Joy Goswami Poems ~ জয় গোস্বামী কবিতা

Dheuguccho (ঢেউগুচ্ছ) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) ঢেউগুচ্ছ (Dheuguccho)

আমাদের নীল মৃত্যুকাল
আমাদের সাদা সন্তরণ
আমাদের ঢেউগুচ্ছ

আমাদের এই নিচু জীবন
জলে ফেলে দেওয়া শান্ত ঢিল
ক্ষমাশীল ঢেউগুচ্ছ

গায়ে গায়ে ঘষা কালো জীবন
হাতে মুখে হাতে মেখে নেওয়া
ঈর্ষার কাঁচা রক্ত

আমাদের এই আলোজীবন
কারো কাছে কিছু নেবে না আর
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শান্তি

আমাদের এই ভাঙা জীবন
পড়োশীর ঘর আলো করা
কচিকাঁচাদের দঙ্গল

আমাদের এই নীল মৃত্যুযান
আমাদের সাদা সন্তরণ
টেনে নেয় ঢেউগুচ্ছ

আমাদের এই চিরজীবন
মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে তুলে আনা
বন্ধুর মতো বন্ধু ।

ঢেউগুচ্ছ (Dheuguccho) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Ovhishar (অভিসার) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) অভিসার (Ovhishar)

প্রেম হবে বলে আজ এখানে এসেছি গাছে নতুন দোয়েল পাখি ডাকে
পুরনো দোয়েল শ্যামা নয়নে নয়ন রেখে কটুবাক্য বলে দিতে চায়
জলে দিতে চায় ওরা আমাকে হৃদয় আমি একলা শ্যামল মেয়ে হায়
পথ ভুলে এ-কোথায় এসে পড়লাম আজ শান্তিপুর ডুবু ডুবু নদে ভেসে যায়
ওলো ও তরুণগাছ সঙ্গ দেবে বলে শুধু পাতাভরা ডালখানি এনে
মাথায় বুলিয়ে কেন দিলে কেন দিলে আমি কোনো জন্ম দেখলাম না এমন পুষ্কর
গা ধুতে পারলাম না আমি জল ভরতেও নয় একী গো তোমার বিবেচনা
কী ঘরে ঘরের কাজ করি আমি কী প্রকারে মন রাখি পাঠে আজ
আমার যে গা ভরতি সোনা
খুলে খুলে পড়ে গেল বনমাঝে দস্যুদল আছোলা চালিয়ে দিলো বাঁশ–
পুলিশে উদ্ধার করল অজ্ঞান উপায়ে বলো হে প্রিয় পুলিশ
আমি তো সমস্ত ছেড়ে চলেই এসেছি আমি পা পিছলে পড়েছি
তোমার প্রণয়ে জল হাড়গোড় ভেঙেছি ওরে যত আছ হাড়গোড়
ভাঙা সব এসো পাছে পাছে
আসন গ্রহণ করো, প্রেম হবে প্রেম হবে, হরিনাম খাবলা খাবলা
হবে বলে নদীয়াসমাজে
ডাকো রে সকলে মিলি, খোঁড়া অন্ধ কানা ডাকো, যে আছ ক্ষুধার্ত পাখি
সব শালা ডাকো গাছে গাছে…

অভিসার (Ovhishar) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Footkorai (ফুটকড়াই) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) ফুটকড়াই (Footkorai)

পরির পাশে পরির বোন,
দাঁড়িয়ে আছে কতক্ষণ।

জ্বর থেকে তো উঠল কাল,
রোদের তাপে মুখটি লাল।

লম্বা লাইন ইস্কুলের,
দাও দারোয়ান গেট খুলে।

পরির পাশে পরির মা-ও,
বলছে, ঠাকুর রোদ কমাও,

আবার অসুখ করবে ওর
নষ্ট হবে একবছর।

বয়স কত ? বয়ঃক্রম ?
সেসব ভাবার সময় কম।

ভর্তি হবার জন্য আজ,
টেষ্টে বসাই পরির কাজ।

পরি তো নয়, পরির বোন,
পাঁচ বছরের কম এখন।

এদিক তাকায়, ওদিক চায়;
গোরু বসছে গাছতলায়

একটা কুকুর দৌড়ে যায়,
ট্যাক্সি গাড়ি পাশ কাটায়

গাড়ি থামায় নীল পুলিশ…
কী ভাবছিস রে ? কী ভাবছিস ?

