা। এটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা রয়েছে। কবিতা গুলির নাম ‘প্রলয়োল্লাস(কবিতা)’, ‘বিদ্রোহী’, ‘আগমনী’, ‘ধূমকেতু’, ‘রক্তাম্বর- ধরণী মা’, ‘কামাল পাশা’ ইত্যাদি।

কবির লেখা একটি উল্লেখযোগ্য প্রথম পত্রোপন্যাসের নাম বাঁধন হারা

তিনি ধূমকেতু নামক একটি পত্রিকা লেখেন।এটি ১৯২২ সালে, ১২ই আগস্ট প্রকাশিত হয়।

তাঁর বিন্যস্ত আরও একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ রয়েছে বিষের বাঁশি। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কবির-এর অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার ১৯৭৭ সালে, একুশে পদক ১৯৭৬ সালে এবং পদ্মভূষণ উপাধিতে তাঁকে সম্মানিত করা হয়।

তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক এবং দার্শনিক।

কবিতা

Title

কাজী নজরুল ইসলাম -এর কবিতা সমূহ (Kazi Nazrul Islam Poems)

Didir Be Te Khoka (দিদির বে-তে খোকা) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) দিদির বে-তে খোকা (Didir Be Te Khoka)

‘সাত ভাই চম্পা জাগো’ –
পারুলদি ডাকল, না গো?
একী ভাই, কাঁদচ? – মা গো
কী যে কয় – আরে দুত্তুর!

পারায়ে সপ্ত-সাগর
এসেছে সেই চেনা-বর?
কাহিনির দেশেতে ঘর
তোর সেই রাজপুত্তুর?

মনে হয়, মণ্ডা মেঠাই
খেয়ে জোর আয়েশ মিটাই! –
ভালো ছাই লগাছে না ভাই,
যাবি তুই একেলাটি!

দিদি, তুই সেথায় গিয়ে
যদি ভাই যাস ঘুমিয়ে,
জাগাব পরশ দিয়ে
রেখে যাস সোনার কাঠি।

   (ঝিঙেফুল কাব্যগ্রন্থ)

দিদির বে-তে খোকা (Didir Be Te Khoka) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Jibon (জীবন) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) জীবন (Jibon)

জাগরণের লাগল ছোঁয়াচ মাঠে মাঠে তেপান্তরে,
এমন বাদল ব্যর্থ হবে তন্দ্রাকাতর কাহার ঘরে?
তড়িৎ ত্বরা দেয় ইশারা, বজ্র হেঁকে যায় দরজায়,
জাগে আকাশ, জাগে ধরা−ধরার মানুষ কে সে ঘুমায়?
মাটির নীচে পায়ের তলায় সেদিন যারা ছিল মরি,
শ্যামল তৃণাঙ্কুরে তারা উঠল বেঁচে নতুন করি;
সবুজ ধরা দেখছে স্বপন আসবে কখন ফাগুন-হোলি,
বজ্রাঘাতে ফুটল না যে, ফুটবে আনন্দে সে কলি!

   (জিঞ্জির কাব্যগ্রন্থ)

জীবন (Jibon) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Khokar Buddhi (খোকার বুদ্ধি) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) খোকার বুদ্ধি (Khokar Buddhi)

