দুন্দুভি বেজে ওঠে
ডিম্ ডিম্ রবে,
সাঁওতাল–পল্লীতে
উৎসব হবে।
পূর্ণিমাচন্দ্রের
জ্যোৎস্নাধারায়
সান্ধ্য বসুন্ধরা
তন্দ্রা হারায়।
তাল–গাছে তাল–গাছে
পল্লবচয়
চঞ্চল হিল্লোলে
কল্লোলময়।
আম্রের মঞ্জুরি
গন্ধ বিলায়,
কুসুম সৌরভ
শূন্যে মিলায়।
দান করে কুসুমিত
কিংশুকবন
সাঁওতাল–কন্যার
কর্ণভূষণ।
অতিদূর প্রান্তরে
শৈলচূড়ায়
মেঘেরা চীনাংশুক–
পতাকা উড়ায়।
ওই শুনি পথে পথে
হৈ হৈ ডাক,
বংশীর সুরে তালে
বাজে ঢোল ঢাক।
নন্দিত কণ্ঠের
হাস্যের রোল
অম্বরতলে দিল
উল্লাসদোল।
ধীরে ধীরে শর্বরী
হয় অবসান,
উঠিল বিহঙ্গের
প্রত্যুষগান।
বনচূড়া রঞ্জিল
স্বর্ণলেখায়
পূর্বদিগন্তের
প্রান্তরেখায়।
এছাড়াও জনপ্রিয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথঠাকুর – এর অন্যান্য কবিতা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।