Nirendranath Chakraborty Poems ~ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কবিতা

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জীবনী, এবং নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিখ্যাত জনপ্রিয় কবিতা গুলো নিচে দেওয়া হলো। Nirendranath Chakraborty short biography with Nirendranath Chakraborty poems list are given below.

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (Nirendranath Chakravarty)
উৎস: উইকিপিডিয়া

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ১৯ই অক্টোবর, ১৯২৪ সালে বাংলাদেশের ফরিদপুরের অন্তর্গত চান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাধ্যক্যজনিত রোগে ভুগে ২৫ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যে আধুনিক বাংলা কবিদের মধ্যে অন্যতম এবং গল্পকার ইত্যাদি।

বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ হয় “শ্রীহর্ষ” পত্রিকায় কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে।

“দৈনিক প্রত্যহ” পত্রিকায় সাংবাদিকতার তাঁর হাতেখড়ি।

“সত্যযুগ”, “মাতৃভূমি”, ” স্বরাজ”, “ভারত”, “ইউনাইটেড প্রেস অফ ইন্ডিয়া” প্রভৃতি পত্রিকায় তিনি কর্মজীবন শুরু করেন।

তিনি ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় ১৯৫১ সালে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় তিনি ‘আনন্দমেলা‘ পত্রিকায় সম্পাদনা করেছেন।

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-এর লেখা প্রথম কবিতার বই ‘নীল নির্জন‘ ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয়।

তাঁরই লেখা কবিতার বই-এর নাম – ‘অন্ধকার বারান্দা’, ‘নীরক্ত করবী’, ‘নক্ষত্র জয়ের জন্য’, ‘আজ সকালে’ প্রভৃতি।

তিনি একাধারে গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর সৃষ্ট প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য গোয়েন্দা চরিত্রের নাম ভাদুড়ী মশাই

তাঁর রচিত ‘উলঙ্গ রাজা‘ অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এই কবিতায় তিনি সামন্ততান্ত্রিক জমিদার, জোতদার সমাজ ব্যবস্থাকে তীব্র কটাক্ষের বানে বিদ্ধ করেছেন। কবিতার শেষ লাইনে লেখা – ‘রাজা তোর কাপড় কোথায়‘ লাইনটি আজও মানুষের মুখেমুখে। এই কাব্যগ্রন্থটি লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি ১৯৫৮ সালে ‘উল্টোরথ পুরস্কার‘, ১৯৭০ সালে ‘তারাশঙ্কর স্মৃতি‘ এবং ১৯৭৬ সালে ‘আনন্দ শিরোমণি‘ পুরস্কার পান।

২০০৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডি. লিট প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল।

কবিতা

Title

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী -এর কবিতা সমূহ (Nirendranath Chakraborty Poems )

বই পড়ো (Boi Parho) – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (Nirendranath Chakraborty)

                                   💐শিক্ষক দিবস [Teachers’ Day]💐

আজ 5ই সেপ্টেম্বর , ডঃ সর্বাপল্লী রাধাকৃষ্ণণ- এর জন্ম দিবস ও শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 🙏🙏🙏

           আজকের এই বিশেষ দিনে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী  (Nirendranath Chakraborty)-এর লেখা একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা বই পড়ো (Bi Parho)। 

                   টিভি কি দেখে নাকি ? 

        তবে তারপরে ভাই

       বেছে বেছে যত পার 

       বই পড়ে ফেলা চাই। 

       তখন বন্ধ টিভি, 

       বই পড়ি সব্বাই । 

             শুধু কি পাঠ্য বই ? 

    আরে না না, তা তো নয়

    আরও কত শত বই 

       রয়েছে বিশ্বময় । 

  সাবধানে বেছে নিয়ে

  তাও তো পড়তে হয় । 

          বই আছে পাখি নিয়ে, 

  নদী আর পাহাড়ের

  ফুল প্রজাপতি নিয়ে

   শত রং বাহারের, 

  বিঘ্ন -বাধার কাছে

  কিছুতেই না- হারের। 

          নানা রকমের বই

   চারিদিকে ছড়ানো

   বোকা -বাক্সের চেয়ে

    বেশি মন- ভরানো। 

   পড়া চাই, আর চাই

      অন্যকে পড়ানো।

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (Nirendranath Chakraborty)-এর  বই পড়ো (Bi Parho) বাংলা কবিতাটি ছাড়াও অন্যান্য কবিতা পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ।