চুন করে মুখ প্রাচীর পরে বসে শ্রীযুত খোকা,
কেননা তার মা বলেছেন সে এক নিরেট বোকা।
ডানপিটে সে খোকা এখন মস্ত একটা বীর,
হুংকারে তাঁর হাঁস মুরগির ছানার চক্ষুস্থির!
সাত লাঠিতে ফড়িং মারেন এমনই পালোয়ান!
দাঁত দিয়ে সে ছিঁড়লে সেদিন আস্ত আলোয়ান!
ন্যাংটা-পুঁটো দিগম্বরের দলে তিনিই রাজা,
তাঁরে কিনা বোকা বলা? কী এর উচিত সাজা?
ভাবতে ভাবতে খোকার হঠাৎ চিন্তা গেল থেমে,
দে দৌড় চোঁ-চাঁ আঁধমহলে পাঁচিল হতে নেমে!
বুকের ভেতর ছপাই নপাই ধুকপুকুনির চোটে,
বাইরে কিন্তু চতুর খোকা ঘাবড়ালেন না মোটে।
হাঁপিয়ে এসে মায়ের কাছে বললে, “ওগো মা!
আমি নাকি বোক-চন্দর? বুদ্ধি দেখে যা!
ওই না একটা মটকু বানর দিব্যি মাচায় বসে
লাউ খাচ্ছে? কেউ দেখেনি, দেখি আমিই তো সে।
দিদিদেরও চোখ ছিল তো, কেউ কি দেখেছেন?
তবে আমায় বোকা কও যে! এ্যাঁ-এ্যাঁ, হাস ক্যান্?
কী কও? ‘একী বুদ্ধি হল?’ দেখবে তবে? হাঁ,
বুদ্ধি আমার … ভোলা! তু-উ-উ! লৌ-হা হা-হা-হা!”

  (ঝিঙেফুল কাব্যগ্রন্থ)

খোকার বুদ্ধি (Khokar Buddhi) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Ful Kuri (ফুল-কুঁড়ি) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) ফুল-কুঁড়ি (Ful Kuri)

আর পারিনে সাধতে লো সই এক ফোঁটা এই ছুঁড়িকে।
ফুটবে না যে ফোটাবে কে বলল সে ফুল-কুঁড়িকে।
  
          ঘোমটা-চাঁপা পারুল-কলি,
          বৃথাই তারে সাধল অলি
পাশ দিয়ে হায় শ্বাস ফেলে যায় হুতাশ বাতাস ঢলি।
          আ মলো ছিঃ!         ওর হল কী?
সুতোর গুঁতো শ্রান্ত-শিথিল টানতে ও মন-ঘুড়িকে।
          আর শুনেছিস সই?
ও লো হিমের চুমু হার মেনেছে এইটুকু আইবুড়িকে!!
  
সন্ধে সকাল ছুঁয়ে কপাল রবির যাওয়া-আসাই সার,
ব্যর্থ হল পথিক-কবির গভীর ভালোবাসার হার।
          জল ঢেলে যায় জংলা বধু,
          মৌমাছি দেয় কমলা মধু,
শরম-চাদর খুলবে না সে আদর শুধু শুধু।
          কে জানে বোন         পথভোলা কোন্
তরুণ-চোখের করুণ-চাওয়ায় চোখ ঠেরেছে ছুঁড়িকে –
                              বসে আছে লো
এইলজ্জাবতীর বধির বুকের সিংহ-আসন জুড়ি কে?

   (পুবের হাওয়া কাব্যগ্রন্থ)

ফুল-কুঁড়ি (Ful Kuri) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Protibeshini (প্রতিবেশিনী) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) প্রতিবেশিনী (Protibeshini)

আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলত নিতুই সকাল-সাঁঝে।
আর এ পথে চলবে না সে সেই ব্যথা হায় বক্ষে বাজে।

আমার দ্বারের কাছটিতে তার ফুটত লালী গালের টোলে,
টলত চরণ, চাউনি বিবশ কাঁপত নয়ন-পাতার কোলে –
                  কুঁড়ি যেমন প্রথম খোলো গো!
      কেউ কখনও কইনি কথা,
      কেবল নিবিড় নীরবতা
      সুর বাজাত অনাহতা
                  গোপন মরম-বীণার মাঝে।
মূক পথের আজ বুক ফেটে যায় স্মরি তারই পায়ের পরশ
                  বুক-খসা তার আঁচর-চুমু,
রঙিন ধুলো পাংশু হল, ঘাস শুকাল যেচে বাচাল
                  জোড়-পায়েলার রুমঝুমু!