এ বি সি ডি, ওয়ান টু আর
ভুল করিস না, খবরদার !

ভুল করিস না লক্ষ্মীটি,
‘ছি’ দেবে কাকপক্ষিটি।

ভুল করিস না, ধরছি পা’য়
মা কী করে মুখ দেখায়।

না যদি পাস অ্যাডমিশন,
কোন চুলোতে যাই তখন।

পাশের বাড়ির বাপটুও,
দেখবি কেমন দেয় দুয়ো।

চায় না তো মা আর কিছুই,
নম্বর চায়-আনবি তুই।

নাম হবে তোর খুব বড়,
নামের পাশে নম্বরও

বাড়তে বাড়তে সাতশো মন,
না হবে তোর যতক্ষণ

দাঁড়িয়ে থাকবি, দাঁড়িয়ে থাক,
লাল সাদা আর নীল পোশাক।

পরির দিদি, পরির বোন
কতক্ষণ আর কতক্ষণ

ওই খুলেছে, ওই তো, চল,
রোদ পোড়া সব পরির দল

টুম্পি, টিমা, মম, টোকাই
মাথায় মাথায় পিন ঢোকাই।

ফুটকড়াই, ফুটকড়াই,
ঠিক ডাটা ঠিক ফিড করাই।

ব্যস, হয়েছে প্রোগ্রামিং,
তিড়িং বিড়িং তিড়িং বিং

বন্ধ এখন, জোর সে চল,
কোর্সে কোর্সে এগিয়ে চল

ঊর্ধ গগনে বাজে মাদল
মাথার ওপর যাঁতার কল
ফুটফুটে সব ছাত্রীদল
ছাত্রদল
চল রে চল
এই তো চাই, ফুটকড়াই।

ফুটকড়াই (Footkorai) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Bojha (বোঝা) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) বোঝা (Bojha)

আমি একটা ভারী বোঝা।তুমি বয়ে চলেছিলে আমায়।
আমি কিছু বুঝিনি তখন।
যখন সটান ছুড়ে ফেললে আস্তাকুঁড়ে
তখন বুঝলাম।

জঞ্জাল!জঞ্জাল!

জঞ্জালে আগুন দিল কারা?

ঘুরে ঘুরে ধোঁয়া উঠছে আজ
শেষ-হওয়া সম্পর্ক পুড়ে পুড়ে…

বোঝা (Bojha) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Upohar (উপহার) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) উপহার (Upohar)

এই লেখা বুক ভেঙে লিখি

তুমি তা বুঝবে না।জানি।ঠিকই।

এখন তোমার চতুর্দিক
সদ্য পাওয়া প্রেমিকের আনন্দে উন্মাদ!

তোমার কথার আলতো ঠেলা
আমাকে উপহার দিয়ে গেছে
কালো এক অন্ধকার খাদ।

উপহার (Upohar) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Ke Bashe Ke Kom (কে বেশি কে কম) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) কে বেশি কে কম (Ke Bashe Ke Kom)

চিনতে পেরে গেছে বলে যার জিভ
কেটে নিল ধর্ষণের পরে
দু’হাতে দু’টো পা ধরে
ছিঁড়ে ফেললো যার শিশুটিকে
ঘাড়ে দু’টো কোপ মেরে যার স্বামীকে
ফেলে রাখলো উঠোনের পাশে
মরা অবধি মুখে জল দিতে দিল না
সেই সব মেয়েদের ভেতরে
যে-শোকাগ্নি জ্বলছে
সেই আগুনের পাশে
এনে রাখো গুলির অর্ডার দেওয়া
শাসকের দু’ঘন্টা বিষাদ
তারপর মেপে দ্যাখো
কে বেশি কে কম
তারপর ভেবে দেখ
কারা বলেছিল
জীবন নরক করব, প্রয়োজনে
প্রাণে মারব, প্রাণে!

এই ব’লে ময়ূর আজ
মুখে রক্ত তুলে
নেচে যায় শ্মশানে শ্মশানে

আর সেই নৃত্য থেকে দিকে দিকে
ছিটকে পড়ে জ্বলন্ত পেখম ।

কে বেশি কে কম (Ke Bashe Ke Kom) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Poramorsho (পরামর্শ) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) পরামর্শ (Poramorsho)

জ্ঞানত কি আঘাত করেছি?