ঠাকুমা বলতেন (Thakuma Bolten) – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (Nirendranath Chakraborty)

আজকের কবিতাটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী -এর লেখা একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা ঠাকুমা বলতেন 

ঠাকুমা বলতেন, ” দাদা, খুব বেশি তো আর

বাঁচব না, এখন তাই সাধ্যমতো আলগা দিয়ে থাকি। 

যে অল্প সময় আছে বাকি, 

দেখতে -দেখতে কেটে যাবে, তোমরা থাকো ভাল। 

আমি দেখি কী করে আমার

আঁচলের গিঁটগুলোকে ধীরেসুস্থে খুলে ফেলা যায়।”

( যখনই বলতেন, বড় নম্র একটি আলো

ভেসে উঠত শান্ত দুটি অনচ্ছ চক্ষুর জানালায় ) 

দিদি তো তক্ষুনি রেগে টং

বলত, “তুমি যাবে কোথা? দিচ্ছে বা কে যেতে? 

আমরা চাইছি গল্প শুনতে, আমরা চাইছি খেতে। 

নাড়ু, বড়ি, আম- কাসুন্দি খেয়ে দিব্যি আছি, 

বুঝলে তো ঠাকুমা? তুমি বাজে কথা বাদ দিয়ে বরং গল্প বলো,

কিংবা সেই বিখ্যাত লাউয়ের- ঘন্টা রাঁধো

মুগডাল ছড়িয়ে, আমরা চাট্টি খেয়ে বাঁচি। 

মোট কথা গিঁটগুলি  তুমি শক্ত করে বাঁধো।”

ঠাকুমা বলতেন, ” দিদি, যে -লোকটা সব-কিছু ছেড়ে একা চলে গেছে,

তার কথা যে বড্ড মনে পড়ে। 

সে -ও তো বলত, কলকাতা- শহরে

চিত্তসুন্দরীর থেকে সুন্দরী যদি-বা থাকে, তার

অর্ধেক সুন্দর রান্না কোথাও পাবে না।… যার দেখা স্বপ্নে রোজ পাচ্ছি,

দিদি, তাকে ছেড়ে আর কি থাকা যায় ?”

( বলতে বলতে হাসি ফুটে উঠত ঠাকুমার

মুখে,আলো ভাসত দুটি অনচ্ছ চক্ষুর জানালায়।) 

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ঠাকুমা বলতেন বাংলা কবিতাটি ছাড়াও অন্যান্য কবিতা পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন। 

নামচি (Namchi) ~ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (Nirendranath Chakravarty)

আজকের কবিতাটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী -এর লেখা একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা নামচি

এই যে ভাদ্র মাসে দরদর ঘামছি,
এর কোনো মানে হয়?
না হে, আর দেরি নয়,
চলো হে গাঁটরি বেঁধে চলে যাই নামচি।

জিজ্ঞেস করো যদি জায়গাটা কাঁহা রে-
ঠিক কথা, তা সেটাও
এক্ষুনি জেনে নাও,
ছোট্ট শহর ওটা সিকিমের পাহাড়।

গরমে সেদ্ধ হয়ে প্রাণ যায় আজ যে!
কাল কেন, তা-ই বলি,
পারি তো এখুনি চলি
তিস্তার ধার ধরে সেই দুর রাজ্যে।

সেখানে রৌদ্রে-মেঘে জোর মারামারিতে
আলো-ছায়া চমকায়
পাহাড়ের গায়ে- গায়ে
ছবির মতন আঁকা যত ঘরবাড়িতে।

পৃথিবী যায়নি আজও নামচিতে বুড়িয়ে।
চারিদিক ঢাকা ফুলে,
তাকালেই মুখ তুলে
তক্ষুনি যাবে দেখো দুই চোখ জুড়িয়ে।

বাতাস বাজিয়ে ফেরে সেতারের ঝংকার।
সারাদিন জানালায়
চোখ রেখে দেখা যায়
রোদ্দুরে- মাজা মুখ কাঞ্চনজঙ্ঘার।

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী -এর অন্যান্য কবিতা পেতে হলে এখানে ক্লিক করুন