আজও আমার কাটবে গো দিন রোজই যেমন কাটত বেলা,
একলা বসে শূন্য ঘরে – তেমনি ঘাটে ভাসবে ভেলা –
                  অবহেলা হেলাফেলায় গো!
      শুধু সে আর তেমন কর
      মন রবে না নেশায় ভরে
      আসার আশায় সে কার তরে
                  সজাগ হয়ে সকল কাজে।

ডুকরে কাঁদে মন-কপোতী –
      ‘কোথায় সাথির কূজন বাজে?
            সে পা-র ভাষা কোথায় রাজে?’

(ছায়ানট কাব্যগ্রন্থ)

প্রতিবেশিনী (Protibeshini) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Shoraban Tohura (শরাবন তহুরা) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) শরাবন তহুরা (Shoraban Tohura)

নার্গিস-বাগমে বাহার কী আগমে ভরা দিল দাগমে –
                    কাঁহা মেরি পিয়ারা, আও আও পিয়ারা।
দুরু দুরু ছাতিয়া ক্যায়সে এ রাতিয়া কাটুঁ বিনু সাথিয়া
                    ঘাবরায়ে জিয়ারা, তড়পত জিয়ারা।
          দরদে দিল জোর, রঙিলা কওসর
          শরাবন তহুরা লাও সাকি লাও ভর,
পিয়ালা তু ধর দে, মস্তানা কর দে, সব দিল ভর দে
                    দরদ মে ইয়ারা – সঙ্গ দিল ইয়ারা।
          জিগর কা খুন নেহি, ডরো মত সাকিয়া,
          আঙ্গুরী-লোহুয়ো, – ক্যাঁও ভিঙ্গা আঁখিয়া?
গিয়া পিয়া আতা নেহি মত কহো সহেলি,
ছোড়ো হাত – পিয়ালা য়ো ভর দে তু পহেলি!
মত মাচা গওগা, বসন্তমে বাহবা ম্যায় সে ক্যা তৌবা?
                    আহা গোলনিয়ারা সখি গোলনিয়ারা –
শরাব কা নূর সে রৌশন কর দে দুনিয়া আঁধিয়ারা
                    দুনিয়া আঁধিয়ারা দুনিয়া আঁধিয়ারা।

  (পুবের হাওয়া কাব্যগ্রন্থ)

শরাবন তহুরা (Shoraban Tohura) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Asha Puber Hawa (আশা (পুবের হাওয়া কাব্যগ্রন্থ)) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) আশা (পুবের হাওয়া কাব্যগ্রন্থ) (Asha Puber Hawa)

মহান তুমি প্রিয়
এই কথাটির গৌরবে মোর চিত্ত ভরে দিয়ো।
অনেক আশায় বসে আছি যাত্রা-শেষের পর
তোমায় নিয়েই পথের পারে বাঁধব আমার ঘর –
                                হে চির-সুন্দর!
পথ শেষ সেই তোমায় যেন করতে পারি ক্ষমা,
                 হে মোর কলঙ্কিনী প্রিয়তমা!
সেদিন যেন বলতে পারি, ‘এসো এসো প্রিয়,
বক্ষে এসো এসো আমার পূত কমনীয়!’
          হায় হারানো লক্ষ্মী আমার! পথ ভুলেছ বলে
          চির-সাথি যাবে তোমার মুখ ফিরিয়ে চলে?
          জান ওঠে হায় মোচড় খেয়ে চলতে পড়ি টলে –
          অনেক জ্বালায় জ্বলে প্রিয় অনেক ব্যথায় গলে!
বারে বারে নানান রূপে ছলতে আমায় শেষে,
কলঙ্কিনী! হাতছানি দাও সকল পথে এসে
                                কুটিল হাসি হেসে?
          ব্যথায় আরো ব্যথা হানাই যে সে!
তুমি কি চাও তোমার মতোই কলঙ্কী হই আমি?
তখন তুমি সুদূর হতে আসবে ঘরে নামি –
          হে মোর প্রিয়, হে মোর বিপথগামী!
পথের আজও অনেক বাকি,
          তাই যদি হয় প্রিয় –
পথের শেষে তোমায় পাওয়ার যোগ্য করেই নিয়ো॥

  (পুবের হাওয়া কাব্যগ্রন্থ)