আমার তরফ থেকে কোন দুঃখ পৌঁছেছে কখনও?

ক্ষমা করতে পারলে না?ছিঁড়ে ফেললে নাড়ি?

এত রক্ত এত রক্ত!দু'হাতে চেপেও
থামছে না যে!

তোমার প্রেমিককে বলে একবার পরামর্শ নাও
কী করে এ-রক্তপাত বন্ধ করতে পারি।

পরামর্শ (Poramorsho) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Tutorial (টিউটোরিয়াল) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) টিউটোরিয়াল (Tutorial)

তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)
তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম
তার বদলে মাত্র পঁচাশি!
পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম?
এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি?
এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে
ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে?
এই জন্য কাঠফাটা রোদ্দুরে কি প্যাচপ্যাচে বর্ষায়
সারাদিন বসে থাকতো বাড়ির রোয়াকে কিংবা পার্কের বেঞ্চিতে?
তারপর ছুটি হতে, ভিড় বাঁচাতে মিনিবাস ছেড়ে
অটো-অলাদের ঐ খারাপ মেজাজ সহ্য করে
বাড়ি এসে, না হাঁপিয়ে, আবার তোমার পড়া নিয়ে
বসে পড়তো, যতক্ষণ না আমি বাড়ি ফিরে
তোমার হোমটাস্ক দেখছি, তারপরে আঁচলে মুখ মুছে
ঢুলতো গিয়ে ভ্যাপসা রান্নাঘরে?
এই জন্যে? এই জন্যে হাড়ভাঙা ওভারটাইম করে
তোমার জন্য আন্টি রাখতাম?
মোটা মাইনে, ভদ্রতার চা-জলখাবার
হপ্তায় তিনদিন, তাতে কত খরচা হয় রে রাস্কেল?
বুদ্ধি আছে সে হিসেব করবার?
শুধু ছোটকালে নয়, এখনো যে টিউটোরিয়ালে
পাঠিয়েছি, জানিস না, কিরকম খরচাপাতি তার?
ওখানে একবার ঢুকলে সবাই প্রথম হয়। প্রথম, প্রথম!
কারো অধিকার নেই দ্বিতীয় হওয়ার।
রোজ যে যাস, দেখিস না কত সব বড় বড়
বাড়ি ও পাড়ায়
কত সব গাড়ি আসে, কত বড় আড়ি করে
বাবা মা-রা ছেলেমেয়েদের নিতে যায়?
আর ঐ গাড়ির পাশে, পাশে না পিছনে-
ঐ অন্ধকারটায়
রোজ দাঁড়াতে দেখিস না নিজের বাবাকে?
হাতে অফিসের ব্যাগ, গোপন টিফিন বাক্স, ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ –
দেখতে পাসনা? মন কোথায় থাকে?
ঐ মেয়েগুলোর দিকে? যারা তোর সঙ্গে পড়তে আসে?
ওরা তোকে পাত্তা দেবে? ভুলেও ভাবিস না!
ওরা কত বড়লোক!
তোকে পাত্তা পেতে হলে থাকতে হবে বিদেশে, ফরেনে
এন আর আই হতে হবে! এন আর আই, এন আর আই!
তবেই ম্যাজিক দেখবি
কবিসাহিত্যিক থেকে মন্ত্রী অব্দি একডাকে চেনে
আমাদেরও নিয়ে যাবি, তোর মাকে, আমাকে
মাঝে মাঝে রাখবি নিজের কাছে এনে
তার জন্য প্রথম হওয়া দরকার প্রথমে
তাহলেই ছবি ছাপবে খবর কাগজ
আরো দরজা খুলে যাবে, আরো পাঁচ আরো পাঁচ
আরো আরো পাঁচ
পাঁচ পাঁচ করেই বাড়বে, অন্য দিকে মন দিস না,
বাঁচবি তো বাঁচার মত বাঁচ!
না বাপী না, না না বাপী, আমি মন দিই না কোনোদিকে
না বাপী না, না না আমি তাকাই না মেয়েদের দিকে
ওরা তো পাশেই বসে, কেমন সুগন্ধ আসে, কথা বলে, না না বাপী পড়ার কথাই
দেখি না, উত্তর দিই, নোট দিই নোট নিই
যেতে আসতে পথে ঘাটে
কত ছেলে মেয়ে গল্প করে
না বাপী না, আমি মেয়েদের সঙ্গে মিশতে যাই না কখোনো
যেতে আসতে দেখতে পাই কাদা মেখে কত ছেলে বল খেলছে মাঠে
কত সব দুষ্টু ছেলে পার্কে প্রজাপতি ধরছে
চাকা বা ডাঙ্গুলি খেলছে কত ছোটোলোক
না, আমি খেলতে যাই না কখোনো
খেলতে যাইনি। না আমার বন্ধু নেই
না বাপী না, একজন আছে, অপু, একক্লাসে পড়ে
ও বলে যে ওর বাবাও বলেছে প্রথম হতে
বলেছে, কাগজে ছবি, ওর বাবা, ওকে ….
হ্যাঁ বাপী হ্যা, না না বাপী, অপু বলেছে পড়াশোনা হয়নি একদম
বলেছে ও ব্যাক পাবে, ব্যাক পেলে ও বলেছে, বাড়িতে কোথায়
বাথরুম সাফ করার অ্যাসিড আছে ও জানে,
হ্যাঁ বাপী হ্যা, ও বলেছে,
উঠে যাবে কাগজের প্রথম পাতায় …..