আশা (পুবের হাওয়া কাব্যগ্রন্থ) (Asha Puber Hawa) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Pahari Gan (পাহাড়ি গান) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) পাহাড়ি গান (Pahari Gan)

মোরা     ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম,
মোরা     ঝরনার মতো চঞ্চল।
মোরা     বিধাতার মতো নির্ভয়,
মোরা     প্রকৃতির মতো সচ্ছল।
মোরা     আকাশের মতো বাধাহীন,
মোরা     মরু-সঞ্চর বেদুইন,
মোরা     জানি নাকো রাজা রাজ-আইন,
মোরা     পরি না শাসন-উদুখল!
মোরা     বন্ধনহীন জন্মস্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল।
মোরা     সিন্ধু-জোয়ার কলকলমোরাপাগল-ঝোরার ঝরা-জল
কল-কলকল ছল-ছলছল কল-কলকল ছল-ছলছল।
মোরা     দিল-খোলা খোলা প্রান্তর,
মোরা     শক্তি-অটল মহীধর,
মোরা     মুক্ত-পক্ষ নভ-চর,
মোরা     হাসি-গানসম উচ্ছল।
মোরা     বৃষ্টির জল বনফল খাই, শয্যা শ্যামল বন-তল,
মোরা     প্রাণ দরিয়ার কল-কল,
মোরা     মুক্ত-ধারার ঝরা-জল
চল-চঞ্চল কল-কলকল ছল-ছলছল ছল-ছলছল।

   (ছায়ানট কাব্যগ্রন্থ)

পাহাড়ি গান (Pahari Gan) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Pothik Shishu (পথিক শিশু) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) পথিক শিশু (Pothik Shishu)

নাম-হারা তুই পথিক শিশু এলি অচিন দেশ পারায়ে।
কোন নামের আজ পরলি কাঁকন? বাঁধনহারার কোন্ কারা এ?
আবার মনের মতন করে
কোন নামে বল ডাকব তোরে?
পথভোলা তুই এই সে ঘরে
ছিলি ওরে, এলি ওরে বারে বারে নাম হারায়ে।
ওরে জাদু, ওরে মানিক, আঁধার ঘরের রতন-মণি!
ক্ষুধিত ঘর ভরলি এনে ছোট্ট হাতের একটু ননী।
আজ কেন রে নিবিড় মুখে
কান্না-সায়র উথলে বুকে?
নতুন নামে ডাকতে তোকে
ওরে কে কণ্ঠ রুখে? পাঁচ-ফাগুনের জুঁই-চারা এ!
আজ মন-পাখি ধায় মধুরতম নাম আশিসের শেষ ছাড়ায়ে।
  
   (পুবের হাওয়া কাব্যগ্রন্থ)

পথিক শিশু (Pothik Shishu) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Khokar Khushi (খোকার খুশি) ~ কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) খোকার খুশি (Khokar Khushi)

কী যে ছাই ধানাই-পানাই –
সারাদিন বাজছে সানাই,
এদিকে কারুর গা নাই
             আজই না মামার বিয়ে!
বিবাহ! বাস, কী মজা!
সারাদিন মণ্ডা গজা
গপাগপ খাও না সোজা
             দেয়ালে ঠেসান দিয়ে।
তবু বর হচ্ছিনে ভাই,
বরের কী মুশকিলটাই –
সারাদিন উপোস মশাই
             শুধু খাও হরিমটর!
শোনো ভাই, মোদের যবে
বিবাহ করতে হবে –
‘বিয়ে দাও’ বলব, ‘তবে
             কিছুতেই হচ্ছিনে বর!’
সত্যি, কও না মামা,
আমাদের অমনি জামা
অমনি মাথায় ধামা
             দেবে না বিয়ে দিয়ে?
মামিমা আসলে এ ঘর
মোদেরও করবে আদর?
বাস, কী মজার খবর!
             আমি রোজ করব বিয়ে॥

(ঝিঙেফুল কাব্যগ্রন্থ)

খোকার খুশি (Khokar Khushi) কবিতাটি ছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) -এর অন্যান্য কবিতা পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।