টিউটোরিয়াল (Tutorial) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Cirochad (শিরচ্ছেদ, এখানে, বিষয়) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) শিরচ্ছেদ, এখানে, বিষয় (Cirochad)

শিরচ্ছেদ, এখানে, বিষয়।
মাটি তাই নরম, কোপানো।

সমস্ত প্রমাণ শুষছে ভয়
কখনো বোলো না কাউকে কী জানো, বা, কতদূর জানো।

শিরচ্ছেদ, এখানে, বিষয় (Cirochad) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Konkhane (কোনখানে) ~ জয় গোস্বামী (Joy Goswami)

কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর একটি জনপ্রিয় বাংলা কবিতা (Bangla Kobita) কোনখানে (Konkhane)

তরঙ্গের বিশেষ কামিনী
দোলাচলে মরে বসুন্ধরা
কম্পন সাক্ষাত পাবে অগ্রে বা পশ্চাতে মিছে দাগ
নিশাবসনের শেষে একফোঁটা ফুল
কত হট্টরোল হৃদে কত হট্টরোল
অবিশ্বাসে পা রেখে দাঁড়িয়ে
দেখি দেশান্তরে যায় ধু ধু গাঁয়ে একমাত্র পথিক
তার কি সরল গৃহত্যাগ!
কোন পারে খুলে ধরো তিনতলা উচ্চ বাতায়ন
আলো এসে পড়েছে রাস্তায়
সেখানে কে কন্যা বসে চাঁদের চরকায় সুতো কাটে
বালকের ভ্রম হয় কিশোরের ভ্রম হয় যুবকেরও ভ্রম
এত শ্রম!সুতো ছানবার এত শ্রম!
চতুর্দিকে ঘুরে মরে,পায় না আশ্রম
অর্থের বাহিরদ্বার খুলে
কে দেয় উড়াল!
পাঠকের পক্ষীধরা জাল
পুরোপুরি ব্যর্থ হয় মানে কই মানে কই ব'লে
পশ্চাদ্ধাবনরত পাখিপড়া স্বভাবটি ম'লো!
কী হল কী হল
আমাদের হাত ফস্কে ভ্রমমধ্যে বিশেষ কামিনী
তরঙ্গ খেলায় কত তরঙ্গ খেলায়
আমি সে-তরঙ্গ দেখে একবারও থামিনি
জলছলোচ্ছলো তার তীর ঘেঁষে গ্রাম
হাসিরাশি কুড়োই ঝিনুক
এ লেখা সমুদ্র পেল কোন মন্ত্রে? কোথা সে-কৌতুক?
জল ছেড়ে উঠে এল এক বিশিষ্ট রচনা
তাকে চিনতে দেরি করলে হয়?
এক-এক বিস্ময় তার এক-এক গহনা
সকল গুছিয়ে তোলে তার চির রাঙা পরিধানে
কথা থেকে লুপ্ত করে মানে
তরঙ্গের বিশেষ কামিনী
দোলাচলে মরে বহু তারা
তারাসমগ্রের ছায়া জলে পড়বে এত বড় জল কোনখানে?

কোনখানে (Konkhane) কবিতাটি ছাড়াও কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) -এর অন্যান্য কবিতা, গল্প পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।